ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস
২০২৪ সালের ম্যান অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত অধ্যাপক সাইয়েদ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস মুসলিম বিশ্বে প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। ছয় দশক ধরে তিনি মালয়েশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামিকরণে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয়। তিনি জ্ঞানবিজ্ঞানকে ইসলামঘনিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী করার কথা বলেন। ইসলামের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের পাশাপাশি কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক এই ফর্মুলা মালয়েশিয়ার উন্নয়নের অন্যতম কারণ।
অধ্যাপক আল-আত্তাসের জন্ম ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভায়, ১৯৩১ সালে। মা-বাবা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের উত্তরাধিকারী ছিলেন। তাঁর বংশপরম্পরা ইমাম হুসাইন হয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত পৌঁছেছে। জন্মশহর বোগোরে ঐতিহ্যবাহী ধারার ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ার জোহোর থেকে মালয় ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশেষ পাঠ গ্রহণ করে ১৯৪৬ সালে মালয়-ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। মালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নিয়ে মাস্টার্স এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস থেকে ইসলামি দর্শনে পিএইচডি করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ায় চলে আসেন।
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি সুফিবাদ, সৃষ্টিতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, দর্শন এবং মালয় ভাষা ও সাহিত্যের ওপর ২৭টি গ্রন্থ লিখেছেন। তিনিই ১৯৭৯ সালে মক্কায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা দেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুধু বুদ্ধিজীবী, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবেই খ্যাত নন, ইসলামি শিল্পকলা ও ইসলামি স্থাপত্যেও তাঁর সুনাম রয়েছে। অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ৯২ বছর বয়সী ড. আত্তাস এখনো পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. এডনা আদান ইসমাইল
২০২৪ সালের উইমেন অব দ্য ইয়ার ড. এডনা আদান ইসমাইল সোমালিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দাতব্য স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক অবদানের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তাঁর নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতাল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তিনি সোমালিয়ার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর স্বামী ছিলেন মোহাম্মদ হাজি ইবরাহিম এগাল দেশটির সোমালিল্যান্ড রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও সোমালি প্রজাতন্ত্র সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ড. এডনা ১৯৩৭ সালে সোমালিয়ার হারগেইসা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খুবই রক্ষণশীল পরিবেশে থেকেও শিক্ষানুরাগী বাবার তত্ত্বাবধানে তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর বৃত্তিসহ লন্ডনে নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। পরে দেশে ফিরে এডনা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সোমালিয়ার মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। শিক্ষাদীক্ষায় জাতিকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠা করেন এডনা আদান বিশ্ববিদ্যালয়, যা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখছে।
রাজনীতিতেও সফল ড. এডনা। তিনি সোমালিয়ার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া সোমালিল্যান্ড রাজ্যের পরিবারকল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সেবা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর সংগ্রামী জীবন মুসলিম নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস।
ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস
২০২৪ সালের ম্যান অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত অধ্যাপক সাইয়েদ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস মুসলিম বিশ্বে প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। ছয় দশক ধরে তিনি মালয়েশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামিকরণে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয়। তিনি জ্ঞানবিজ্ঞানকে ইসলামঘনিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী করার কথা বলেন। ইসলামের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের পাশাপাশি কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক এই ফর্মুলা মালয়েশিয়ার উন্নয়নের অন্যতম কারণ।
অধ্যাপক আল-আত্তাসের জন্ম ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভায়, ১৯৩১ সালে। মা-বাবা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের উত্তরাধিকারী ছিলেন। তাঁর বংশপরম্পরা ইমাম হুসাইন হয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত পৌঁছেছে। জন্মশহর বোগোরে ঐতিহ্যবাহী ধারার ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ার জোহোর থেকে মালয় ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশেষ পাঠ গ্রহণ করে ১৯৪৬ সালে মালয়-ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। মালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নিয়ে মাস্টার্স এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস থেকে ইসলামি দর্শনে পিএইচডি করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ায় চলে আসেন।
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি সুফিবাদ, সৃষ্টিতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, দর্শন এবং মালয় ভাষা ও সাহিত্যের ওপর ২৭টি গ্রন্থ লিখেছেন। তিনিই ১৯৭৯ সালে মক্কায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা দেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুধু বুদ্ধিজীবী, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবেই খ্যাত নন, ইসলামি শিল্পকলা ও ইসলামি স্থাপত্যেও তাঁর সুনাম রয়েছে। অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ৯২ বছর বয়সী ড. আত্তাস এখনো পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. এডনা আদান ইসমাইল
২০২৪ সালের উইমেন অব দ্য ইয়ার ড. এডনা আদান ইসমাইল সোমালিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দাতব্য স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক অবদানের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তাঁর নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতাল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তিনি সোমালিয়ার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর স্বামী ছিলেন মোহাম্মদ হাজি ইবরাহিম এগাল দেশটির সোমালিল্যান্ড রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও সোমালি প্রজাতন্ত্র সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ড. এডনা ১৯৩৭ সালে সোমালিয়ার হারগেইসা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খুবই রক্ষণশীল পরিবেশে থেকেও শিক্ষানুরাগী বাবার তত্ত্বাবধানে তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর বৃত্তিসহ লন্ডনে নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। পরে দেশে ফিরে এডনা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সোমালিয়ার মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। শিক্ষাদীক্ষায় জাতিকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠা করেন এডনা আদান বিশ্ববিদ্যালয়, যা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখছে।
রাজনীতিতেও সফল ড. এডনা। তিনি সোমালিয়ার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া সোমালিল্যান্ড রাজ্যের পরিবারকল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সেবা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর সংগ্রামী জীবন মুসলিম নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস।
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
২ দিন আগে