ইসলাম ডেস্ক
দান-সদকার ক্ষেত্রে নিজের প্রিয় বস্তু বা সম্পদকে প্রাধান্য দিতে হবে। নিজের সবচেয়ে সখের বস্তুটি দান করে দেওয়াই সবচেয়ে উত্তম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাই নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো। নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয়ের ইচ্ছা করো না। কেননা তোমরা তা কখনোই গ্রহণ করবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কিছুতেই পুণ্যের নাগাল পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে (আল্লার জন্য) ব্যয় করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯২) এই আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর সাহাবিদের মধ্যে প্রিয় বস্তু দান করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, সে সময়ে মদিনার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন আবু তালহা (রা.)। মসজিদ-ই-নববীর কাছে তাঁর একটি বাগান ছিল। নাম ‘বাহিরা’। নিজ সম্পত্তির মধ্যে এ বাগানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। রাসুল (সা.) প্রায়ই যেতেন বাগানে। বাগানে অবস্থিত কূপ থেকে মিষ্টি পানি পান করতেন। কোরআনে উত্তম বস্তু দানের নির্দেশ দিলে তিনি নবীজি (সা.)-এর দরবারে এসে বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ বাহিরা আল্লাহর পথে সদকা করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৪৬১)
উল্লিখিত নির্দেশ আসার পর জায়েদ বিন হারেসা (রা.) দেখলেন বাহনের ঘোড়া তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। তিনি তা নিয়েই উপস্থিত হলেন নবীজির দরবারে। নবীজি খুশিমনে তা গ্রহণ করলেন এবং ঘোড়াটি জায়েদ (রা.)-এর ছেলে ওসামাকে দিয়ে দিলেন। নিজের সম্পদ নিজের ঘরে ফিরে যেতে দেখে তিনি মনঃক্ষুণ্ন। নবীজি (সা.) তাঁকে কাছে ডেকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, মনঃক্ষুণ্ন হয়ো না জায়েদ। তোমার সদকা কবুল হয়েছে।’ (মাআরেফুল কোরআন)
দান-সদকার ক্ষেত্রে নিজের প্রিয় বস্তু বা সম্পদকে প্রাধান্য দিতে হবে। নিজের সবচেয়ে সখের বস্তুটি দান করে দেওয়াই সবচেয়ে উত্তম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাই নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো। নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয়ের ইচ্ছা করো না। কেননা তোমরা তা কখনোই গ্রহণ করবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কিছুতেই পুণ্যের নাগাল পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে (আল্লার জন্য) ব্যয় করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯২) এই আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর সাহাবিদের মধ্যে প্রিয় বস্তু দান করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, সে সময়ে মদিনার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন আবু তালহা (রা.)। মসজিদ-ই-নববীর কাছে তাঁর একটি বাগান ছিল। নাম ‘বাহিরা’। নিজ সম্পত্তির মধ্যে এ বাগানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। রাসুল (সা.) প্রায়ই যেতেন বাগানে। বাগানে অবস্থিত কূপ থেকে মিষ্টি পানি পান করতেন। কোরআনে উত্তম বস্তু দানের নির্দেশ দিলে তিনি নবীজি (সা.)-এর দরবারে এসে বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ বাহিরা আল্লাহর পথে সদকা করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৪৬১)
উল্লিখিত নির্দেশ আসার পর জায়েদ বিন হারেসা (রা.) দেখলেন বাহনের ঘোড়া তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। তিনি তা নিয়েই উপস্থিত হলেন নবীজির দরবারে। নবীজি খুশিমনে তা গ্রহণ করলেন এবং ঘোড়াটি জায়েদ (রা.)-এর ছেলে ওসামাকে দিয়ে দিলেন। নিজের সম্পদ নিজের ঘরে ফিরে যেতে দেখে তিনি মনঃক্ষুণ্ন। নবীজি (সা.) তাঁকে কাছে ডেকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, মনঃক্ষুণ্ন হয়ো না জায়েদ। তোমার সদকা কবুল হয়েছে।’ (মাআরেফুল কোরআন)
রমজান রহমতের মাস। আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দেন। তাই আমাদেরও উচিত, আল্লাহর অসহায় বান্দাদের প্রতি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া; তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করা। এ কাজে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। কারণ আল্লাহ তাআলা ত
৩৬ মিনিট আগেযুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা নিয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিজ্ঞ ফকিহরা। এখানে কিছু বিষয়ের সমাধান তুলে ধরা হলো
৩৯ মিনিট আগেরমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে পুরো বিশ্বের মসজিদগুলোতে ও মুসলমানদের ঘরে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত করতে শোনা যায়। বিশেষ করে রমজানের ‘মোকাবিলা’ অনুষ্ঠান মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
৪৪ মিনিট আগেমহানবী (সা.)-এর নারী সাহাবিরা আমল-আখলাক ও তাকওয়া-পরহেজগারিতে কোনো অংশেই পুরুষ সাহাবিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। পবিত্র মাস রমজানেও তার ব্যতিক্রম হতো না। মাসজুড়ে সিয়ামসাধনায় তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রোজা, নামাজ, তিলাওয়াত থেকে শুরু করে সব ইবাদতই তাঁরা পালন করতেন।
১ ঘণ্টা আগে