আমজাদ ইউনুস
নজর ইবনুল হারিস ইবনে আলকামা
তিনি রাসুল (সা.)-এর খালাতো ভাই। কুরাইশের অন্যতম সাহসী সর্দার। নজর ও তাঁর বাবা উভয়েই শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান ছিলেন। ফারসি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। বদরের যুদ্ধে কাফেরদের পতাকা নিয়ে যুদ্ধ করতে এসে মুসলমানদের হাতে বন্দী হন। যখন কোরআনের শিক্ষা দ্বারা আরবদের জীবনে বিপ্লব শুরু হয়; তাদের অন্তর ইসলামের দিকে আকর্ষিত হতে থাকে, তারা ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকে। দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে থাকে। সেই সময় কোরআনের বিরোধিতা করেন নজর ইবনুল হারিস। তার নোংরা ঝুলি থেকে কাল্পনিক মিথ্যা গল্প পেশ করতে থাকেন। তিনি মানুষকে সঠিক পথে যেতে বাধা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের বাণী আমার কথার চেয়ে উত্তম নয়। তার কথামালা পুরোনো কাল্পনিক গল্প। সে সেই সব কথা লিখিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করেছে, যেভাবে আমি সংরক্ষণ করি।’
আল-হারিস ইবনে আলকামা
তিনি ছিলেন নজরের বাবা। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি। সেই সময় শাম ও হিরা বইয়ের মূল কেন্দ্র ছিল। তিনি সেখান থেকে বই সংগ্রহ করে নিজের গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ করতেন। তাঁর কাছে আরবের সাহিত্য ও ইতিহাস ছাড়া পারস্যের ইতিহাস ও সাহিত্যের সংগ্রহও সংরক্ষিত ছিল। তাই তাঁর গ্রন্থাগারটি একটি অনন্য গ্রন্থাগারের মর্যাদা পেয়েছিল। জাহিলি যুগে যে কয়েকটি কোরাইশি গ্রন্থাগারের সন্ধান পাওয়া যায়, তার মধ্যে আল-হারিস ইবনে আলকামা ও তাঁর পুত্র নজরের গ্রন্থাগারকে বৈচিত্র্যময় জ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে অনন্য অসাধারণ গ্রন্থাগার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ওয়ারাকা ইবনে নওফল
তিনি একজন পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মূর্তিপূজা ও তাদের নামে উৎসর্গ করে প্রাণী জবাইয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি সত্যের সন্ধানে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে যখন প্রথম অহি আসে, তখন খাদিজা (রা.) নবীজিকে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন। নবী (সা.) তাঁকে হেরা গুহার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি নবীজিকে নবী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। জীবিত থাকলে পাশে থাকার এবং সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি সিরিয়াক, হিব্রু ও আরবি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। আসমানি কিতাবসমূহ আর অন্যান্য বইপুস্তক পড়তেন। তিনি হিব্রু থেকে আরবি ভাষায় ইঞ্জিলের অনুবাদ শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন কি না, তা জানা যায় না। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, মক্কায় তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে হিব্রু ও আরবি ভাষার বই, সাহিত্য, ইতিহাস ও ধর্মীয় বইপুস্তক ছিল।
তিনি নবী (সা.)-এর প্রাথমিক যুগে জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর ইসলাম গ্রহণ বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।
নজর ইবনুল হারিস ইবনে আলকামা
তিনি রাসুল (সা.)-এর খালাতো ভাই। কুরাইশের অন্যতম সাহসী সর্দার। নজর ও তাঁর বাবা উভয়েই শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান ছিলেন। ফারসি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। বদরের যুদ্ধে কাফেরদের পতাকা নিয়ে যুদ্ধ করতে এসে মুসলমানদের হাতে বন্দী হন। যখন কোরআনের শিক্ষা দ্বারা আরবদের জীবনে বিপ্লব শুরু হয়; তাদের অন্তর ইসলামের দিকে আকর্ষিত হতে থাকে, তারা ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকে। দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে থাকে। সেই সময় কোরআনের বিরোধিতা করেন নজর ইবনুল হারিস। তার নোংরা ঝুলি থেকে কাল্পনিক মিথ্যা গল্প পেশ করতে থাকেন। তিনি মানুষকে সঠিক পথে যেতে বাধা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের বাণী আমার কথার চেয়ে উত্তম নয়। তার কথামালা পুরোনো কাল্পনিক গল্প। সে সেই সব কথা লিখিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করেছে, যেভাবে আমি সংরক্ষণ করি।’
আল-হারিস ইবনে আলকামা
তিনি ছিলেন নজরের বাবা। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি। সেই সময় শাম ও হিরা বইয়ের মূল কেন্দ্র ছিল। তিনি সেখান থেকে বই সংগ্রহ করে নিজের গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ করতেন। তাঁর কাছে আরবের সাহিত্য ও ইতিহাস ছাড়া পারস্যের ইতিহাস ও সাহিত্যের সংগ্রহও সংরক্ষিত ছিল। তাই তাঁর গ্রন্থাগারটি একটি অনন্য গ্রন্থাগারের মর্যাদা পেয়েছিল। জাহিলি যুগে যে কয়েকটি কোরাইশি গ্রন্থাগারের সন্ধান পাওয়া যায়, তার মধ্যে আল-হারিস ইবনে আলকামা ও তাঁর পুত্র নজরের গ্রন্থাগারকে বৈচিত্র্যময় জ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে অনন্য অসাধারণ গ্রন্থাগার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ওয়ারাকা ইবনে নওফল
তিনি একজন পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মূর্তিপূজা ও তাদের নামে উৎসর্গ করে প্রাণী জবাইয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি সত্যের সন্ধানে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে যখন প্রথম অহি আসে, তখন খাদিজা (রা.) নবীজিকে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন। নবী (সা.) তাঁকে হেরা গুহার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি নবীজিকে নবী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। জীবিত থাকলে পাশে থাকার এবং সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি সিরিয়াক, হিব্রু ও আরবি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। আসমানি কিতাবসমূহ আর অন্যান্য বইপুস্তক পড়তেন। তিনি হিব্রু থেকে আরবি ভাষায় ইঞ্জিলের অনুবাদ শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন কি না, তা জানা যায় না। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, মক্কায় তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে হিব্রু ও আরবি ভাষার বই, সাহিত্য, ইতিহাস ও ধর্মীয় বইপুস্তক ছিল।
তিনি নবী (সা.)-এর প্রাথমিক যুগে জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর ইসলাম গ্রহণ বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।
পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
৯ ঘণ্টা আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৩ দিন আগে