ইসলাম ডেস্ক
ঋতুস্রাব নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতা ও সন্তান ধারণের সক্ষমতা নিশ্চিত হয়। এই ঋতুচক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এখানে রোজাসংক্রান্ত কয়েকটি বিধান তুলে ধরা হলো—
১. ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, একজন নারীর ঋতুস্রাবের সর্বনিম্ন সময় তিন দিন আর সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন। তিন দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে ঋতুস্রাবকালীন নামাজ-রোজা করার প্রয়োজন নেই। এই দিনগুলোতে নারীর যথাসাধ্য বিশ্রাম দরকার। এ জন্য এই দিনগুলোতে ইসলাম নারীকে নামাজ-রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে।
২. কোনো কারণে ঋতুস্রাবের সময় ১০ দিনের চেয়ে বেশি হলে, সাধারণত তাঁর ঋতুস্রাব যত দিন স্থায়ী হয় তত দিন পর্যন্ত নামাজ-রোজা বন্ধ রাখবেন। এরপর থেকে আবার সব ইবাদত পালন করবেন। আর যদি ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে স্রাব আসার শেষ দিন পর্যন্ত ঋতুস্রাব গণ্য করে নামাজ-রোজা ইত্যাদি বন্ধ রাখবেন। এই সময়ে নামাজের কাজা না থাকলেও পরবর্তী সময়ে রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/ ৩০০-৩০১)
৩. রমজানের রোজা, হজের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কারণে নারীরা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে স্রাব বন্ধ রাখেন। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে স্রাব বন্ধ রাখা বৈধ হলেও তা ব্যবহারের আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১২১৯ ও ১২২০; আল-মুহিতুল বুরহানি: ১ / ৩৯৯)
৪. ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীরা কুরআন তিলাওয়াতও করবেন না এবং অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও কুরআন পড়বেন না। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক বা দুই শব্দ করে কাউকে বলে দিতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে: ১ / ১৫০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৩৯)
৫. কেউ যদি ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করেন, তাহলে তাঁর ইতিকাফ আদায় হবে না। এমনকি ইতিকাফের মাঝখানে ঋতুস্রাব চলে এলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১ / ২১)
ঋতুস্রাব নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতা ও সন্তান ধারণের সক্ষমতা নিশ্চিত হয়। এই ঋতুচক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এখানে রোজাসংক্রান্ত কয়েকটি বিধান তুলে ধরা হলো—
১. ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, একজন নারীর ঋতুস্রাবের সর্বনিম্ন সময় তিন দিন আর সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন। তিন দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে ঋতুস্রাবকালীন নামাজ-রোজা করার প্রয়োজন নেই। এই দিনগুলোতে নারীর যথাসাধ্য বিশ্রাম দরকার। এ জন্য এই দিনগুলোতে ইসলাম নারীকে নামাজ-রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে।
২. কোনো কারণে ঋতুস্রাবের সময় ১০ দিনের চেয়ে বেশি হলে, সাধারণত তাঁর ঋতুস্রাব যত দিন স্থায়ী হয় তত দিন পর্যন্ত নামাজ-রোজা বন্ধ রাখবেন। এরপর থেকে আবার সব ইবাদত পালন করবেন। আর যদি ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে স্রাব আসার শেষ দিন পর্যন্ত ঋতুস্রাব গণ্য করে নামাজ-রোজা ইত্যাদি বন্ধ রাখবেন। এই সময়ে নামাজের কাজা না থাকলেও পরবর্তী সময়ে রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/ ৩০০-৩০১)
৩. রমজানের রোজা, হজের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কারণে নারীরা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে স্রাব বন্ধ রাখেন। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে স্রাব বন্ধ রাখা বৈধ হলেও তা ব্যবহারের আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১২১৯ ও ১২২০; আল-মুহিতুল বুরহানি: ১ / ৩৯৯)
৪. ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীরা কুরআন তিলাওয়াতও করবেন না এবং অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও কুরআন পড়বেন না। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক বা দুই শব্দ করে কাউকে বলে দিতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে: ১ / ১৫০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৩৯)
৫. কেউ যদি ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করেন, তাহলে তাঁর ইতিকাফ আদায় হবে না। এমনকি ইতিকাফের মাঝখানে ঋতুস্রাব চলে এলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১ / ২১)
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে