বিসিএস প্রিলিমিনারিতে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন—এই অংশ থেকে ১০ নম্বর এসে থাকে। একটু দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ায় অনেকের মধ্যে এই অংশ বাদ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। একটু কৌশলী হলেই সহজে ৬ থেকে ৭ নম্বর পাওয়া যায়, যা প্রিলিমিনারি পাসের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
বিগত প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলা
৩৫ থেকে ৪৫তম পর্যন্ত বিসিএসে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে প্রায় ৯০টি প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ ভালো করে পড়লে ৩ থেকে ৪ নম্বর পাওয়া যাবে। তাই এই প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ না পড়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া একদমই ঠিক হবে না।
উপাদান সংখ্যা
WB, IMF, UNDP-সহ আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত উপাদান সংখ্যা সুন্দরভাবে নোট করে পড়ে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখার জন্য বারবার রিভিশন দিতে হবে। উপাদান সংখ্যার সঙ্গে সালও মুখস্থ রাখতে পারলে এগিয়ে থাকা যাবে। যেমন UNDP ১৯৯৭ সালে সুশাসনের ৯টি উপাদানের কথা বলেছে।
বিভিন্ন সংজ্ঞা ও বই
যেকোনো লেখকের সংজ্ঞা ও বই প্রশ্নে উল্লেখ করে লেখকের নাম জানতে চাওয়া হয়। এ ধরনের প্রশ্ন টেকনিক করে শিখে নিতে হয়। পুরো সংজ্ঞা মুখস্থ না করে কয়েকটি কি-ওয়ার্ড লেখকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মতো টেকনিক তৈরি করে নিতে পারেন। আর বইগুলো ইংরেজি সাহিত্যের সঙ্গে মিল রেখে পড়তে পারেন। সুশাসনের বইতে যেগুলো আলাদা করে রয়েছে, সেগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণগুলো শিখে নেবেন। যেমন ‘সামাজিক মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড’—জনসন; এটি আমি মনে রাখতাম ‘মানদন-জনসন’ এভাবে।
উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ
সুশাসন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিভিন্ন উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদের পার্থক্য ভালো করে পড়ে নিতে হবে। বই থেকে আলাদা করে নিয়ে বারবার পড়লে দ্বিধা দূর হবে। যেমন প্রশ্ন আসে, প্রধান উপাদান কোনটি? এ জাতীয় প্রশ্নে বিভিন্ন গাইড বইতে বিভিন্ন উত্তর দেখে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান। এ ক্ষেত্রে বোর্ডের বইকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে।
সুশাসন, মূল্যবোধ, নৈতিকতা আলাদাকরণ
অপশনে যখন এই ৩টি দেওয়া থাকে, তখন আমরা সহজে দ্বিধায় পড়ে যাই। এ ক্ষেত্রে কনফিউশন এড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অপশনে এই ৩টি প্রশ্ন আছে, এ রকম প্রশ্ন আলাদা করে নিয়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই ধরনের প্রশ্ন একসঙ্গে নোট করে রাখতে পারেন। এরপর আলাদাভাবে এই অংশে সময় দিলে কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।
যেকোনো একটি বই বারবার পড়া
একাধিক বই না নিয়ে সুশাসনের জন্য যেকোনো একটি বই বারবার রিভিশন দিতে পারেন। তাহলে কনফিউশন দূর হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সুশাসনের জন্য সুবিধাজনক একটি বই নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত কয়েকবার শেষ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দাগিয়ে রাখতে পারেন। যে অংশে কনফিউশন থাকে, সে অংশ দাগিয়ে রাখতে পারেন। রিভিশনের সময় দাগানো অংশে জোর দেবেন। মনে রাখবেন, একই টপিক বারবার পড়লে কনফিউশন থাকে না। আর প্রিলিমিনারিতে ভালো করার জন্য নেগেটিভ মার্কিং কমানো এবং কনফিউশন দূর করা খুবই জরুরি।
গুরুত্বপূর্ণ অংশ
সুশাসন ও নৈতিকতা অংশের সিলেবাসে দেখা যায় সুশাসন, মূল্যবোধের সংজ্ঞা, উপাদান, পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক, সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নের প্রভাব, সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়নের উপায়, আইন, নৈতিকতা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সুশাসন ও মূল্যবোধ সিলেবাসের অধিকাংশ অংশ জুড়ে থাকলেও এগুলোর সংজ্ঞা, উপাদান, উৎস, প্রকারভেদ থেকেই বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই এই অংশে জোর দিতে হবে। সমাজে ও জাতীয় উন্নয়নে প্রভাব, অনুপস্থিতিতে প্রভাব এসব কমনসেন্স থেকেও উত্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে আইন, নৈতিকতা, সংস্কৃতি অংশটুকু ভালো করে পড়ে ২-৩ নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে। সর্বোপরি বিগত প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ ভালো করে পড়লে সিলেবাস সহজে বুঝে যাবেন এবং প্রশ্ন কোন অধ্যায় থেকে আসে, ধরতে পারবেন।
যে বই পড়বেন
সুশাসন অংশটুকু বেসিক ভিউতে অনেক সুন্দর করে গোছানো রয়েছে। এ থেকে পড়তে পারেন। এ ছাড়া লাইভ এমসিকিউ অ্যাপসের সুশাসন অংশের টপিক আর্কাইভ বেশ সমৃদ্ধ। এই অ্যাপস থেকেও দেখতে পারেন। বোর্ড বই হিসেবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মো. মোজাম্মেল হকের পৌরনীতি ও সুশাসন দেখতে পারেন। সর্বশেষ, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিত পড়াশোনা করে যেতে হবে। তাহলে কঠিন বিষয়টিও একসময় সহজ হয়ে যাবে। সবার জন্য শুভকামনা।
অনুলিখন: জেলি খাতুন
বিসিএস প্রিলিমিনারিতে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন—এই অংশ থেকে ১০ নম্বর এসে থাকে। একটু দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ায় অনেকের মধ্যে এই অংশ বাদ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। একটু কৌশলী হলেই সহজে ৬ থেকে ৭ নম্বর পাওয়া যায়, যা প্রিলিমিনারি পাসের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
বিগত প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলা
৩৫ থেকে ৪৫তম পর্যন্ত বিসিএসে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে প্রায় ৯০টি প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ ভালো করে পড়লে ৩ থেকে ৪ নম্বর পাওয়া যাবে। তাই এই প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ না পড়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া একদমই ঠিক হবে না।
উপাদান সংখ্যা
WB, IMF, UNDP-সহ আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত উপাদান সংখ্যা সুন্দরভাবে নোট করে পড়ে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখার জন্য বারবার রিভিশন দিতে হবে। উপাদান সংখ্যার সঙ্গে সালও মুখস্থ রাখতে পারলে এগিয়ে থাকা যাবে। যেমন UNDP ১৯৯৭ সালে সুশাসনের ৯টি উপাদানের কথা বলেছে।
বিভিন্ন সংজ্ঞা ও বই
যেকোনো লেখকের সংজ্ঞা ও বই প্রশ্নে উল্লেখ করে লেখকের নাম জানতে চাওয়া হয়। এ ধরনের প্রশ্ন টেকনিক করে শিখে নিতে হয়। পুরো সংজ্ঞা মুখস্থ না করে কয়েকটি কি-ওয়ার্ড লেখকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মতো টেকনিক তৈরি করে নিতে পারেন। আর বইগুলো ইংরেজি সাহিত্যের সঙ্গে মিল রেখে পড়তে পারেন। সুশাসনের বইতে যেগুলো আলাদা করে রয়েছে, সেগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণগুলো শিখে নেবেন। যেমন ‘সামাজিক মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড’—জনসন; এটি আমি মনে রাখতাম ‘মানদন-জনসন’ এভাবে।
