মুহাম্মাদ সানা উল্লাহ কাউসার
ক্ষমা করে দেওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক গুণগুলোর একটি। মহান আল্লাহ পরম দয়ালু এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল। বান্দার শত গুনাহ-পাপাচার তিনি নিমিষের তওবায় ক্ষমা করে দেন। মহানবী (সা.)ও আমাদের ক্ষমা করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসের পাতায় পাতায় তাঁর ক্ষমাশীলতার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
কাজের লোকজন ও অধীনস্থ মানুষজনের ভুল হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক লোক এসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলল, আমাদের দাস ও কর্মচারীরা তো ভুলত্রুটি করে থাকে; তাদের আমরা কতবার ক্ষমা করব?’ উত্তরে তিনি কিছু না বলে চুপ রইলেন। লোকটি আবার প্রশ্ন করল। এবারও তিনি চুপ রইলেন। লোকটি যখন তৃতীয়বার প্রশ্ন করল, তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিদিন তাকে ৭০ বার মাফ করে দেবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৫৬৩৫)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে ক্ষমার গুণ আয়ত্ত করার উপদেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘(হে নবী) আপনি ক্ষমাশীলতা অবলম্বন করুন এবং মানুষকে ভালো বিষয়ের আদেশ করুন, আর মূর্খদের উপেক্ষা করুন।’ (সুরা আরাফ: ১৯৯)
রাসুল (সা.) প্রাণের শত্রুদেরও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের আগে পর্যন্ত মক্কার কাফিরেরা তাঁকে হত্যা ও ধ্বংসের সব প্রচেষ্টাই করেছে। তবে মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (সা.) সবাইকে সাধারণভাবে ক্ষমা করে দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘কুরাইশদের মধ্যে যারা আবু সুফিয়ানের ঘরে আশ্রয় নেবে, নিজ নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখবে, তারা নিরাপদ।’ ক্ষমতা হাতে নিয়ে প্রতিশোধস্পৃহা দমিয়ে ঘোরতর শত্রুকে ক্ষমা করতে পারা মহামানুষদের পক্ষেই সম্ভব।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ক্ষমা করে দেওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক গুণগুলোর একটি। মহান আল্লাহ পরম দয়ালু এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল। বান্দার শত গুনাহ-পাপাচার তিনি নিমিষের তওবায় ক্ষমা করে দেন। মহানবী (সা.)ও আমাদের ক্ষমা করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসের পাতায় পাতায় তাঁর ক্ষমাশীলতার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
কাজের লোকজন ও অধীনস্থ মানুষজনের ভুল হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক লোক এসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলল, আমাদের দাস ও কর্মচারীরা তো ভুলত্রুটি করে থাকে; তাদের আমরা কতবার ক্ষমা করব?’ উত্তরে তিনি কিছু না বলে চুপ রইলেন। লোকটি আবার প্রশ্ন করল। এবারও তিনি চুপ রইলেন। লোকটি যখন তৃতীয়বার প্রশ্ন করল, তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিদিন তাকে ৭০ বার মাফ করে দেবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৫৬৩৫)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে ক্ষমার গুণ আয়ত্ত করার উপদেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘(হে নবী) আপনি ক্ষমাশীলতা অবলম্বন করুন এবং মানুষকে ভালো বিষয়ের আদেশ করুন, আর মূর্খদের উপেক্ষা করুন।’ (সুরা আরাফ: ১৯৯)
রাসুল (সা.) প্রাণের শত্রুদেরও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের আগে পর্যন্ত মক্কার কাফিরেরা তাঁকে হত্যা ও ধ্বংসের সব প্রচেষ্টাই করেছে। তবে মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (সা.) সবাইকে সাধারণভাবে ক্ষমা করে দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘কুরাইশদের মধ্যে যারা আবু সুফিয়ানের ঘরে আশ্রয় নেবে, নিজ নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখবে, তারা নিরাপদ।’ ক্ষমতা হাতে নিয়ে প্রতিশোধস্পৃহা দমিয়ে ঘোরতর শত্রুকে ক্ষমা করতে পারা মহামানুষদের পক্ষেই সম্ভব।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
৭ ঘণ্টা আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
১ দিন আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২ দিন আগে