কনক আদিত্য়
ছেলেবেলার গল্প
আমার ছোটবেলা কেটেছে ঢাকা জেলার দোহারের মুকসুদপুর গ্রামে। আমাদের বাড়ি ছিল একদম পদ্মার পারে। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যেতাম। সারা বছর হয়তো সাধারণ সাবান ব্যবহার করতাম আমরা। কিন্তু ঈদের দিন কসকো সাবান ব্যবহার করা হতো। গোসল করে বাবার সঙ্গে ঈদগাহে যেতাম। মাইলখানেক দূরেই ছিল ঈদগাহ। এরপর সবার ঈদ যেমন কাটে, আমারও কেটে যেত তেমনই।
ঈদের আনন্দ সব সময় একই রকম। আমার কাছে মনে হয় যে ব্যাপারটা আগের মতোই আছে। এখানে আগের ও পরের কিছু বিষয় হয়তো বদলেছে। আমি শহরবাসী হয়েছি। গ্রামের ঈদের অনুভূতি এখন এ শহরে পাওয়া সম্ভব নয়। তখন হয়তো নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এর বাড়ি, ওর বাড়ি যাওয়া হতো।এটা-ওটা কিনে খাওয়া হতো। এসব এখন বড়বেলায় আমরা পাচ্ছি না।
গান আর খাওয়া
তবে ঈদের দিনের ঝরঝরে খিচুড়ি আর গরুর মাংস, সে ভোলা যাবে না। বাড়িতে রান্না হতো। সেটা ছিল ভীষণ প্রিয়। আর ছিল গানবাজনা। ঘুম ভাঙত কখনো কাওয়ালি, কখনো নজরুলসংগীত শুনে। বাবা টেপ রেকর্ডার বাজাতেন। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর আমাদের বাসায়, পাশের বাসায় বা মাঠেও গানবাজনা হতো। আমার বাবা ছিলেন মুকসুদপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের মাঠটা ছিল নদীর পাড়ে। আর স্কুলের মাঠের পাশেই ছিল আমাদের বাড়ি। এই মাঠেই শিক্ষক, বড় ভাই, বন্ধুবান্ধব, ঢাকা থেকে যেসব আত্মীয়স্বজন আসতেন, তাঁরাও সেখানে গান করতেন। অতুল প্রসাদ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল তাঁদের গানই মূলত বেশি হতো। সেসব অনেক দিন আগের কথা। এখনকার ব্যস্ততা অন্য রকম। এখন ব্যস্ততা অন্য রকমপ্রোডাকশন ও বেচাকেনার সময় এটাই। সারা বছরের ব্যবসায়ের একটা বড় অংশ এ সময়টা থেকেই উঠে আসে। ফলে ব্যস্ততাটাও ব্যবসাকেন্দ্রিক বেশি এখন।
সে অনুভূতি উষ্ণতার
আমি অনেক দিন পারফরম্যান্স করি না। যখন করতাম তখন ঈদে টিভি শোগুলোতে অনেক ব্যস্ত থাকতাম। আমরা সরাসরি মানুষের সঙ্গে অনুষ্ঠান করে অভ্যস্ত। টিভি প্রোগ্রামে সেই অনুভূতিটা থাকে না। যাঁর অনুষ্ঠানটা দেখছে তাঁদের তো আমরা দেখতে পাই না। কনসার্টে অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকে। ফলে একটা আলাদা উষ্ণতা পাওয়া যায়।
সংগীতশিল্পী ও ডিজাইনার দুটি সত্তাকেই উপভোগ করি। আমি তো গান করতে করতে কাজ করি। যখন ড্রয়িং করি বা কোনো কাজ করি তখন গান থাকে সব সময়। আমি যখন চারুকলায় পড়তাম তখন যতটুকু সময় আঁকতাম, ততটুকু সময় গাইতাম। এটা অবচেতন মনেই হতো। গান আমাকে চিন্তা করার ও কাজে মনোযোগী হওয়ার সুযোগ দেয়। কাকে ছেড়ে কার কথা বলব! এটা আমার জন্য বেছে নেওয়া কঠিন!
ঈদ মানে ছুটি
ঈদে ঘুমাব। ঈদ মানে ছুটি, ঈদ মানে ঘুম। বাবাকে দেখতাম ঈদের নামাজ আদায় করে এসে ঘুমিয়ে যেতেন। বড় হতে হতে বাবার এই ব্যাপারটা বোধ হয় আমার ওপরও ভর করেছে!
এখন বাড়িতে ঈদ আনন্দের এমন কোনো হিসাব থাকে না। তবে সব সময়ই কেউ না কেউ থাকে। কেউ না কেউ চলে আসে। তাদের সঙ্গে আড্ডা হয়। যেটা হয় আর কী, যেহেতু ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত, ফলে চাঁদরাত মানে ঈদের দিন সকাল হওয়ার দু-এক ঘণ্টা আগে হয়তো আমরা ছুটি পাই। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের দিন সকাল থেকে মনের মধ্য়ে কাজ করে, আজ আমার ছুটি!
অনুলিখন: সানজিদা সামরিন
ছেলেবেলার গল্প
আমার ছোটবেলা কেটেছে ঢাকা জেলার দোহারের মুকসুদপুর গ্রামে। আমাদের বাড়ি ছিল একদম পদ্মার পারে। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যেতাম। সারা বছর হয়তো সাধারণ সাবান ব্যবহার করতাম আমরা। কিন্তু ঈদের দিন কসকো সাবান ব্যবহার করা হতো। গোসল করে বাবার সঙ্গে ঈদগাহে যেতাম। মাইলখানেক দূরেই ছিল ঈদগাহ। এরপর সবার ঈদ যেমন কাটে, আমারও কেটে যেত তেমনই।
ঈদের আনন্দ সব সময় একই রকম। আমার কাছে মনে হয় যে ব্যাপারটা আগের মতোই আছে। এখানে আগের ও পরের কিছু বিষয় হয়তো বদলেছে। আমি শহরবাসী হয়েছি। গ্রামের ঈদের অনুভূতি এখন এ শহরে পাওয়া সম্ভব নয়। তখন হয়তো নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এর বাড়ি, ওর বাড়ি যাওয়া হতো।এটা-ওটা কিনে খাওয়া হতো। এসব এখন বড়বেলায় আমরা পাচ্ছি না।
গান আর খাওয়া
তবে ঈদের দিনের ঝরঝরে খিচুড়ি আর গরুর মাংস, সে ভোলা যাবে না। বাড়িতে রান্না হতো। সেটা ছিল ভীষণ প্রিয়। আর ছিল গানবাজনা। ঘুম ভাঙত কখনো কাওয়ালি, কখনো নজরুলসংগীত শুনে। বাবা টেপ রেকর্ডার বাজাতেন। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর আমাদের বাসায়, পাশের বাসায় বা মাঠেও গানবাজনা হতো। আমার বাবা ছিলেন মুকসুদপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের মাঠটা ছিল নদীর পাড়ে। আর স্কুলের মাঠের পাশেই ছিল আমাদের বাড়ি। এই মাঠেই শিক্ষক, বড় ভাই, বন্ধুবান্ধব, ঢাকা থেকে যেসব আত্মীয়স্বজন আসতেন, তাঁরাও সেখানে গান করতেন। অতুল প্রসাদ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল তাঁদের গানই মূলত বেশি হতো। সেসব অনেক দিন আগের কথা। এখনকার ব্যস্ততা অন্য রকম। এখন ব্যস্ততা অন্য রকমপ্রোডাকশন ও বেচাকেনার সময় এটাই। সারা বছরের ব্যবসায়ের একটা বড় অংশ এ সময়টা থেকেই উঠে আসে। ফলে ব্যস্ততাটাও ব্যবসাকেন্দ্রিক বেশি এখন।
সে অনুভূতি উষ্ণতার
আমি অনেক দিন পারফরম্যান্স করি না। যখন করতাম তখন ঈদে টিভি শোগুলোতে অনেক ব্যস্ত থাকতাম। আমরা সরাসরি মানুষের সঙ্গে অনুষ্ঠান করে অভ্যস্ত। টিভি প্রোগ্রামে সেই অনুভূতিটা থাকে না। যাঁর অনুষ্ঠানটা দেখছে তাঁদের তো আমরা দেখতে পাই না। কনসার্টে অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকে। ফলে একটা আলাদা উষ্ণতা পাওয়া যায়।
সংগীতশিল্পী ও ডিজাইনার দুটি সত্তাকেই উপভোগ করি। আমি তো গান করতে করতে কাজ করি। যখন ড্রয়িং করি বা কোনো কাজ করি তখন গান থাকে সব সময়। আমি যখন চারুকলায় পড়তাম তখন যতটুকু সময় আঁকতাম, ততটুকু সময় গাইতাম। এটা অবচেতন মনেই হতো। গান আমাকে চিন্তা করার ও কাজে মনোযোগী হওয়ার সুযোগ দেয়। কাকে ছেড়ে কার কথা বলব! এটা আমার জন্য বেছে নেওয়া কঠিন!
ঈদ মানে ছুটি
ঈদে ঘুমাব। ঈদ মানে ছুটি, ঈদ মানে ঘুম। বাবাকে দেখতাম ঈদের নামাজ আদায় করে এসে ঘুমিয়ে যেতেন। বড় হতে হতে বাবার এই ব্যাপারটা বোধ হয় আমার ওপরও ভর করেছে!
এখন বাড়িতে ঈদ আনন্দের এমন কোনো হিসাব থাকে না। তবে সব সময়ই কেউ না কেউ থাকে। কেউ না কেউ চলে আসে। তাদের সঙ্গে আড্ডা হয়। যেটা হয় আর কী, যেহেতু ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত, ফলে চাঁদরাত মানে ঈদের দিন সকাল হওয়ার দু-এক ঘণ্টা আগে হয়তো আমরা ছুটি পাই। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের দিন সকাল থেকে মনের মধ্য়ে কাজ করে, আজ আমার ছুটি!
অনুলিখন: সানজিদা সামরিন
বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
৩ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সুদর্শন ও চৌকস গুপ্তচর জেমস বন্ডের জন্ম নভেম্বর মাসে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে। জন পিয়ারসনের কল্পিত জীবনী ‘জেমস বন্ড: দ্য অথরাইজড বায়োগ্রাফি অব ০০৭ ’-এ বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২০ হিসেবে লেখা হয়েছে। আবার বন্ড বিশেষজ্ঞ জন গ্রিসওল্ড...
১২ ঘণ্টা আগেসূর্য অস্ত যেতে তখনো অনেক সময় বাকি। কপোতাক্ষ নদে নৌকার সারি। পাল নেই। পালের জায়গায় শোভা পাচ্ছে রংবেরঙের বেলুন। নৌকার ওপর বসেছে সাত-আটজন। মোটর লাগানো নৌকা বেশ গতিশীল। এর নাম কপোতাক্ষ বিনোদন বোট।
১২ ঘণ্টা আগেমরুভূমির দেশ সৌদি আরবে শীতকালে তুষারপাত হয়! ভাবতেই কেমন এক অনুভূতি তৈরি হয় মনে। কিন্তু ঘটনা তো আর মিথ্যা নয়। আর সময়টা শীতকালে—ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় অল্প সময়ের জন্য তুষারপাত হয়। থাকে কনকনে ঠান্ডা...
১২ ঘণ্টা আগে