আবদুল আযীয কাসেমি
কোরবানি আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কোরবানি করার সময় এর যাবতীয় শিষ্টাচার রক্ষা করাও বিশেষভাবে বাঞ্ছনীয়। ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজের মতো মহান ইবাদত বিশুদ্ধ হওয়ার প্রথম শর্তই হলো পবিত্রতা। ইসলাম কোনো রকম অপরিচ্ছন্নতা ও নোংরামি সমর্থন করে না। এ জন্যই আমরা দেখি, নবী (সা.) আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়েছেন।
হজরত সালমান ফারসি (রা) থেকে বর্ণিত, একবার কিছু লোক তাঁকে বলল, ‘তোমাদের নবী তো দেখছি তোমাদের মলমূত্র ত্যাগের সময় কীভাবে বসতে হয়, তাও শিখিয়েছেন!’ তিনি বললেন, ‘অবশ্যই। আমাদের নবী আমাদের শিখিয়েছেন, আমরা যেন প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় কেবলামুখী হয়ে না বসি। ডান হাত দিয়ে পানি ব্যবহার করতে আমাদের বারণ করেছেন। অন্তত তিনটি পাথর যেন আমরা ব্যবহার করি। শৌচকর্মের সময় গোবর বা হাড় যেন ব্যবহার না করি। (আবু দাউদ: ৭) এই হাদিস থেকে আমরা পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি, কীভাবে নবী (সা.) সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন।
আলেমরা সর্বসম্মতভাবে সড়ক, চলার পথ ও ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় কোরবানির পশু জবাই করতে নিরুৎসাহিত করেন। এতে বিভিন্ন রকম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে; বিশেষ করে এর ফলে রক্ত শুকিয়ে সেখানে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই দুর্গন্ধ খুবই কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে বহু ক্ষতিকারক জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা নবী (সা.)-এর নির্দেশনায় দেখতে পাই মানুষের বসার স্থানে, রাস্তায়, বাজারে ও ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে নবীজি মলমূত্র ত্যাগ করতে বারণ করেছেন। কেননা এর ফলে মানুষ কষ্ট পায়। এখান থেকে রাস্তায় কোরবানির পশু জবাইয়ের বিষয়টিও আমরা বুঝতে পারি। কারণ এতে মানুষকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেওয়া হয়। গ্রামে-গঞ্জে নির্জন স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যাপক ব্যবস্থা থাকলেও শহরে এ রকম বড় জায়গা পাওয়া দুষ্কর।
এ ক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষের করণীয় হলো, বিশেষ কিছু জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া, যেখানে সংশ্লিষ্ট মহল্লার লোকজন কোরবানির বর্জ্য রাখবেন। সবার উচিত, নির্ধারিত স্থানেই বর্জ্য ফেলা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যথাসময়ে এসে সেগুলো পরিষ্কার করে নেবেন। দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চাইলে সুপরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করতে পারেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
কোরবানি আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কোরবানি করার সময় এর যাবতীয় শিষ্টাচার রক্ষা করাও বিশেষভাবে বাঞ্ছনীয়। ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজের মতো মহান ইবাদত বিশুদ্ধ হওয়ার প্রথম শর্তই হলো পবিত্রতা। ইসলাম কোনো রকম অপরিচ্ছন্নতা ও নোংরামি সমর্থন করে না। এ জন্যই আমরা দেখি, নবী (সা.) আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়েছেন।
হজরত সালমান ফারসি (রা) থেকে বর্ণিত, একবার কিছু লোক তাঁকে বলল, ‘তোমাদের নবী তো দেখছি তোমাদের মলমূত্র ত্যাগের সময় কীভাবে বসতে হয়, তাও শিখিয়েছেন!’ তিনি বললেন, ‘অবশ্যই। আমাদের নবী আমাদের শিখিয়েছেন, আমরা যেন প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় কেবলামুখী হয়ে না বসি। ডান হাত দিয়ে পানি ব্যবহার করতে আমাদের বারণ করেছেন। অন্তত তিনটি পাথর যেন আমরা ব্যবহার করি। শৌচকর্মের সময় গোবর বা হাড় যেন ব্যবহার না করি। (আবু দাউদ: ৭) এই হাদিস থেকে আমরা পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি, কীভাবে নবী (সা.) সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন।
আলেমরা সর্বসম্মতভাবে সড়ক, চলার পথ ও ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় কোরবানির পশু জবাই করতে নিরুৎসাহিত করেন। এতে বিভিন্ন রকম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে; বিশেষ করে এর ফলে রক্ত শুকিয়ে সেখানে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই দুর্গন্ধ খুবই কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে বহু ক্ষতিকারক জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা নবী (সা.)-এর নির্দেশনায় দেখতে পাই মানুষের বসার স্থানে, রাস্তায়, বাজারে ও ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে নবীজি মলমূত্র ত্যাগ করতে বারণ করেছেন। কেননা এর ফলে মানুষ কষ্ট পায়। এখান থেকে রাস্তায় কোরবানির পশু জবাইয়ের বিষয়টিও আমরা বুঝতে পারি। কারণ এতে মানুষকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেওয়া হয়। গ্রামে-গঞ্জে নির্জন স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যাপক ব্যবস্থা থাকলেও শহরে এ রকম বড় জায়গা পাওয়া দুষ্কর।
এ ক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষের করণীয় হলো, বিশেষ কিছু জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া, যেখানে সংশ্লিষ্ট মহল্লার লোকজন কোরবানির বর্জ্য রাখবেন। সবার উচিত, নির্ধারিত স্থানেই বর্জ্য ফেলা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যথাসময়ে এসে সেগুলো পরিষ্কার করে নেবেন। দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চাইলে সুপরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করতে পারেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
২ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগে