আমজাদ ইউনুস
আবু বকর (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর শাসনামলে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা প্রসার লাভ করে। তিনি নতুন নতুন মসজিদ স্থাপন করেন এবং দেশের বিভিন্ন মসজিদে জ্ঞান বিস্তারের জন্য আলিমদের নিয়োগ করেন। আবু বকর (রা.) সালাতের ইমামতি করার পর শিক্ষামূলক আলোচনা করতেন এবং কোরআন শুদ্ধ করে পঠনের জন্য কারি নিয়োগ করেন। কোরআনের আয়াতসমূহ তখন পাথর, কাপড়, কাঠ, চামড়া, গাছের পাতায় বিক্ষিপ্ত অবস্থায় লিপিবদ্ধ করা হয়। আবু বকর (রা.) সর্বপ্রথম এগুলোকে বিন্যস্ত করে ‘মাসহাফ’ নাম দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। ইয়ামামার যুদ্ধে ৭০ জন হাফেজ শাহাদত বরণ করলে তিনি ওমর (রা.)-এর পরামর্শে জায়েদ বিন সাবিতের মাধ্যমে কোরআন সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা নেন।
ওমর (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর আমলের শিক্ষাব্যবস্থাও ছিল মসজিদকেন্দ্রিক। তিনিই প্রথম শিক্ষকদের বায়তুল মাল থেকে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং শিক্ষিত ব্যক্তিদের সেনানায়ক নিযুক্ত করে শিক্ষার মর্যাদা বাড়ান। ওমর (রা.)-এর সময়ে মদিনায় ফিকহের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়। তিনি মদিনাকে বিদ্যাপীঠে পরিণত করেন। সেখান থেকে অগণিত আলিম, দাঈ, গভর্নর ও বিচারক পাস করে বের হন। ইসলামি আইনকানুন শেখানোর জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক পাঠানোর বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন।
ওমরের শাসনামলে মক্তবে কোরআন শিক্ষার সঙ্গে লিখন ও সাধারণ অঙ্ক শিক্ষা দেওয়া হতো। অশ্ব চালনা শেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। বিশুদ্ধভাবে কোরআন ও আরবি সাহিত্যপাঠের প্রতি তিনি সবিশেষ গুরুত্ব দিতেন। শিক্ষকদের ভাষায় সুদক্ষ হওয়ার ব্যাপারে তিনি উদ্বুদ্ধ করতেন। শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন বিধায় তিনি ভাষা শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ব্যবস্থা নেন। তিনি আরব কবিদের কাব্যমালা সংরক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
হাদিস শিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি কয়েকজন সাহাবিকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। ইসলামি আইনকানুন শেখানোর জন্য আবদুর রহমান ইবনে গানাম, আবু দারদা ইবনে জাবাল ও উবায়দা ইবনে সামিতকে সিরিয়ায় এবং ইবনে আব্বাস (রা)কে মিসরে পাঠান।
ওমর (রা.)-এর আমলেই দেশের বড় শহরগুলোতে শিক্ষার কেন্দ্র গড়ে ওঠে। মক্কা-মদিনা ছাড়াও কুফা, বসরা, দামেস্ক, ফুস্তাত প্রভৃতি স্থান জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে।
ওসমান (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা.)-এর প্রচেষ্টায় পবিত্র কোরআনের নির্ভুল ও ধারাবাহিক সংকলন প্রথম প্রকাশিত হয়। তিনিই প্রথম পুরো মুসলিম উম্মাহকে কোরআনের এক কপি ও এক লিপি পদ্ধতির ব্যাপারে সম্মত করেন। এ কাজের জন্য তিনি জায়েদ বিন সাবিতের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করেন। আবু বকর (রা.) কর্তৃক সংরক্ষিত ‘মাসহাফ’ নামক কপি ও অন্যান্য লিখিত অংশ সংগ্রহ করে তিনি পবিত্র কোরআনের নির্ভুল সংস্করণ তৈরি করে সাম্রাজ্যের সর্বত্র বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং পবিত্র কোরআনের বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেন।
ওসমান (রা.) রাষ্ট্রের বিখ্যাত মসজিদগুলোতে বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা চালু রাখেন। কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি গণিত, কাব্যচর্চা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হতো। তখন ধনী ব্যক্তিদের গৃহে কাব্যচর্চা ও কবিতাপাঠের আসর বসত। মদিনা মসজিদের সংস্কার ছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ করে শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করেন।
আলী (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় আরবি ব্যাকরণ রচিত হয়। তাঁর আমলে কুফার জামে মসজিদ জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্ররূপে গড়ে ওঠে। তিনি নিজেই সেখানে শিক্ষার্থীদের কোরআন-হাদিস শিক্ষা দিতেন। তাঁর আমলে সর্বপ্রথম হাদিস লিপিবদ্ধকরণের কাজ শুরু হয়। তাঁর হাদিস গ্রন্থ সহিফা নামে পরিচিত। তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাদানের জন্য ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করেন।
আবু বকর (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর শাসনামলে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা প্রসার লাভ করে। তিনি নতুন নতুন মসজিদ স্থাপন করেন এবং দেশের বিভিন্ন মসজিদে জ্ঞান বিস্তারের জন্য আলিমদের নিয়োগ করেন। আবু বকর (রা.) সালাতের ইমামতি করার পর শিক্ষামূলক আলোচনা করতেন এবং কোরআন শুদ্ধ করে পঠনের জন্য কারি নিয়োগ করেন। কোরআনের আয়াতসমূহ তখন পাথর, কাপড়, কাঠ, চামড়া, গাছের পাতায় বিক্ষিপ্ত অবস্থায় লিপিবদ্ধ করা হয়। আবু বকর (রা.) সর্বপ্রথম এগুলোকে বিন্যস্ত করে ‘মাসহাফ’ নাম দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। ইয়ামামার যুদ্ধে ৭০ জন হাফেজ শাহাদত বরণ করলে তিনি ওমর (রা.)-এর পরামর্শে জায়েদ বিন সাবিতের মাধ্যমে কোরআন সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা নেন।
ওমর (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর আমলের শিক্ষাব্যবস্থাও ছিল মসজিদকেন্দ্রিক। তিনিই প্রথম শিক্ষকদের বায়তুল মাল থেকে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং শিক্ষিত ব্যক্তিদের সেনানায়ক নিযুক্ত করে শিক্ষার মর্যাদা বাড়ান। ওমর (রা.)-এর সময়ে মদিনায় ফিকহের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়। তিনি মদিনাকে বিদ্যাপীঠে পরিণত করেন। সেখান থেকে অগণিত আলিম, দাঈ, গভর্নর ও বিচারক পাস করে বের হন। ইসলামি আইনকানুন শেখানোর জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক পাঠানোর বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন।
ওমরের শাসনামলে মক্তবে কোরআন শিক্ষার সঙ্গে লিখন ও সাধারণ অঙ্ক শিক্ষা দেওয়া হতো। অশ্ব চালনা শেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। বিশুদ্ধভাবে কোরআন ও আরবি সাহিত্যপাঠের প্রতি তিনি সবিশেষ গুরুত্ব দিতেন। শিক্ষকদের ভাষায় সুদক্ষ হওয়ার ব্যাপারে তিনি উদ্বুদ্ধ করতেন। শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন বিধায় তিনি ভাষা শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ব্যবস্থা নেন। তিনি আরব কবিদের কাব্যমালা সংরক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
হাদিস শিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি কয়েকজন সাহাবিকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। ইসলামি আইনকানুন শেখানোর জন্য আবদুর রহমান ইবনে গানাম, আবু দারদা ইবনে জাবাল ও উবায়দা ইবনে সামিতকে সিরিয়ায় এবং ইবনে আব্বাস (রা)কে মিসরে পাঠান।
ওমর (রা.)-এর আমলেই দেশের বড় শহরগুলোতে শিক্ষার কেন্দ্র গড়ে ওঠে। মক্কা-মদিনা ছাড়াও কুফা, বসরা, দামেস্ক, ফুস্তাত প্রভৃতি স্থান জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে।
ওসমান (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা.)-এর প্রচেষ্টায় পবিত্র কোরআনের নির্ভুল ও ধারাবাহিক সংকলন প্রথম প্রকাশিত হয়। তিনিই প্রথম পুরো মুসলিম উম্মাহকে কোরআনের এক কপি ও এক লিপি পদ্ধতির ব্যাপারে সম্মত করেন। এ কাজের জন্য তিনি জায়েদ বিন সাবিতের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করেন। আবু বকর (রা.) কর্তৃক সংরক্ষিত ‘মাসহাফ’ নামক কপি ও অন্যান্য লিখিত অংশ সংগ্রহ করে তিনি পবিত্র কোরআনের নির্ভুল সংস্করণ তৈরি করে সাম্রাজ্যের সর্বত্র বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং পবিত্র কোরআনের বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেন।
ওসমান (রা.) রাষ্ট্রের বিখ্যাত মসজিদগুলোতে বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা চালু রাখেন। কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি গণিত, কাব্যচর্চা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হতো। তখন ধনী ব্যক্তিদের গৃহে কাব্যচর্চা ও কবিতাপাঠের আসর বসত। মদিনা মসজিদের সংস্কার ছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ করে শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করেন।
আলী (রা.)-এর শাসনামল
ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় আরবি ব্যাকরণ রচিত হয়। তাঁর আমলে কুফার জামে মসজিদ জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্ররূপে গড়ে ওঠে। তিনি নিজেই সেখানে শিক্ষার্থীদের কোরআন-হাদিস শিক্ষা দিতেন। তাঁর আমলে সর্বপ্রথম হাদিস লিপিবদ্ধকরণের কাজ শুরু হয়। তাঁর হাদিস গ্রন্থ সহিফা নামে পরিচিত। তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাদানের জন্য ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করেন।
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
১৫ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
২ দিন আগে