বাগেরহাট প্রতিনিধি
পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান থাকলেও, নানা কারণে বাংলাদেশের সেই প্রচলন নেই। তবে বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার আওলিয়াবাদ জামে মসজিদে নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন নারীরা। মসজিদে এসে নামাজ আদায়ের ফলে নারীরা আরও বেশি আমলদার হতে পারছেন বলে দাবি মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা যায়, খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সোনাতলা মোড় এলাকায় তিনতলাবিশিষ্ট এই মসজিদের দোতলায় নামাজ আদায় করেন নারীরা। আলাদা সিঁড়ি দিয়ে নামাজের জন্য ওঠেন তাঁরা। পুরুষেরা যে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, নারীরাও একই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন। পাঁচ বছর ধরে নারীরা এই মসজিদে কোনো প্রকার বিতর্ক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শরিয়ত সম্মতভাবে তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। ভবিষ্যতে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ কারি মো. মোবারক হোসেন।
মসজিদের ইমাম মো. মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মসজিদের মুসল্লিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর আগে মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা করি। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত নারীরা তারাবিহ নামাজ পড়ছেন।’
ইমাম মোবারক হোসেন আরও বলেন, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ নারী। কিন্তু নারীদের মসজিদে আসার সুযোগ না থাকায় তারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান থেকে দূরে রয়েছে। মসজিদে আসলে নারীরা ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে। কারণ, মসজিদে জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ছাড়া নবীজির আমলেও মসজিদে নারীরা নামাজ পড়তেন। মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ায় শরিয়তের কোনো বাধা নেই। অন্য মসজিদেও এভাবে নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত।’
এদিকে আওলিয়াবাদ জামে মসজিদের বিষয়টি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্শ্ববর্তী দশানী এলাকার বায়তুন নাজাত জামে মসজিদেও তিন বছর ধরে নারীরা নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। সেই সঙ্গে নারীদের জুমার নামাজ আদায়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। পথচারী নারীদের জন্য ওয়াক্তের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে এই মসজিদে।
বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে মায়ের সঙ্গে তারাবিহ পড়তে আসা ১১ বছর বয়সী ফাতেমা তুজজোহরা ইমা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মসজিদে এসে তারাবিহ পড়তে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। মসজিদের দোতলায় আমরা নামাজ পড়ি। আলাদা সিঁড়িতে ওঠানামার ব্যবস্থা আছে, কোনো সমস্যা হয় না।’
নাবিলা তাবাচ্ছুম নামের এক নারী বলেন, ‘মসজিদের নারীদের তারাবিহ করার ব্যবস্থাটা খুবই ভালো হয়েছে। তবে শহরের মসজিদগুলোতে যাতে নারীরা ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারে, সেই ধরনের ব্যবস্থা রাখলে খুব ভালো হতো।’
বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. বশির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহান আল্লাহ তাআলা ইবাদতের জন্য নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যে যেমন ভালো কাজ করবেন, আল্লাহ তেমন প্রতিদান দেবেন। মক্কা-মদিনা ও বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে নারীরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আমাদের দেশেও এটা শুরু হয়েছে। আমাদের এই মসজিদে শতাধিক নারী তারাবিহ ও জুমার নামাজ আদায় করেন।’
নারীদের আরও বেশি বেশি মসজিদে আসা উচিত মন্তব্য করে বশির উদ্দিন আরও বলেন, ‘পুরুষেরা জুমা ও ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে আসেন। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামিক আলোচনায় হরহামেশাই যায়। যেখানে তাঁরা ইসলামিক আলোচনা শুনতে পারেন। কিন্তু নারীদের এই সুযোগ খুব সীমিত। তাই নারীদের মসজিদে আসা উচিত বলে মনে করি।’
পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান থাকলেও, নানা কারণে বাংলাদেশের সেই প্রচলন নেই। তবে বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার আওলিয়াবাদ জামে মসজিদে নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন নারীরা। মসজিদে এসে নামাজ আদায়ের ফলে নারীরা আরও বেশি আমলদার হতে পারছেন বলে দাবি মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা যায়, খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সোনাতলা মোড় এলাকায় তিনতলাবিশিষ্ট এই মসজিদের দোতলায় নামাজ আদায় করেন নারীরা। আলাদা সিঁড়ি দিয়ে নামাজের জন্য ওঠেন তাঁরা। পুরুষেরা যে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, নারীরাও একই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন। পাঁচ বছর ধরে নারীরা এই মসজিদে কোনো প্রকার বিতর্ক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শরিয়ত সম্মতভাবে তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। ভবিষ্যতে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ কারি মো. মোবারক হোসেন।
মসজিদের ইমাম মো. মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মসজিদের মুসল্লিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর আগে মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা করি। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত নারীরা তারাবিহ নামাজ পড়ছেন।’
ইমাম মোবারক হোসেন আরও বলেন, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ নারী। কিন্তু নারীদের মসজিদে আসার সুযোগ না থাকায় তারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান থেকে দূরে রয়েছে। মসজিদে আসলে নারীরা ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে। কারণ, মসজিদে জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ছাড়া নবীজির আমলেও মসজিদে নারীরা নামাজ পড়তেন। মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ায় শরিয়তের কোনো বাধা নেই। অন্য মসজিদেও এভাবে নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত।’
এদিকে আওলিয়াবাদ জামে মসজিদের বিষয়টি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্শ্ববর্তী দশানী এলাকার বায়তুন নাজাত জামে মসজিদেও তিন বছর ধরে নারীরা নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। সেই সঙ্গে নারীদের জুমার নামাজ আদায়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। পথচারী নারীদের জন্য ওয়াক্তের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে এই মসজিদে।
বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে মায়ের সঙ্গে তারাবিহ পড়তে আসা ১১ বছর বয়সী ফাতেমা তুজজোহরা ইমা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মসজিদে এসে তারাবিহ পড়তে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। মসজিদের দোতলায় আমরা নামাজ পড়ি। আলাদা সিঁড়িতে ওঠানামার ব্যবস্থা আছে, কোনো সমস্যা হয় না।’
নাবিলা তাবাচ্ছুম নামের এক নারী বলেন, ‘মসজিদের নারীদের তারাবিহ করার ব্যবস্থাটা খুবই ভালো হয়েছে। তবে শহরের মসজিদগুলোতে যাতে নারীরা ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারে, সেই ধরনের ব্যবস্থা রাখলে খুব ভালো হতো।’
বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. বশির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহান আল্লাহ তাআলা ইবাদতের জন্য নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যে যেমন ভালো কাজ করবেন, আল্লাহ তেমন প্রতিদান দেবেন। মক্কা-মদিনা ও বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে নারীরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আমাদের দেশেও এটা শুরু হয়েছে। আমাদের এই মসজিদে শতাধিক নারী তারাবিহ ও জুমার নামাজ আদায় করেন।’
নারীদের আরও বেশি বেশি মসজিদে আসা উচিত মন্তব্য করে বশির উদ্দিন আরও বলেন, ‘পুরুষেরা জুমা ও ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে আসেন। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামিক আলোচনায় হরহামেশাই যায়। যেখানে তাঁরা ইসলামিক আলোচনা শুনতে পারেন। কিন্তু নারীদের এই সুযোগ খুব সীমিত। তাই নারীদের মসজিদে আসা উচিত বলে মনে করি।’
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগে