রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
যে কারণে জীবন-মৃত্যুর সৃষ্টি
সুরা মুলক মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩০। কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা এটি। এ সুরা পাঠে আছে অনেক ফজিলত। নবী (সা.) প্রতি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করতেন। সুরাটি তার পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারও পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক।’ (আবু দাউদ: ১৪০০)
সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য যে—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ মানুষের এই জীবন, এই দুনিয়া—আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার হলে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন দিয়ে লেখার অবারিত সুযোগ দিয়ে দেন। তার লেখাতে কোনো বাধার সৃষ্টি করেন না। তেমনি আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে সঠিক ও ভুল পথের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে দিয়েছেন—এটা এক পরীক্ষা। যে সঠিক পথে চলে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করবে, সে থাকবে জান্নাতে। ভুল পথে চললে কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে থাকতে হবে জাহান্নামে। আল্লাহ প্রায়ই মানুষকে বিভিন্ন বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে পরীক্ষা করেন। ইমান যাচাই করেন। যারা পরীক্ষায় ধৈর্য ধরে আল্লাহর পথে অবিচল থাকতে পারেন, তারা মুমিন। তারা সফলকাম।
যাদের অনুসরণ করা নিষেধ
আল্লাহ নবী (সা.)-কে সুরা কলমের ১০ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে কিছু মানুষকে অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যথা—১. অযথা কসমকারী ২. নীচু স্বভাবের লোক ৩. পেছনে দুর্নামকারী ৪. পরচর্চাকারী ৫. নেক কাজে বাধাদানকারী ৬. সীমালঙ্ঘনকারী ৭. মহাপাপী ৮. কঠোর স্বভাবের—তার ওপরে আবার পিতৃপরিচয়হীন ৯. কোরআন অস্বীকারকারী।
অসহায়কে ঠকালে আল্লাহ শাস্তি দেন
সুরা কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে দুজন বাগানওয়ালার কাহিনি রয়েছে, অসহায়দের ঠকানোর পরিকল্পনা করায় আল্লাহ তাদের বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাফসিরে ফতহুল কাদিরে আছে, ইয়ামেনের সানা থেকে ৬ মাইল দূরে একটি বিশাল বাগান ছিল। আরবদের মাঝে বাগানটির বেশ খ্যাতি ছিল। বাগানের মালিক এর থেকে উৎপন্ন ফলমূল গরিব-অসহায়দের দিত। তার মৃত্যুর পর সন্তানেরা বলল, বাগানের আয়ে নিজেদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। গরিব-অসহায়দের দেব কোত্থেকে! আমরা ভোরেই ফল আহরণ করব—তারা ইনশাআল্লাহও বলেনি—যেন গরিবেরা আমাদের নাগাল না পায়। অসহায়দের ঠকানো ও ‘ইনশাআল্লাহ’ না বলার ব্যাপারটি আল্লাহর পছন্দ করেননি। আল্লাহ বাগানে বিপর্যয় দিলেন। বাগানটি শস্য-কাটা খেতের মতো কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ ও সুরা নুহের বিষয়বস্তু
এ তিন সুরায় কিয়ামতের ভয়াবহতা, পূর্ববর্তী জাতির পরিণতি, কিয়ামতপূর্ব অবস্থা, নেককারদের ডান হাতে ও হতভাগাদের বাম হাতে আমলনামা প্রদান, জাহান্নামে কাফেরদের টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া, মহানবীর নবুওয়ত, মানুষের স্বভাব ও প্রকৃতি, মানুষ সৃষ্টি, নুহ (আ.)-এর দাওয়াত, তাদের অবাধ্যতা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ফজিলত ও উপকারিতা, আল্লাহর নেয়ামত, মূর্তির প্রতি কাফেরদের প্রীতি, তাদের ধ্বংস এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমার বর্ণনা রয়েছে।
সুরা জিনে বিশ্বাসী জিনদের কথা
মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জিনের আয়াত সংখ্যা ২৮। এ সুরায় জিনদের আলোচনা থাকায় সে দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম রাখা হয় ‘জিন’। সুরার ১ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে নবীজির কণ্ঠে জিনদের কোরআন শোনার আলাপ রয়েছে। রাসুল (সা.) তখন কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে উকাজের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নাখলা নামক স্থানে তিনি ফজরের নামাজে ইমামতি করেন। সে সময় একদল জিন ওই স্থান অতিক্রম করছিল। কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে তারা সেখানে থেমে গিয়ে শুনতে থাকে। জিনরা নবীজির প্রতি ইমান এনে ইসলাম গ্রহণ করে।
