হুসাইন আহমদ
খাঁটি তওবা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। ইসলামে তওবা হলো, অতীতের সব গুনাহের জন্য অনুশোচনা করে ভবিষ্যতে কখনো তা না করার দৃঢ়প্রত্যয় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। কেননা আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করে থাকি।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৭৫২) দেখুন, মহানবী (সা.)
গুনাহমুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করেছেন, তাহলে আমরা যারা দুর্বল মুমিন, প্রতিনিয়ত গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি, তাদের কতবার আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে তওবা করা উচিত?
নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করে সেটার ওপর অবিচল থাকা মুমিনের কর্তব্য। ভবিষ্যতে কোনো গুনাহের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহর সব বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। নিজের প্রবৃত্তির কাছে কোনোভাবেই পরাজিত হওয়া যাবে না। এ জন্য তওবা করার সময় অন্তরে অনুশোচনা রেখে, অতীত ও ভবিষ্যতের সব গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। হজরত ওমর (রা.)-কে খাঁটি তওবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘মানুষ খারাপ কাজ থেকে তওবা করবে, এরপর আর কখনো (গুনাহের পথে) ফিরে আসবে না।’
নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করতে পারলে অন্তরে দারুণ প্রশান্তি আসে, গুনাহের ভারে ভারাক্রান্ত হৃদয় থেকে যেন পাথর নেমে যায়। হৃদয় কোমল হয়, সুপ্ত মানবিকতা ও পরিশুদ্ধতা জেগে ওঠে।
গুনাহের পথ ছেড়ে মানুষ তখন আল্লাহর ইবাদত ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়। আল্লাহর হক ইবাদত যেমন যথাযথভাবে আদায় করে, বান্দার হক দেনা-পাওনা ইত্যাদিতেও কোনো দুর্বলতা রাখে না। এটিই প্রকৃত মুমিনের পরিচয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
খাঁটি তওবা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। ইসলামে তওবা হলো, অতীতের সব গুনাহের জন্য অনুশোচনা করে ভবিষ্যতে কখনো তা না করার দৃঢ়প্রত্যয় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। কেননা আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করে থাকি।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৭৫২) দেখুন, মহানবী (সা.)
গুনাহমুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করেছেন, তাহলে আমরা যারা দুর্বল মুমিন, প্রতিনিয়ত গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি, তাদের কতবার আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে তওবা করা উচিত?
নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করে সেটার ওপর অবিচল থাকা মুমিনের কর্তব্য। ভবিষ্যতে কোনো গুনাহের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহর সব বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। নিজের প্রবৃত্তির কাছে কোনোভাবেই পরাজিত হওয়া যাবে না। এ জন্য তওবা করার সময় অন্তরে অনুশোচনা রেখে, অতীত ও ভবিষ্যতের সব গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। হজরত ওমর (রা.)-কে খাঁটি তওবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘মানুষ খারাপ কাজ থেকে তওবা করবে, এরপর আর কখনো (গুনাহের পথে) ফিরে আসবে না।’
নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করতে পারলে অন্তরে দারুণ প্রশান্তি আসে, গুনাহের ভারে ভারাক্রান্ত হৃদয় থেকে যেন পাথর নেমে যায়। হৃদয় কোমল হয়, সুপ্ত মানবিকতা ও পরিশুদ্ধতা জেগে ওঠে।
গুনাহের পথ ছেড়ে মানুষ তখন আল্লাহর ইবাদত ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়। আল্লাহর হক ইবাদত যেমন যথাযথভাবে আদায় করে, বান্দার হক দেনা-পাওনা ইত্যাদিতেও কোনো দুর্বলতা রাখে না। এটিই প্রকৃত মুমিনের পরিচয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত এবং পূর্ববর্তী জাতিগুলোর পরিণাম দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেওমরাহ পালনের সময় সৌদি আরবে নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ অফিস ব্যবহার, ব্যবসার লাইসেন্স যাচাই, এবং লেনদেনের রসিদ সংগ্রহ করার মতো বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেনেক সন্তান আল্লাহর বড় নেয়ামত। সন্তান অবাধ্য হলে মা-বাবার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। তাই সব সময় আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের জন্য দোয়া করা চাই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এমনই কয়েকটি দোয়া আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। এখানে তেমনই তিনটি দোয়ার কথা তুলে ধরা হলো:
১ দিন আগেপৃথিবী থেকে একদিন চিরতরে চলে যেতে হবে। যথাসময়ে মৃত্যুদূত দরজায় এসে কড়া নাড়বে। মৃত্যুর হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম নিলে মরতেই হবে। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি, কখনো ঘটবে না। পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কালের তারতম্য আছে, এটা মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। বিন্দুমাত্র হেরফের হওয়ার সম্
৩ দিন আগে