আমজাদ ইউনুস
সুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন এ সুরা নাজিল করেন। (সহিহ তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের প্রথম আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো সমকক্ষ, সদৃশ, স্ত্রী, সন্তান, অংশীদার কিছুই নেই। একত্ব তাঁরই মধ্যে নিহিত। তাই তিনি পূর্ণতার অধিকারী, অদ্বিতীয়। সুন্দর নামসমূহ, পূর্ণ শ্রেষ্ঠ গুণাবলি এককভাবে শুধু তাঁরই। (তাফসিরে কুরতুবি)
দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।’ অর্থাৎ, সৃষ্টির সব প্রয়োজন পূরণ করেন আল্লাহ। জগতের সব সৃষ্টিই তাঁর প্রতি চূড়ান্তভাবে নির্ভরশীল। (তাফসিরে সাদি)
তৃতীয় আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয়নি।’ যারা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তাআলার কন্যা বলত অথবা ইসা (আ.) বা উজাইর (আ.)-কে আল্লাহ তাআলার পুত্র বলে দাবি করত, এ আয়াত দ্বারা তাদের দাবি খণ্ডন করা হয়েছে।
চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’
সুরা ইখলাসের অনেক ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ১০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হবে। যে ২০ বার পড়বে তার জন্য দুটি অট্টালিকা তৈরি করা হবে। আর যে ৩০ বার পড়বে তার জন্য তিনটি অট্টালিকা প্রস্তুত করা হবে।’ নবিজীর এ কথা শুনে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ‘তাহলে তো আমরা অনেক অট্টালিকার মালিক হয়ে যাব!’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তাআলার দান এর চেয়ে আরও প্রশস্ত।’ (মুসনাদে আহমদ)
সুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন এ সুরা নাজিল করেন। (সহিহ তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের প্রথম আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো সমকক্ষ, সদৃশ, স্ত্রী, সন্তান, অংশীদার কিছুই নেই। একত্ব তাঁরই মধ্যে নিহিত। তাই তিনি পূর্ণতার অধিকারী, অদ্বিতীয়। সুন্দর নামসমূহ, পূর্ণ শ্রেষ্ঠ গুণাবলি এককভাবে শুধু তাঁরই। (তাফসিরে কুরতুবি)
দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।’ অর্থাৎ, সৃষ্টির সব প্রয়োজন পূরণ করেন আল্লাহ। জগতের সব সৃষ্টিই তাঁর প্রতি চূড়ান্তভাবে নির্ভরশীল। (তাফসিরে সাদি)
তৃতীয় আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয়নি।’ যারা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তাআলার কন্যা বলত অথবা ইসা (আ.) বা উজাইর (আ.)-কে আল্লাহ তাআলার পুত্র বলে দাবি করত, এ আয়াত দ্বারা তাদের দাবি খণ্ডন করা হয়েছে।
চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’
সুরা ইখলাসের অনেক ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ১০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হবে। যে ২০ বার পড়বে তার জন্য দুটি অট্টালিকা তৈরি করা হবে। আর যে ৩০ বার পড়বে তার জন্য তিনটি অট্টালিকা প্রস্তুত করা হবে।’ নবিজীর এ কথা শুনে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ‘তাহলে তো আমরা অনেক অট্টালিকার মালিক হয়ে যাব!’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তাআলার দান এর চেয়ে আরও প্রশস্ত।’ (মুসনাদে আহমদ)
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৩ ঘণ্টা আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
৩ ঘণ্টা আগেতসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন..
৩ ঘণ্টা আগে