তাহাজ্জুদে আল্লাহকে পাওয়া যায়
সুরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তাআলা নবীজিকে রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আদেশ দেন। কারণ আল্লাহ তখন নবীজিকে নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন। তাহাজ্জুদ আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর ও কোরআন তিলাওয়াতের সেরা সময়। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যাত্যাগ করাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হলো, রাত ২টার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়। রাতের এই তাহাজ্জুদে প্রভুর যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাঁকে পাওয়ার জন্য মন যতটা উতলা ব্যাকুল হয়ে ওঠে, চোখ যেভাবে অশ্রুর আয়োজন করে, অন্য সময়ের নামাজে এমনটা খুব বেশি হয় না। মুমিনের মনে হয়, পৃথিবীতে আর কিছু নেই, আমার কেউ নেই, শুধু আল্লাহ ছাড়া। তখন তো শুধু মুমিন বান্দা আর আল্লাহ। সেখানে অন্য আয়োজন নেই। কোলাহল নেই। ব্যস্ততা নেই। তাড়া নেই।
সুরা মুদ্দাসসির ও সুরা কিয়ামার বিষয়বস্তু
এ সুরা দুটিতে দীনের দাওয়াত, কাফেরদের পরিণাম, কিয়ামতের দিন জান্নাতি ও জাহান্নামিদের অবস্থা, নসিহত, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, শাস্তি, মৃত্যুর সময় মানুষের অবস্থা ও কিয়ামতের পর পুনরুত্থানের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশের সুরা দাহর ও মুরসালাতে জান্নাতের নেয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, দুনিয়াতে আল্লাহর নেয়ামত, মানুষের কৃতজ্ঞতা ও অকৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, আল্লাহর গুণ, মুমিন ও কাফেরদের পরিণতি, কিয়ামতের অবস্থা, অবিশ্বাসীদের ধ্বংস ইত্যাদির আলাপ রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
যে কারণে জীবন-মৃত্যুর সৃষ্টি
সুরা মুলক মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩০। কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা এটি। এ সুরা পাঠে আছে অনেক ফজিলত। নবী (সা.) প্রতি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করতেন। সুরাটি তার পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারও পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক।’ (আবু দাউদ: ১৪০০)
সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য যে—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ মানুষের এই জীবন, এই দুনিয়া—আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার হলে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন দিয়ে লেখার অবারিত সুযোগ দিয়ে দেন। তার লেখাতে কোনো বাধার সৃষ্টি করেন না। তেমনি আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে সঠিক ও ভুল পথের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে দিয়েছেন—এটা এক পরীক্ষা। যে সঠিক পথে চলে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করবে, সে থাকবে জান্নাতে। ভুল পথে চললে কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে থাকতে হবে জাহান্নামে। আল্লাহ প্রায়ই মানুষকে বিভিন্ন বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে পরীক্ষা করেন। ইমান যাচাই করেন। যারা পরীক্ষায় ধৈর্য ধরে আল্লাহর পথে অবিচল থাকতে পারেন, তারা মুমিন। তারা সফলকাম।
যাদের অনুসরণ করা নিষেধ
আল্লাহ নবী (সা.)-কে সুরা কলমের ১০ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে কিছু মানুষকে অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যথা—১. অযথা কসমকারী ২. নীচু স্বভাবের লোক ৩. পেছনে দুর্নামকারী ৪. পরচর্চাকারী ৫. নেক কাজে বাধাদানকারী ৬. সীমালঙ্ঘনকারী ৭. মহাপাপী ৮. কঠোর স্বভাবের—তার ওপরে আবার পিতৃপরিচয়হীন ৯. কোরআন অস্বীকারকারী।
অসহায়কে ঠকালে আল্লাহ শাস্তি দেন
সুরা কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে দুজন বাগানওয়ালার কাহিনি রয়েছে, অসহায়দের ঠকানোর পরিকল্পনা করায় আল্লাহ তাদের বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাফসিরে ফতহুল কাদিরে আছে, ইয়ামেনের সানা থেকে ৬ মাইল দূরে একটি বিশাল বাগান ছিল। আরবদের মাঝে বাগানটির বেশ খ্যাতি ছিল। বাগানের মালিক এর থেকে উৎপন্ন ফলমূল গরিব-অসহায়দের দিত। তার মৃত্যুর পর সন্তানেরা বলল, বাগানের আয়ে নিজেদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। গরিব-অসহায়দের দেব কোত্থেকে! আমরা ভোরেই ফল আহরণ করব—তারা ইনশাআল্লাহও বলেনি—যেন গরিবেরা আমাদের নাগাল না পায়। অসহায়দের ঠকানো ও ‘ইনশাআল্লাহ’ না বলার ব্যাপারটি আল্লাহর পছন্দ করেননি। আল্লাহ বাগানে বিপর্যয় দিলেন। বাগানটি শস্য-কাটা খেতের মতো কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ ও সুরা নুহের বিষয়বস্তু
এ তিন সুরায় কিয়ামতের ভয়াবহতা, পূর্ববর্তী জাতির পরিণতি, কিয়ামতপূর্ব অবস্থা, নেককারদের ডান হাতে ও হতভাগাদের বাম হাতে আমলনামা প্রদান, জাহান্নামে কাফেরদের টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া, মহানবীর নবুওয়ত, মানুষের স্বভাব ও প্রকৃতি, মানুষ সৃষ্টি, নুহ (আ.)-এর দাওয়াত, তাদের অবাধ্যতা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ফজিলত ও উপকারিতা, আল্লাহর নেয়ামত, মূর্তির প্রতি কাফেরদের প্রীতি, তাদের ধ্বংস এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমার বর্ণনা রয়েছে।
সুরা জিনে বিশ্বাসী জিনদের কথা
মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জিনের আয়াত সংখ্যা ২৮। এ সুরায় জিনদের আলোচনা থাকায় সে দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম রাখা হয় ‘জিন’। সুরার ১ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে নবীজির কণ্ঠে জিনদের কোরআন শোনার আলাপ রয়েছে। রাসুল (সা.) তখন কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে উকাজের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নাখলা নামক স্থানে তিনি ফজরের নামাজে ইমামতি করেন। সে সময় একদল জিন ওই স্থান অতিক্রম করছিল। কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে তারা সেখানে থেমে গিয়ে শুনতে থাকে। জিনরা নবীজির প্রতি ইমান এনে ইসলাম গ্রহণ করে।
তাহাজ্জুদে আল্লাহকে পাওয়া যায়
সুরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তাআলা নবীজিকে রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আদেশ দেন। কারণ আল্লাহ তখন নবীজিকে নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন। তাহাজ্জুদ আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর ও কোরআন তিলাওয়াতের সেরা সময়। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যাত্যাগ করাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হলো, রাত ২টার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়। রাতের এই তাহাজ্জুদে প্রভুর যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাঁকে পাওয়ার জন্য মন যতটা উতলা ব্যাকুল হয়ে ওঠে, চোখ যেভাবে অশ্রুর আয়োজন করে, অন্য সময়ের নামাজে এমনটা খুব বেশি হয় না। মুমিনের মনে হয়, পৃথিবীতে আর কিছু নেই, আমার কেউ নেই, শুধু আল্লাহ ছাড়া। তখন তো শুধু মুমিন বান্দা আর আল্লাহ। সেখানে অন্য আয়োজন নেই। কোলাহল নেই। ব্যস্ততা নেই। তাড়া নেই।
সুরা মুদ্দাসসির ও সুরা কিয়ামার বিষয়বস্তু
এ সুরা দুটিতে দীনের দাওয়াত, কাফেরদের পরিণাম, কিয়ামতের দিন জান্নাতি ও জাহান্নামিদের অবস্থা, নসিহত, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, শাস্তি, মৃত্যুর সময় মানুষের অবস্থা ও কিয়ামতের পর পুনরুত্থানের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশের সুরা দাহর ও মুরসালাতে জান্নাতের নেয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, দুনিয়াতে আল্লাহর নেয়ামত, মানুষের কৃতজ্ঞতা ও অকৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, আল্লাহর গুণ, মুমিন ও কাফেরদের পরিণতি, কিয়ামতের অবস্থা, অবিশ্বাসীদের ধ্বংস ইত্যাদির আলাপ রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগে