আবদুল আযীয কাসেমি
আমরা যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাত তুলি, তখন আমাদের সবার মনেই এ চাওয়া থাকে যেন আমাদের এ প্রার্থনা তাঁর কাছে কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা নিজেই ওয়াদা করেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
তবে প্রায় সময়েই মনে হয়, আমাদের দোয়া কবুল হয়নি। দোয়া যদি সত্যিই আল্লাহর কাছে গৃহীত না হয়; তবে আমাদের বুঝতে হবে, নিশ্চয়ই দোয়া কবুলের কোনো একটি শর্ত আমার দোয়ায় অনুপস্থিত। হয়তো আমার বিশ্বাসে ঘাটতি ছিল অথবা আমার চাওয়ার মধ্যে ব্যাকুলতা ছিল না। আবার হতে পারে, দোয়ার শিষ্টাচার আমি রক্ষা করিনি।
এ রকম সময়ে আমরা এমন কিছু মানুষের শরণাপন্ন হই, যাদের ব্যাপারে আমাদের প্রবল ধারণা হয় যে তাদের দোয়া নিশ্চয়ই আল্লাহ কবুল করবেন। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য।
খোদ নবীজি (সা.) আমাদের জানিয়েছেন, তিন শ্রেণির লোক এমন আছে, যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। অর্থাৎ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তা গ্রহণ করেন। নবী (সা.) বলেন, ‘তিনটি দোয়া সন্দেহাতীতভাবে কবুল করা হয়। এক. নিপীড়িতের দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।’ (তিরমিজি: ৩৪৪৮)
আরেক হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মজলুমের আর্তনাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা তার দোয়া ও আল্লাহ তাআলার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি: ১৪৯৬)
সুতরাং এমন মানুষের কাছে আমরা বিশেষ প্রয়োজনে দোয়া চাইতে পারি। হতে পারে আল্লাহ তাআলা তাদের অসিলায় আমাদের প্রার্থনা শুনবেন। একইভাবে তাদের বদদোয়া থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা তাদের বদদোয়ায় উল্টে যেতে পারে আমাদের জীবনের চাকা। যেভাবে তাদের দোয়ায় ঘুরে যেতে পারে আমাদের জীবনের মোড়।
লেখক: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আমরা যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাত তুলি, তখন আমাদের সবার মনেই এ চাওয়া থাকে যেন আমাদের এ প্রার্থনা তাঁর কাছে কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা নিজেই ওয়াদা করেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
তবে প্রায় সময়েই মনে হয়, আমাদের দোয়া কবুল হয়নি। দোয়া যদি সত্যিই আল্লাহর কাছে গৃহীত না হয়; তবে আমাদের বুঝতে হবে, নিশ্চয়ই দোয়া কবুলের কোনো একটি শর্ত আমার দোয়ায় অনুপস্থিত। হয়তো আমার বিশ্বাসে ঘাটতি ছিল অথবা আমার চাওয়ার মধ্যে ব্যাকুলতা ছিল না। আবার হতে পারে, দোয়ার শিষ্টাচার আমি রক্ষা করিনি।
এ রকম সময়ে আমরা এমন কিছু মানুষের শরণাপন্ন হই, যাদের ব্যাপারে আমাদের প্রবল ধারণা হয় যে তাদের দোয়া নিশ্চয়ই আল্লাহ কবুল করবেন। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য।
খোদ নবীজি (সা.) আমাদের জানিয়েছেন, তিন শ্রেণির লোক এমন আছে, যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। অর্থাৎ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তা গ্রহণ করেন। নবী (সা.) বলেন, ‘তিনটি দোয়া সন্দেহাতীতভাবে কবুল করা হয়। এক. নিপীড়িতের দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।’ (তিরমিজি: ৩৪৪৮)
আরেক হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মজলুমের আর্তনাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা তার দোয়া ও আল্লাহ তাআলার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি: ১৪৯৬)
সুতরাং এমন মানুষের কাছে আমরা বিশেষ প্রয়োজনে দোয়া চাইতে পারি। হতে পারে আল্লাহ তাআলা তাদের অসিলায় আমাদের প্রার্থনা শুনবেন। একইভাবে তাদের বদদোয়া থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা তাদের বদদোয়ায় উল্টে যেতে পারে আমাদের জীবনের চাকা। যেভাবে তাদের দোয়ায় ঘুরে যেতে পারে আমাদের জীবনের মোড়।
লেখক: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
৩ দিন আগে