মুমিনের খুশির সওগাত রমজান

মাওলানা ইমরান হোসাইন
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ১০: ০৯
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২০: ৫৬

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে শিগগিরই আমাদের কাছে হাজির হচ্ছে বছরের সেরা মাস রমজান। রমজান মুমিনের জীবনের সবচেয়ে কল্যাণকর মাস। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুমিনদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক কল্যাণকর কোনো মাস অতিবাহিত হয় না এবং মুনাফিকদের জীবনে রমজানের চেয়ে অধিক অনিষ্টকর কোনো মাস অতিবাহিত হয় না।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৮৮৭০)

মাহে রমজান আমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ দয়া ও রহমত। এ মাসের আগমনে আমাদের খুশি হওয়া চাই। কারণ আল্লাহর নিয়ামত এলে খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা মুমিনের একান্ত কর্তব্য। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলে দিন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণায় তা এসেছে; সুতরাং এ নিয়ে তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত। তা তারা যা সঞ্চয় করেছে, তা থেকে অধিক উত্তম।’ (সুরা ইউনুস: ৫৮)

সচেতন মুসলিমমাত্রই মহিমান্বিত মাস রমজানের আগমনে আনন্দিত হন। রমজানকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে নতুন প্রাণে জেগে ওঠেন। যেমন আপনার কোনো প্রিয় মানুষ ও হিতাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি দীর্ঘ ১১ মাস আপনার থেকে দূরে থাকার পর ফিরে এলে নিশ্চয়ই আপনার আনন্দের সীমা থাকবে না। তেমনি রমজান এলে মুমিনের আনন্দের সীমা থাকে না।

রোজা বা সিয়াম সাধনা হলো রমজানের প্রাণ। কোরআন, হাদিস এমনকি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণেও রোজার উপকারিতা প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর রোজা রাখাই তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)

সুতরাং রমজান মানে মুমিনের জীবনে খুশির আলোড়ন। এ খুশি সাধনা ও অর্জনের; আনুষ্ঠানিকতা বা বিলাসিতার নয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই ফজিলতপূর্ণ মাসের প্রতি ইনসাফ করার তৌফিক দিন।

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত