রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে