ইসলাম ডেস্ক
প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিকেরা তাঁর জন্ম ‘হাতির বছর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নবুওয়াত লাভের আগে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে তেমনই কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
এক. রাসুল (সা.)-এর শুভাগমনের ৫০ অথবা ৫৫ দিন আগে আসহাবে ফিল বা হাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। বিশেষ একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনের শাসক আবরাহা পবিত্র কাবাঘর ধ্বংসের জন্য মক্কা আক্রমণ করে। এতে বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে আসা হয়। তাই একে হাতিবাহিনীর ঘটনা বলা হয়। তবে আল্লাহ তাআলার নির্দেশে একদল ছোট পাখির পাথর নিক্ষেপের ফলে পুরো হস্তিবাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে যায়। একে ঐতিহাসিকেরা মহানবী (সা.)–এর শুভজন্মের পূর্বাভাসে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। (আস-সিরাতুল হালাবিয়া: ১ / ৭৮)
দুই. নবীজির জন্মের আগে বেশ কয়েক বছর আরবে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। তাঁর জন্মের বছর আরবের সেই দুর্ভিক্ষ কেটে যায়। আরবের ঘরে ঘরে আনন্দের ফল্গুধারা বইতে থাকে। যেহেতু একই বছরে কুরাইশরা আবরাহার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল এবং দুর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল, তাই বছরটিকে আরবেরা ‘সানাতুল ফাতহ ওয়াল ইবতিহাজ’ বা ‘বিজয় ও আনন্দের বছর’ নাম দিয়েছিল। (আস-সিরাতুল হালাবিয়া: ১ / ৭৮)
তিন. ফাতিমা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, যখন নবী (সা.)–এর শুভাগমন ঘটল, তখন আমি আমিনার (নবীজির মা) কাছে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখলাম, প্রতিটি ঘর উজ্জ্বল আলোতে ভরে গেছে। এও দেখলাম, আসমানের তারকারাজি এত কাছে এসেছে যে আমার মনে হলো এই তারকা আমার ওপর পতিত হবে।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৪২৬)
চার. ইরবাস ইবনে সারিয়্যা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)–এর শুভজন্মের সময় তাঁর মা একটি আলোকচ্ছটা দেখতে পান, এর মাধ্যমে সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে যায়। (মুসতাদরাকে হাকিম; মিশকাত: ৫৭৫৯)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের আমার প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে বলছি। আমি হলাম ইবরাহিম (আ.)–এর দোয়া ও ঈসা (আ.)–এর সুসংবাদ। আমার মায়ের স্বপ্ন, যা তিনি আমাকে প্রসব করার সময় দেখেছিলেন, তা হলো, এমন এক নূর উদ্ভাসিত হয়েছে, যার দ্বারা আমার আম্মাজানের জন্য সিরিয়ার প্রাসাদও উজ্জ্বল হয়েছিল। (দালায়েলুন নুবুওয়াহ লিল-বায়হাকি: পৃ.৩৫)
পাঁচ. হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, মক্কা শরিফে এক ইহুদি বাস করতেন। যে রাতে নবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, সে রাতে তিনি বললেন, ‘হে কুরাইশ দল, আজ রাতে কি তোমাদের কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করেছে?’ তারা বলল, ‘আমাদের জানা নেই।’ তখন তিনি বললেন, ‘দেখো, আজ এই উম্মতের নবী তাশরিফ এনেছেন। যাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে নবুওয়াতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি দুই রাত পর্যন্ত দুধ পান করবেন না।’
লোকজন দ্রুত ওই সভা থেকে উঠে অনুসন্ধান শুরু করল। জানা গেল যে, আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবের ঘরে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।
ওই ইহুদি বললেন, ‘তোমরা আমাকে নিয়ে গিয়ে দেখাও।’ ইহুদি তাঁর (নবজাতক) দুই বাহুর মাঝখানের মোহরে নবুওয়াতের চিহ্ন দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বললেন, ‘নবুওয়াত বনি ইসরাইল থেকে চলে গেছে। হে কুরাইশ সম্প্রদায়, শোনো, এই নবীর অছিলায় তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তাঁর শুভাগমনের সংবাদ পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়েছে।’ (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৪১৭৭)
প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিকেরা তাঁর জন্ম ‘হাতির বছর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নবুওয়াত লাভের আগে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে তেমনই কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
এক. রাসুল (সা.)-এর শুভাগমনের ৫০ অথবা ৫৫ দিন আগে আসহাবে ফিল বা হাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। বিশেষ একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনের শাসক আবরাহা পবিত্র কাবাঘর ধ্বংসের জন্য মক্কা আক্রমণ করে। এতে বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে আসা হয়। তাই একে হাতিবাহিনীর ঘটনা বলা হয়। তবে আল্লাহ তাআলার নির্দেশে একদল ছোট পাখির পাথর নিক্ষেপের ফলে পুরো হস্তিবাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে যায়। একে ঐতিহাসিকেরা মহানবী (সা.)–এর শুভজন্মের পূর্বাভাসে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। (আস-সিরাতুল হালাবিয়া: ১ / ৭৮)
দুই. নবীজির জন্মের আগে বেশ কয়েক বছর আরবে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। তাঁর জন্মের বছর আরবের সেই দুর্ভিক্ষ কেটে যায়। আরবের ঘরে ঘরে আনন্দের ফল্গুধারা বইতে থাকে। যেহেতু একই বছরে কুরাইশরা আবরাহার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল এবং দুর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল, তাই বছরটিকে আরবেরা ‘সানাতুল ফাতহ ওয়াল ইবতিহাজ’ বা ‘বিজয় ও আনন্দের বছর’ নাম দিয়েছিল। (আস-সিরাতুল হালাবিয়া: ১ / ৭৮)
তিন. ফাতিমা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, যখন নবী (সা.)–এর শুভাগমন ঘটল, তখন আমি আমিনার (নবীজির মা) কাছে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখলাম, প্রতিটি ঘর উজ্জ্বল আলোতে ভরে গেছে। এও দেখলাম, আসমানের তারকারাজি এত কাছে এসেছে যে আমার মনে হলো এই তারকা আমার ওপর পতিত হবে।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৪২৬)
চার. ইরবাস ইবনে সারিয়্যা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)–এর শুভজন্মের সময় তাঁর মা একটি আলোকচ্ছটা দেখতে পান, এর মাধ্যমে সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে যায়। (মুসতাদরাকে হাকিম; মিশকাত: ৫৭৫৯)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের আমার প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে বলছি। আমি হলাম ইবরাহিম (আ.)–এর দোয়া ও ঈসা (আ.)–এর সুসংবাদ। আমার মায়ের স্বপ্ন, যা তিনি আমাকে প্রসব করার সময় দেখেছিলেন, তা হলো, এমন এক নূর উদ্ভাসিত হয়েছে, যার দ্বারা আমার আম্মাজানের জন্য সিরিয়ার প্রাসাদও উজ্জ্বল হয়েছিল। (দালায়েলুন নুবুওয়াহ লিল-বায়হাকি: পৃ.৩৫)
পাঁচ. হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, মক্কা শরিফে এক ইহুদি বাস করতেন। যে রাতে নবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, সে রাতে তিনি বললেন, ‘হে কুরাইশ দল, আজ রাতে কি তোমাদের কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করেছে?’ তারা বলল, ‘আমাদের জানা নেই।’ তখন তিনি বললেন, ‘দেখো, আজ এই উম্মতের নবী তাশরিফ এনেছেন। যাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে নবুওয়াতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি দুই রাত পর্যন্ত দুধ পান করবেন না।’
লোকজন দ্রুত ওই সভা থেকে উঠে অনুসন্ধান শুরু করল। জানা গেল যে, আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবের ঘরে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।
ওই ইহুদি বললেন, ‘তোমরা আমাকে নিয়ে গিয়ে দেখাও।’ ইহুদি তাঁর (নবজাতক) দুই বাহুর মাঝখানের মোহরে নবুওয়াতের চিহ্ন দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বললেন, ‘নবুওয়াত বনি ইসরাইল থেকে চলে গেছে। হে কুরাইশ সম্প্রদায়, শোনো, এই নবীর অছিলায় তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তাঁর শুভাগমনের সংবাদ পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়েছে।’ (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৪১৭৭)
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৪ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৪ ঘণ্টা আগে