ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
সাধারণ পানির তুলনায় জমজমের পানির বিশেষত্ব ভিন্ন। তাই জমজমের পানি পান করারও কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এ পানি দাঁড়িয়ে পান করার পাশাপাশি কিবলামুখী হয়ে তিন নিশ্বাসে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তৃপ্তিসহ পান করা সুন্নত। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতেন।’ (তিরমিজি)।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, ‘যেহেতু জমজমের কূপের কাছে প্রচুর জনসমাগম হয়, খুব ভিড় থাকায় বসার সুযোগ থাকে না, তাই মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য মহানবী (সা.) এভাবে জমজমের পানি পান করেছিলেন। তবে, কেউ যদি বসে পান করে তাতে কোনো পাপ হবে না।বিশেষ অবস্থায় যেমন দাঁড়িয়ে পান করা আবশ্যক হয়ে পড়ে, তেমনি বিশেষ অবস্থায় বসে পান করাও বৈধ।
জমজমের পানি পানের নিয়ম সম্পর্কে মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথা থেকে এসেছ?’ সে বলল, ‘আমি জমজমের কাছ থেকে এসেছি।’ তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমতো পানি পান করেছ?’ সে বলল, ‘আমি তা থেকে কীভাবে পানি পান করব?’ তিনি বলেন, ‘তুমি তা থেকে পানি পানকালে কিবলামুখী হবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, তিনবার নিশ্বাস নেবে এবং তৃপ্তিসহকারে পান করবে। পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তিসহ জমজমের পানি পান করে না।’ (ইবন মাজাহ)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সাধারণ পানির তুলনায় জমজমের পানির বিশেষত্ব ভিন্ন। তাই জমজমের পানি পান করারও কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এ পানি দাঁড়িয়ে পান করার পাশাপাশি কিবলামুখী হয়ে তিন নিশ্বাসে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তৃপ্তিসহ পান করা সুন্নত। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতেন।’ (তিরমিজি)।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, ‘যেহেতু জমজমের কূপের কাছে প্রচুর জনসমাগম হয়, খুব ভিড় থাকায় বসার সুযোগ থাকে না, তাই মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য মহানবী (সা.) এভাবে জমজমের পানি পান করেছিলেন। তবে, কেউ যদি বসে পান করে তাতে কোনো পাপ হবে না।বিশেষ অবস্থায় যেমন দাঁড়িয়ে পান করা আবশ্যক হয়ে পড়ে, তেমনি বিশেষ অবস্থায় বসে পান করাও বৈধ।
জমজমের পানি পানের নিয়ম সম্পর্কে মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথা থেকে এসেছ?’ সে বলল, ‘আমি জমজমের কাছ থেকে এসেছি।’ তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমতো পানি পান করেছ?’ সে বলল, ‘আমি তা থেকে কীভাবে পানি পান করব?’ তিনি বলেন, ‘তুমি তা থেকে পানি পানকালে কিবলামুখী হবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, তিনবার নিশ্বাস নেবে এবং তৃপ্তিসহকারে পান করবে। পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তিসহ জমজমের পানি পান করে না।’ (ইবন মাজাহ)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১৮ ঘণ্টা আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৩ দিন আগে