হাদিসে রাগ নিয়ন্ত্রণে ৩ করণীয়ের কথা

আবরার নাঈম 
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট। কেউ খুব সহনশীল। আবার কেউ অধিক রাগী। কারণবশত রাগ করা স্বাভাবিক হলেও অল্পতে রেগে যাওয়া মানবীয় ত্রুটি, যা ইসলামে নিন্দিত। নবী (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করাকে প্রকৃত বীরত্ব বলে আখ্যা দিয়েছেন।

হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না, বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (আবু দাউদ: ৪৭৭৯)

রাগ নিয়ন্ত্রণে তিনটি করণীয়ের কথা হাদিসে এসেছে।

এক. দাঁড়ানো থেকে বসে যাওয়া। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারোর যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগের উদ্রেক হয়, তাহলে সে যেন বসে যায়। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে। (আবু দাউদ: ৪৭৮২)

দুই. অজু করা। (আবু দাউদ, ৪৭৮৪)

তিন. আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। তাদের একজনের চোখ লাল হতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হতে থাকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি, যা এই ব্যক্তি পাঠ করলে নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো—অভিশপ্ত শয়তান হতে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি।’ লোকটি বলল, ‘আপনি কি আমার পাগলভাব দেখেছেন!’ (আবু দাউদ: ৪৭৮১)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা: সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত