আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক
পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ দুটি সুরা—সুরা ফালাক ও সুরা নাস। এই দুটি সুরাই মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফালাক ১১৩তম সুরা, আয়াত ৫টি, রুকু ১টি আর সুরা নাস ১১৪তম সুরা। আয়াত ৬টি, রুকু ১টি। সুরা ফালাকে মহান আল্লাহ মানুষকে সব ধরনের মন্দ ও অনিষ্ট থেকে তাঁর আশ্রয় চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সুরায় বিশেষভাবে অন্ধকার রাতের অনিষ্ট, জাদুকরের অনিষ্ট এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা নাসে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অনিষ্ট থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। এ সুরার প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ তাআলার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। আর পরের তিন আয়াতে জিন ও মানুষরূপী শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আশ্রয় গ্রহণের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যখন রাসুল (সা.)-কে জাদু করা হয়েছিল, এই সুরা দুটো নাজিল হয়েছিল। যুরায়ক গোত্রের লাবিদ ইবনে আসাম নামক এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জাদু করে। তাঁকে জাদু করে রশিতে ১১টি গিঁট দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি সুরার ১১টি আয়াত পড়ে সেই ১১টি গিঁট খোলা হয়। এ দুই সুরার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে মুক্তি দিয়েছিলেন।
আক্রমণ, জাদুটোনাসহ সব ধরনের অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে এ দুই সুরার নিয়মিত আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বিপদ-আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরার ওপর আমল করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত একসঙ্গে মেলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহিহ বুখারি)
পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ দুটি সুরা—সুরা ফালাক ও সুরা নাস। এই দুটি সুরাই মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফালাক ১১৩তম সুরা, আয়াত ৫টি, রুকু ১টি আর সুরা নাস ১১৪তম সুরা। আয়াত ৬টি, রুকু ১টি। সুরা ফালাকে মহান আল্লাহ মানুষকে সব ধরনের মন্দ ও অনিষ্ট থেকে তাঁর আশ্রয় চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সুরায় বিশেষভাবে অন্ধকার রাতের অনিষ্ট, জাদুকরের অনিষ্ট এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা নাসে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অনিষ্ট থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। এ সুরার প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ তাআলার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। আর পরের তিন আয়াতে জিন ও মানুষরূপী শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আশ্রয় গ্রহণের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যখন রাসুল (সা.)-কে জাদু করা হয়েছিল, এই সুরা দুটো নাজিল হয়েছিল। যুরায়ক গোত্রের লাবিদ ইবনে আসাম নামক এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জাদু করে। তাঁকে জাদু করে রশিতে ১১টি গিঁট দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি সুরার ১১টি আয়াত পড়ে সেই ১১টি গিঁট খোলা হয়। এ দুই সুরার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে মুক্তি দিয়েছিলেন।
আক্রমণ, জাদুটোনাসহ সব ধরনের অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে এ দুই সুরার নিয়মিত আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বিপদ-আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরার ওপর আমল করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত একসঙ্গে মেলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহিহ বুখারি)
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৩ ঘণ্টা আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
৩ ঘণ্টা আগেতসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন..
৩ ঘণ্টা আগে