উপাদান, বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ
সুশাসন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিভিন্ন উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদের পার্থক্য ভালো করে পড়ে নিতে হবে। বই থেকে আলাদা করে নিয়ে বারবার পড়লে দ্বিধা দূর হবে। যেমন প্রশ্ন আসে, প্রধান উপাদান কোনটি? এ জাতীয় প্রশ্নে বিভিন্ন গাইড বইতে বিভিন্ন উত্তর দেখে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান। এ ক্ষেত্রে বোর্ডের বইকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে।
সুশাসন, মূল্যবোধ, নৈতিকতা আলাদাকরণ
অপশনে যখন এই ৩টি দেওয়া থাকে, তখন আমরা সহজে দ্বিধায় পড়ে যাই। এ ক্ষেত্রে কনফিউশন এড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অপশনে এই ৩টি প্রশ্ন আছে, এ রকম প্রশ্ন আলাদা করে নিয়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই ধরনের প্রশ্ন একসঙ্গে নোট করে রাখতে পারেন। এরপর আলাদাভাবে এই অংশে সময় দিলে কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।
যেকোনো একটি বই বারবার পড়া
একাধিক বই না নিয়ে সুশাসনের জন্য যেকোনো একটি বই বারবার রিভিশন দিতে পারেন। তাহলে কনফিউশন দূর হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সুশাসনের জন্য সুবিধাজনক একটি বই নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত কয়েকবার শেষ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দাগিয়ে রাখতে পারেন। যে অংশে কনফিউশন থাকে, সে অংশ দাগিয়ে রাখতে পারেন। রিভিশনের সময় দাগানো অংশে জোর দেবেন। মনে রাখবেন, একই টপিক বারবার পড়লে কনফিউশন থাকে না। আর প্রিলিমিনারিতে ভালো করার জন্য নেগেটিভ মার্কিং কমানো এবং কনফিউশন দূর করা খুবই জরুরি।
গুরুত্বপূর্ণ অংশ
সুশাসন ও নৈতিকতা অংশের সিলেবাসে দেখা যায় সুশাসন, মূল্যবোধের সংজ্ঞা, উপাদান, পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক, সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নের প্রভাব, সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়নের উপায়, আইন, নৈতিকতা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সুশাসন ও মূল্যবোধ সিলেবাসের অধিকাংশ অংশ জুড়ে থাকলেও এগুলোর সংজ্ঞা, উপাদান, উৎস, প্রকারভেদ থেকেই বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই এই অংশে জোর দিতে হবে। সমাজে ও জাতীয় উন্নয়নে প্রভাব, অনুপস্থিতিতে প্রভাব এসব কমনসেন্স থেকেও উত্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে আইন, নৈতিকতা, সংস্কৃতি অংশটুকু ভালো করে পড়ে ২-৩ নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে। সর্বোপরি বিগত প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ ভালো করে পড়লে সিলেবাস সহজে বুঝে যাবেন এবং প্রশ্ন কোন অধ্যায় থেকে আসে, ধরতে পারবেন।
যে বই পড়বেন
সুশাসন অংশটুকু বেসিক ভিউতে অনেক সুন্দর করে গোছানো রয়েছে। এ থেকে পড়তে পারেন। এ ছাড়া লাইভ এমসিকিউ অ্যাপসের সুশাসন অংশের টপিক আর্কাইভ বেশ সমৃদ্ধ। এই অ্যাপস থেকেও দেখতে পারেন। বোর্ড বই হিসেবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মো. মোজাম্মেল হকের পৌরনীতি ও সুশাসন দেখতে পারেন। সর্বশেষ, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিত পড়াশোনা করে যেতে হবে। তাহলে কঠিন বিষয়টিও একসময় সহজ হয়ে যাবে। সবার জন্য শুভকামনা।
অনুলিখন: জেলি খাতুন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
১ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে