ইসলাম ডেস্ক
আল্লাহ তাআলা কিছু সময়কে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। সময়গুলো আল্লাহর সঙ্গে ‘বিপুল মুনাফায় ব্যবসা করার’ ভরা মৌসুম। সেই সময়গুলোর একটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন। রমজানের বাকি দিনগুলোর চেয়ে এই ১০ দিনের ফজিলত অনেক বেশি। এই দশকের রাতগুলো যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি দিনগুলোও ফজিলতে পূর্ণ। এই সময়ে মহানবী (সা.) বিভিন্ন ইবাদতে নিবিড়ভাবে মগ্ন থাকতেন। তাঁর আমলগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
ইতিকাফ
এই দশকে মহানবী (সা.) যে ইবাদতটির প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতেন তা হলো ইতিকাফ। আল্লাহর ইবাদতের জন্য সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে এবং পবিত্র লাইলাতুল কদরের খোঁজ করার উদ্দেশ্যে এই দশকে তিনি মসজিদে অবস্থান করতেন। জীবদ্দশায় একাধিকবার তিনি ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.)–এর বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) ইন্তেকাল অবধি প্রতি বছরই ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০২৬; সহিহ্ মুসলিম: ১১৭২)
অন্যান্য ইবাদত
রমজানের শেষ দশকের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, নবী (সা.) এই দিনগুলোতে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য কোনো সময় করতেন না। নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকাসহ সব ফজিলতপূর্ণ কাজে তিনি মগ্ন থাকতেন। মুসলিম শরিফে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৭৫) অন্য হাদিসে হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুল (সা.) (ইবাদত-বন্দেগি করার নিমিত্তে) তাঁর পরিবারবর্গকে (রাতে) জাগিয়ে দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৯৫; মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ২৫৬)
শবে কদর অন্বেষণ
রমজানের শেষ দশকের অন্যতম সেরা ফজিলত হলো, এই দশকেরই কোনো একটি রাত পবিত্র শবে কদর। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের অনেক বৈশিষ্ট্য ও ফজিলতের কথা বলেছেন। যেমন:
—এই পবিত্র রাতেই পুরো কোরআন মজিদ প্রথম আসমানে নাজিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি লাইলাতুল কদরেই এটি (কোরআন) নাজিল করেছি।’ (সুরা কদর: ১)
—পবিত্র ওই রাতকে হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘লাইলাতুল কদর হাজার রাতের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ৩)
—অন্য সুরায় এই রাতকে ‘বরকতময় রজনী’ বলেছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি (কোরআন) বরকতময় রজনীতে নাজিল করেছি।’ (সুরা দুখান: ৩)
—এই পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এমনকি স্বয়ং জিবরাইল (আ.)-ও। এই রাতে বিপুল পরিমাণে বরকত নাজিল হয়। সঙ্গে বিপুলসংখ্যক ফেরেশতা নেমে আসেন।
—এই পবিত্র রাতকে ‘সালাম’ তথা শান্ত ও নিরাপদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শয়তান এই রাতে কোনো অনিষ্ট ও মন্দ কাজ করতে পারে না। এ ছাড়া ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে বান্দা নিরাপদ থাকেন।
—লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকেরই কোনো একটি রাত। আয়েশা ও ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০২০) এটি আয়েশা (রা.)-এর বর্ণিত হাদিসের ভাষ্য।
শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর একটি হওয়ার ব্যাপারটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত। আয়েশা (রা.) অন্য হাদিসে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০১৭)
আল্লাহ তাআলা কিছু সময়কে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। সময়গুলো আল্লাহর সঙ্গে ‘বিপুল মুনাফায় ব্যবসা করার’ ভরা মৌসুম। সেই সময়গুলোর একটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন। রমজানের বাকি দিনগুলোর চেয়ে এই ১০ দিনের ফজিলত অনেক বেশি। এই দশকের রাতগুলো যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি দিনগুলোও ফজিলতে পূর্ণ। এই সময়ে মহানবী (সা.) বিভিন্ন ইবাদতে নিবিড়ভাবে মগ্ন থাকতেন। তাঁর আমলগুলোর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
ইতিকাফ
এই দশকে মহানবী (সা.) যে ইবাদতটির প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতেন তা হলো ইতিকাফ। আল্লাহর ইবাদতের জন্য সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে এবং পবিত্র লাইলাতুল কদরের খোঁজ করার উদ্দেশ্যে এই দশকে তিনি মসজিদে অবস্থান করতেন। জীবদ্দশায় একাধিকবার তিনি ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.)–এর বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) ইন্তেকাল অবধি প্রতি বছরই ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০২৬; সহিহ্ মুসলিম: ১১৭২)
অন্যান্য ইবাদত
রমজানের শেষ দশকের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, নবী (সা.) এই দিনগুলোতে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য কোনো সময় করতেন না। নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকাসহ সব ফজিলতপূর্ণ কাজে তিনি মগ্ন থাকতেন। মুসলিম শরিফে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৭৫) অন্য হাদিসে হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুল (সা.) (ইবাদত-বন্দেগি করার নিমিত্তে) তাঁর পরিবারবর্গকে (রাতে) জাগিয়ে দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৯৫; মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ২৫৬)
শবে কদর অন্বেষণ
রমজানের শেষ দশকের অন্যতম সেরা ফজিলত হলো, এই দশকেরই কোনো একটি রাত পবিত্র শবে কদর। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের অনেক বৈশিষ্ট্য ও ফজিলতের কথা বলেছেন। যেমন:
—এই পবিত্র রাতেই পুরো কোরআন মজিদ প্রথম আসমানে নাজিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি লাইলাতুল কদরেই এটি (কোরআন) নাজিল করেছি।’ (সুরা কদর: ১)
—পবিত্র ওই রাতকে হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘লাইলাতুল কদর হাজার রাতের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ৩)
—অন্য সুরায় এই রাতকে ‘বরকতময় রজনী’ বলেছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি (কোরআন) বরকতময় রজনীতে নাজিল করেছি।’ (সুরা দুখান: ৩)
—এই পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এমনকি স্বয়ং জিবরাইল (আ.)-ও। এই রাতে বিপুল পরিমাণে বরকত নাজিল হয়। সঙ্গে বিপুলসংখ্যক ফেরেশতা নেমে আসেন।
—এই পবিত্র রাতকে ‘সালাম’ তথা শান্ত ও নিরাপদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শয়তান এই রাতে কোনো অনিষ্ট ও মন্দ কাজ করতে পারে না। এ ছাড়া ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে বান্দা নিরাপদ থাকেন।
—লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকেরই কোনো একটি রাত। আয়েশা ও ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০২০) এটি আয়েশা (রা.)-এর বর্ণিত হাদিসের ভাষ্য।
শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর একটি হওয়ার ব্যাপারটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত। আয়েশা (রা.) অন্য হাদিসে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০১৭)
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
২ দিন আগে