শরিফ আহমাদ
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজের মাধ্যমেই বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে সুনিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নামাজ ফরজ। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের ওপর নামাজ ফরজ নয়। তবু ছোট থেকে তাদের নামাজের প্রতি উৎসাহিত করতে হয়। নামাজের প্রশিক্ষণ দিতে হয়। সুরা-কিরাত শেখাতে হয়। হিশাম ইবনে সাদ (রহ.) থেকে মুআজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাবিব আল-জুহানী (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা মুআজ ইবনে আব্দুল্লাহর কাছে উপস্থিত হলাম। এ সময় তিনি তাঁর স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘ছোট ছেলেমেয়েদের কখন নামাজ পড়ার নির্দেশ দিতে হবে?’ তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আমাদের একজন পুরুষ ব্যক্তি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, ‘যখন ছোট ছেলেমেয়েরা তাদের ডান ও বাঁ হাতের পার্থক্য নির্ণয়ে সক্ষম হবে, তখন থেকে তাদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেবে।’ (আবু দাউদ: ৪৯৭)
শরিয়তের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রত্যেক ছেলেমেয়ের জন্য নামাজ ফরজ হয়। সন্তানেরা যদি নামাজে অবহেলা করে, তাদের শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের সন্তানেরা সাত বছরে উপনীত হবে, তখন তাদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেবে এবং তাদের বয়স যখন ১০ বছর হবে, তখন নামাজ না পড়লে তাদের শাস্তি দেবে। আর তাদের (ছেলেমেয়েদের) বিছানা পৃথক করে দেবে।’ (আবু দাউদ: ৪৯৫)
ছোটদের নামাজি ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শৈশব থেকে মা-বাবার প্রধান ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি নিজেরাও নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। ছোটরা বড়দের অনুসরণ করে। তাই নিজেরা নামাজ আদায় না করে ছোটদের শেখানো কঠিন বৈকি।
লেখক: শরিফ আহমাদ
ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজের মাধ্যমেই বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে সুনিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নামাজ ফরজ। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের ওপর নামাজ ফরজ নয়। তবু ছোট থেকে তাদের নামাজের প্রতি উৎসাহিত করতে হয়। নামাজের প্রশিক্ষণ দিতে হয়। সুরা-কিরাত শেখাতে হয়। হিশাম ইবনে সাদ (রহ.) থেকে মুআজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাবিব আল-জুহানী (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা মুআজ ইবনে আব্দুল্লাহর কাছে উপস্থিত হলাম। এ সময় তিনি তাঁর স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘ছোট ছেলেমেয়েদের কখন নামাজ পড়ার নির্দেশ দিতে হবে?’ তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আমাদের একজন পুরুষ ব্যক্তি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, ‘যখন ছোট ছেলেমেয়েরা তাদের ডান ও বাঁ হাতের পার্থক্য নির্ণয়ে সক্ষম হবে, তখন থেকে তাদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেবে।’ (আবু দাউদ: ৪৯৭)
শরিয়তের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রত্যেক ছেলেমেয়ের জন্য নামাজ ফরজ হয়। সন্তানেরা যদি নামাজে অবহেলা করে, তাদের শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের সন্তানেরা সাত বছরে উপনীত হবে, তখন তাদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেবে এবং তাদের বয়স যখন ১০ বছর হবে, তখন নামাজ না পড়লে তাদের শাস্তি দেবে। আর তাদের (ছেলেমেয়েদের) বিছানা পৃথক করে দেবে।’ (আবু দাউদ: ৪৯৫)
ছোটদের নামাজি ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শৈশব থেকে মা-বাবার প্রধান ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি নিজেরাও নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। ছোটরা বড়দের অনুসরণ করে। তাই নিজেরা নামাজ আদায় না করে ছোটদের শেখানো কঠিন বৈকি।
লেখক: শরিফ আহমাদ
ইসলামবিষয়ক গবেষক
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
৮ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগে