তারিক জামান
শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)
শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২০ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
২০ ঘণ্টা আগে