মুমিনের অপরিহার্য ৯ গুণ

হুসাইন আহমদ
Thumbnail image

একজন মুসলমানকে আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ ইমানদার হিসেবে বিবেচিত হতে হলে ইমান আনার পাশাপাশি আরও অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। পবিত্র কোরআনের সুরা তওবার একটি আয়াতে তেমনই বিশেষ কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যা জান্নাতে যাওয়ার কারণ।

এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনরা তওবাকারী, ইবাদতকারী, প্রশংসাকারী, রোজা পালনকারী বা আল্লাহর পথে ভ্রমণকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, সৎকাজের নির্দেশদাতা, অসৎ কাজে নিষেধকারী ও আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী। এই মুমিনদের সুখবর দাও।’ (সুরা তাওবা: ১১২)

আয়াতে যে ৯টি বিশেষ গুণের কথা বলা হয়েছে, এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

১. ইমানদার পাপাচার থেকে তওবা করে। মুমিনের জীবনেও গুনাহের কাজ ঘটে যায়, তবে দ্রুত তওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসাই মুমিনের কাজ।

২. ইমানদার একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করে। ধারাবাহিক আমল ও আনুগত্যের মাধ্যমে সে তার বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়।

৩. ইমানদার সুখে-দুঃখে আল্লাহর প্রশংসা করে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, সুখ ও আনন্দের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যার মাধ্যমে সব ভালো কাজ পূর্ণতা লাভ করে।’ আর দুঃখ ও বেদনার বিষয়ে তিনি বলতেন, ‘সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা।’ (তাফসিরে মুনির)

৪. মুমিন ব্যক্তি রোজা পালন করে এবং আল্লাহর পথে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে।

৫. ইমানদারেরা রুকু করে।

৬. সিজদা করে। রুকু-সিজদা বলতে এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা বোঝানো হয়েছে।

৭. ইমান ও আনুগত্যের পথে মানুষকে আহ্বান করে।

৮. শিরক ও পাপাচারে মানুষকে বাধা দেয়।

৯. মহান আল্লাহ শরিয়তের যে সীমারেখা নির্ধারণ করেছেন, মুমিন তা পুরোপুরি মেনে চলে। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক কর্মকাণ্ড এ সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ রাখে।

হুসাইন আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত