Ajker Patrika

জার্মান প্রাচ্যবিদের ইসলামে মুগ্ধতা

আমজাদ ইউনুস 
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৩২
জার্মান প্রাচ্যবিদের ইসলামে মুগ্ধতা

জার্মান প্রাচ্যবিদ ড. অ্যানেমারি শিমেল (১৯২২-২০০৩) ছিলেন অসাধারণ শিক্ষক ও বহু ভাষার পণ্ডিত। আধুনিক যুগের বিস্ময়কর নারী প্রতিভা হিসেবে তাঁর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। পাশ্চাত্যের অন্যতম সেরা ধর্মতত্ত্ববিদ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত তিনি। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা ছিল নজিরবিহীন। তাঁর গল্প লিখেছেন আমজাদ ইউনুস

১৯২২ সালের ৭ এপ্রিল জার্মানির এরফুর্টে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে শিমেলের জন্ম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে আরবি ভাষা শেখা শুরু করেন। এ সময় তিনি ফারসি, তুর্কি ও উর্দু ভাষা শেখার পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের নীতি এবং আরব ও ইসলামের ইতিহাসের পাঠও পেয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ডক্টরেট লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘মধ্যযুগের শেষ পর্বে মিসর’।

বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি ও সহকর্মীরা মার্কিন বাহিনীর হাতে বন্দী হন। শিমেল বন্দিশিবিরে একটি ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু করেন। সেখানে তাঁর প্রথম লেকচার ছিল ইসলাম বিষয়ে। তখন সুফিবাদ বিষয়ে গবেষণা করে দ্বিতীয়বার ডক্টরেট অর্জন করেন। তুর্কি ভাষায় পারদর্শী হওয়ার কারণে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিলেন।

জার্মান এই নারী ইসলাম বিষয়ে গবেষক এবং ইসলামি কবিতার অনুবাদক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অমুসলিম হয়েও খ্রিষ্টবাদ ও ইহুদিবাদে প্রভাবিত ছিলেন না। বিভ্রান্তিপূর্ণ ও শত্রুর দৃষ্টিতে ইসলাম কিংবা মুসলমানদের দেখেননি। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি তার শ্রদ্ধাপূর্ণ ও ভক্তিমিশ্রিত অবস্থান ছিল। আরবি, উর্দু, ফারসি, তুর্কি ও সিন্ধি ভাষার বেশ কিছু ইসলামি কবিতা জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন। ইসলামি সাহিত্য-সংস্কৃতি, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে শতাধিক বই রচনা করেছেন।

মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি তাঁর হৃদয়ে অশেষ প্রেম, ভালোবাসা ও ভক্তি ছিল। নবীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ইসলামের রাসুলের প্রতি আমার ভালোবাসার জন্য আমাকে দোষারোপ করবেন না। ইসলাম ও তার রাসুলের প্রতি আমার অগাধ ও গভীর ভালোবাসা রয়েছে। অনেকেই বলে, আমি গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছি। একজন হিন্দু কবির একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলি—আমি কাফির না মুমিন এটা একমাত্র মহান আল্লাহই জানেন। তবে আমি আল্লাহর নবী মুহাম্মদের একনিষ্ঠ প্রেমিক হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।’

১৯৮৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর রচিত নবীজির জীবনীগ্রন্থ। নাম ‘অ্যান্ড মুহাম্মদ ইজ হিস মেসেনজার: দ্য ভেনারেশন অব দ্য প্রফেট ইন ইসলামিক পাইটি’। বইটি আরবি ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধাপূর্ণ অবস্থান ছিল। কোরআনের সত্যতা, আরবি ভাষার নান্দনিকতা ও শক্তির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পবিত্র কোরআন ইসলামি সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী। পাশাপাশি আরবি ভাষা এবং জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এর প্রভাব দেখা যায়। আরবি ভাষার শক্তির একটি দিক হলো, অনারব যেসব মুসলমান ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে, তারা আরবিতে ধর্মীয় জ্ঞানের বোঝাপড়া করতে পারে।’

পবিত্র কোরআনের সত্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পবিত্র কোরআন নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ অলৌকিক ঘটনা। তাঁর নবুওয়তের চূড়ান্ত প্রমাণ। এটি সব মানুষের জন্য আল্লাহর অবতীর্ণ বাণী। আগের নবী-রাসুলদের ওপর মহান আল্লাহর অবতীর্ণ গ্রন্থসমূহের চেয়ে কোরআন প্রভাবশালী। কোরআন মন, বিবেক ও আবেগ-অনুভূতিতে স্পর্শ করে।’

জীবনের শেষ মুহূর্ত কোরআনের সঙ্গে কাটানো তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর কবরে প্রবেশ করানোর আগে আমার মাথার সামনে যেন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, যাতে এই পবিত্র বাণীগুলো দিয়ে পৃথিবীতে আমার শেষ সময় অতিবাহিত হয়।’

ড. অ্যানেমারি শিমেল কর্মজীবনে তাঁর জ্ঞান-গবেষণা ও মনীষা মর্যাদা পেয়েছেন নানাভাবে। বহুবার তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রিতে। নানা দেশ থেকে পেয়েছেন অনেক পদক-পুরস্কার। ১৯৯৫ সালে জার্মানির সম্মানজনক ‘শান্তি পুরস্কার’ অর্জন করেন। তখন জার্মানির প্রেসিডেন্ট প্রশংসাবাণী পাঠ করেছিলেন। উর্দু ভাষা ও ইকবালের বিষয়ে অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে ‘হেলাল-ই-ইমতিয়াজ’ পুরস্কারে ভূষিত করে।

সূত্র: আলখালিজ ডটএই ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও পরকালীন পুরস্কার

ইসলাম ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।

শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)

একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)

ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)

সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩২ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১৩ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৫ মিনিট০৬: ৩৪ মিনিট
এশা০৬: ৩৫ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের কারণে এগিয়ে এল কওমি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।

প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।

প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।

এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।

২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত