ইসলাম ডেস্ক
দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের ১৭ তারিখ সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। মক্কার কাফির ও মদিনায় বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত প্রথম বড় যুদ্ধ এটি। মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৮০ মাইল দূরের বদর উপত্যকায় এটি সংঘটিত হয়।
মক্কা থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করার পর কাফিররা মদিনা থেকেও মুসলমানদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করতে থাকলে মহানবী (সা.) কুরাইশের ব্যবসায়ী কাফেলা আটকে দিতে বদরের দিকে রওনা হয়েছিলেন। খবর পেয়ে মক্কা থেকে সহস্রাধিক সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে আবু জাহেল বদরের উদ্দেশে যাত্রা করে। মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এ যুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানেরা বিজয়ী হন। ১৪ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং ৭০ জন কাফির মারা যায়। ৭০ জন কাফিরকে বন্দী করে মদিনায় নিয়ে আসা হয়। এখানে বদরের যুদ্ধে বন্দীদের সঙ্গে মহানবী (সা.) ও সাহাবিদের আচরণ এবং বন্দীদের কীভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তা তুলে ধরা হলো—
বন্দীদের মদিনায় আনার পর মহানবী (সা.) সাহাবিদের মধ্যে তাদের ভাগ করে দেন। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার আদেশ দেন। সাহাবিগণ মহানবী (সা.)-এর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। নিজেরা তুলনামূলক কম দামি খাবার খেয়ে দামিটা বন্দীদের খাওয়ালেন। সাহাবিরা আরবের সাধারণ খাদ্য খেজুর খেলেন আর বন্দীদের মূল্যবান রুটি খাওয়ালেন। (ইবনে হিশাম: ১ / ৬৪৪-৪৫)
এরপর মহানবী (সা.) বন্দীদের ব্যাপারে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। আবু বকর (রা.) মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে বললেন। তবে ওমর (রা.) তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করে বললেন, সবাই যার যার আত্মীয়কে হত্যা করুক। মহানবী (সা.) আবু বকর (রা.)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন এবং অধিকাংশ বন্দীকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলেন। বন্দীদের মুক্তিপণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৪ হাজার দিরহাম।
মহানবী (সা.)-এর জামাই আবুল আসসহ কয়েকজন বন্দীকে মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ তালিকায় মুত্তালিব ইবনু হানতাব, সাইফি ইবনে আবি রিফাআহ এবং আবু ইযযাহ জুমাহির নাম পাওয়া যায়। শেষের দুজনকে উহুদের যুদ্ধে বন্দী ও হত্যা করা হয়।
মুক্তিপণ দিতে অক্ষম এমন কয়েকজনকে মদিনার মুসলমানদের দশজন সন্তানকে পড়ালেখা শেখানোর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার চুক্তি করেন। ভালোভাবে পড়ালেখা শেখানো পর্যন্ত তাদের মদিনায় থাকতে হবে—এই শর্তে।
বন্দীদের মধ্যে সুহায়েল ইবনে আমর নামে এক লোক ছিল। সে ছিল বড় বাকপটু, ভালো বক্তা। ওমর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সুহায়েল ইবনু আমরের সামনের দাঁত দুটি ভেঙে দেওয়া হোক, যাতে সে কোনো জায়গায় বক্তা হয়ে আপনার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতে না পারে।’ তবে রাসুল (সা.) তাঁর আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন। কারণ অঙ্গ বিকৃতি ইসলামে নিষিদ্ধ।
সাহাবি সাআদ ইবনে নুমান (রা.)-কে মক্কার কাফির আবু সুফইয়ান বন্দী করেছিল। এদিকে আবু সুফইয়ান ছেলে আমর বদরের যুদ্ধে বন্দী হয়। সুতরাং বন্দী বিনিময় হিসেবে হজরত সাদকে মুক্ত করে দেওয়ার শর্তে আমরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম ও নবীদের কাহিনি বই থেকে সংক্ষেপে
দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসের ১৭ তারিখ সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। মক্কার কাফির ও মদিনায় বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত প্রথম বড় যুদ্ধ এটি। মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৮০ মাইল দূরের বদর উপত্যকায় এটি সংঘটিত হয়।
মক্কা থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করার পর কাফিররা মদিনা থেকেও মুসলমানদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করতে থাকলে মহানবী (সা.) কুরাইশের ব্যবসায়ী কাফেলা আটকে দিতে বদরের দিকে রওনা হয়েছিলেন। খবর পেয়ে মক্কা থেকে সহস্রাধিক সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে আবু জাহেল বদরের উদ্দেশে যাত্রা করে। মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এ যুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানেরা বিজয়ী হন। ১৪ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং ৭০ জন কাফির মারা যায়। ৭০ জন কাফিরকে বন্দী করে মদিনায় নিয়ে আসা হয়। এখানে বদরের যুদ্ধে বন্দীদের সঙ্গে মহানবী (সা.) ও সাহাবিদের আচরণ এবং বন্দীদের কীভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তা তুলে ধরা হলো—
বন্দীদের মদিনায় আনার পর মহানবী (সা.) সাহাবিদের মধ্যে তাদের ভাগ করে দেন। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার আদেশ দেন। সাহাবিগণ মহানবী (সা.)-এর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। নিজেরা তুলনামূলক কম দামি খাবার খেয়ে দামিটা বন্দীদের খাওয়ালেন। সাহাবিরা আরবের সাধারণ খাদ্য খেজুর খেলেন আর বন্দীদের মূল্যবান রুটি খাওয়ালেন। (ইবনে হিশাম: ১ / ৬৪৪-৪৫)
এরপর মহানবী (সা.) বন্দীদের ব্যাপারে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। আবু বকর (রা.) মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে বললেন। তবে ওমর (রা.) তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করে বললেন, সবাই যার যার আত্মীয়কে হত্যা করুক। মহানবী (সা.) আবু বকর (রা.)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন এবং অধিকাংশ বন্দীকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলেন। বন্দীদের মুক্তিপণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৪ হাজার দিরহাম।
মহানবী (সা.)-এর জামাই আবুল আসসহ কয়েকজন বন্দীকে মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ তালিকায় মুত্তালিব ইবনু হানতাব, সাইফি ইবনে আবি রিফাআহ এবং আবু ইযযাহ জুমাহির নাম পাওয়া যায়। শেষের দুজনকে উহুদের যুদ্ধে বন্দী ও হত্যা করা হয়।
মুক্তিপণ দিতে অক্ষম এমন কয়েকজনকে মদিনার মুসলমানদের দশজন সন্তানকে পড়ালেখা শেখানোর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার চুক্তি করেন। ভালোভাবে পড়ালেখা শেখানো পর্যন্ত তাদের মদিনায় থাকতে হবে—এই শর্তে।
বন্দীদের মধ্যে সুহায়েল ইবনে আমর নামে এক লোক ছিল। সে ছিল বড় বাকপটু, ভালো বক্তা। ওমর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সুহায়েল ইবনু আমরের সামনের দাঁত দুটি ভেঙে দেওয়া হোক, যাতে সে কোনো জায়গায় বক্তা হয়ে আপনার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতে না পারে।’ তবে রাসুল (সা.) তাঁর আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন। কারণ অঙ্গ বিকৃতি ইসলামে নিষিদ্ধ।
সাহাবি সাআদ ইবনে নুমান (রা.)-কে মক্কার কাফির আবু সুফইয়ান বন্দী করেছিল। এদিকে আবু সুফইয়ান ছেলে আমর বদরের যুদ্ধে বন্দী হয়। সুতরাং বন্দী বিনিময় হিসেবে হজরত সাদকে মুক্ত করে দেওয়ার শর্তে আমরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম ও নবীদের কাহিনি বই থেকে সংক্ষেপে
রমজানে তাহাজ্জুদের গুরুত্ব অপরিসীম। আরবি তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ নিদ্রা ত্যাগ করা। যেহেতু রাতের আরামের ঘুম ত্যাগ করে এই বিশেষ নফল নামাজ আদায় করা হয়, তাই একে তাহাজ্জুদের নামাজ বলা হয়। এই নামাজের অপর নাম কিয়ামুল-লাইল বা রাতের নামাজ।
১৩ ঘণ্টা আগেমুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
১ দিন আগেসম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
১ দিন আগেপ্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রমজানের রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
২ দিন আগে