সুরা ইখলাসের মর্ম ও ফজিলত

আমজাদ ইউনুস
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭: ৪৬
ফাইল ছবি

সুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন এ সুরা নাজিল করেন। (সহিহ তিরমিজি)

সুরা ইখলাসের প্রথম আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো সমকক্ষ, সদৃশ, স্ত্রী, সন্তান, অংশীদার কিছুই নেই। একত্ব তাঁরই মধ্যে নিহিত। তাই তিনি পূর্ণতার অধিকারী, অদ্বিতীয়। সুন্দর নামসমূহ, পূর্ণ শ্রেষ্ঠ গুণাবলি এককভাবে শুধু তাঁরই। (তাফসিরে কুরতুবি)

দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।’ অর্থাৎ, সৃষ্টির সব প্রয়োজন পূরণ করেন আল্লাহ। জগতের সব সৃষ্টিই তাঁর প্রতি চূড়ান্তভাবে নির্ভরশীল। (তাফসিরে সাদি)

তৃতীয় আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয়নি।’ যারা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তাআলার কন্যা বলত অথবা ইসা (আ.) বা উজাইর (আ.)-কে আল্লাহ তাআলার পুত্র বলে দাবি করত, এ আয়াত দ্বারা তাদের দাবি খণ্ডন করা হয়েছে।

চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’

সুরা ইখলাসের অনেক ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ১০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হবে। যে ২০ বার পড়বে তার জন্য দুটি অট্টালিকা তৈরি করা হবে। আর যে ৩০ বার পড়বে তার জন্য তিনটি অট্টালিকা প্রস্তুত করা হবে।’ নবিজীর এ কথা শুনে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ‘তাহলে তো আমরা অনেক অট্টালিকার মালিক হয়ে যাব!’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তাআলার দান এর চেয়ে আরও প্রশস্ত।’ (মুসনাদে আহমদ)

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত