ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
২ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগে