জীবনধারা ডেস্ক
মেদহীন ছিপছিপে শরীরের আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরকালীন। এ জন্য যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত সবাই। কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে ছিপছিপে শরীরের দেখা পাওয়া খুব সহজ নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেল, কলা ও নাশপাতিতে প্রচুর আঁশ আছে, যা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখে। অন্যদিকে তরমুজ, আঙুর ও কমলা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা পেটে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর বুঝতেই পারছেন, পেটে চর্বি না জমলে শরীর ছিপছিপে থাকবে।
কলা
কলায় চুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার বা আঁশ থাকে বলে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট শুধু শরীরে শক্তিই জোগায় না, দীর্ঘমেয়াদি সুস্থও রাখে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা এসব কথাই বলেছেন কলা সম্পর্কে।
নাশপাতি
একটি মাঝারি আকারের নাশপাতিতে রয়েছে ৬ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ। এ পরিমাণ আঁশ প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার প্রায় এক চতুর্থাংশ পূরণ করে। খাবারের আঁশ মূলত ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে বলে ঘন ঘন খাবারের চাহিদা তৈরি হয় না। এটি শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া নাশপাতিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল ও পটাশিয়ামে সৃষ্ট প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা পালন করে।
আপেল
আপেলও ভরপুর আঁশ সমৃদ্ধ ফল। এ ছাড়া এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান পলিফেনল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্থূলতা কমাতে সহায়তা করে। খোসাসহ একটি আপেলে ৪ গ্রামের বেশি আঁশ পাওয়া যায় যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৪ শতাংশ পূরণ করে।
তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পুষ্টি উপাদান ও আঁশ আছে। এর সবগুলোই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই ফলে ক্যালরি কম থাকে। এক কাপ তরমুজের রসে ৪৬ দশমিক ৫ ক্যালরি থাকে। এর মধ্যে ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রাম চিনি ও বাকি অংশ আঁশ। তরমুজ ক্ষুধা নিবারণ করে যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আঙুর
আঙুর আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এটি প্রদাহ কমায় ও শরীরের গঠন ঠিক রাখে। রসালো এই ফলটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কমলা
কমলা লেবুতে প্রচুর পানি ও ক্যালরি থাকে। এতে চিনি কম থাকে। কমলা লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে সহায়তা করে। এটি কোমরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
এ ফলগুলোর বাইরে সব ধরনের মৌসুমি ফল খেতে হবে। নিয়মিত ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ প্রতিটি ফলই আঁশে ভরপুর।
আঁশ কীভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে
আমরা যে জীবনযাপন প্রণালিতে অভ্যস্ত তাতে স্বাস্থ্যকর খাবার ধীরে ধীরে হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেখানে ব্যাপক ভাবে প্রবেশ করছে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়ার মতো খাবার। বাসার বাইরের সারি সারি খাবারের দোকানগুলোর কথা মনে করে দেখুন। সেগুলোর বেশির ভাগ মূলত ডিপ ফ্রায়েড খাবারের দোকান। আর তার প্রধান আকর্ষণ ডুবোতেলে ভাজা মুরগি কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা কাবাব, গ্রিল, শিঙাড়া, সমুচা ইত্যাদি।
এ দিকে পুষ্টিবিদেরা বলে চলেছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল রাখা খুবই জরুরি। কোন ফল কী পরিমাণ খাবেন সেটারও নিয়ম আছে এবং সে নিয়ম মেনে চলা উচিত। একেকটি ফলে রয়েছে একেক রকম ভিটামিন, খনিজ। আর সেগুলোর আছে ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা। এ ছাড়া ফলে থাকে আঁশ বা ফাইবার। এই আঁশ আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এগুলো খাবার হজমে সহায়তা করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। কীভাবে, তাই ভাবছেন তো? দেখে নিন,
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় সাধারণত একটু বেশি চিবোতে হয়। ফলে পরিমাণে বেশি খাবার প্রবণতা কমে যায়।
বেশি আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে। এ ধরনের খাবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই দেরিতে ক্ষুধা লাগে।
আঁশসমৃদ্ধ খাবারে সমপরিমাণ অন্য খাবারের তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। ফলে এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
মেদহীন ছিপছিপে শরীরের আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরকালীন। এ জন্য যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত সবাই। কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে ছিপছিপে শরীরের দেখা পাওয়া খুব সহজ নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেল, কলা ও নাশপাতিতে প্রচুর আঁশ আছে, যা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখে। অন্যদিকে তরমুজ, আঙুর ও কমলা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা পেটে চর্বি জমতে বাধা দেয়। আর বুঝতেই পারছেন, পেটে চর্বি না জমলে শরীর ছিপছিপে থাকবে।
কলা
কলায় চুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার বা আঁশ থাকে বলে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট শুধু শরীরে শক্তিই জোগায় না, দীর্ঘমেয়াদি সুস্থও রাখে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা এসব কথাই বলেছেন কলা সম্পর্কে।
নাশপাতি
একটি মাঝারি আকারের নাশপাতিতে রয়েছে ৬ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ। এ পরিমাণ আঁশ প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার প্রায় এক চতুর্থাংশ পূরণ করে। খাবারের আঁশ মূলত ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে বলে ঘন ঘন খাবারের চাহিদা তৈরি হয় না। এটি শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া নাশপাতিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল ও পটাশিয়ামে সৃষ্ট প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা পালন করে।
আপেল
আপেলও ভরপুর আঁশ সমৃদ্ধ ফল। এ ছাড়া এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান পলিফেনল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্থূলতা কমাতে সহায়তা করে। খোসাসহ একটি আপেলে ৪ গ্রামের বেশি আঁশ পাওয়া যায় যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৪ শতাংশ পূরণ করে।
তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পুষ্টি উপাদান ও আঁশ আছে। এর সবগুলোই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই ফলে ক্যালরি কম থাকে। এক কাপ তরমুজের রসে ৪৬ দশমিক ৫ ক্যালরি থাকে। এর মধ্যে ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রাম চিনি ও বাকি অংশ আঁশ। তরমুজ ক্ষুধা নিবারণ করে যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আঙুর
আঙুর আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এটি প্রদাহ কমায় ও শরীরের গঠন ঠিক রাখে। রসালো এই ফলটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কমলা
কমলা লেবুতে প্রচুর পানি ও ক্যালরি থাকে। এতে চিনি কম থাকে। কমলা লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে সহায়তা করে। এটি কোমরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
এ ফলগুলোর বাইরে সব ধরনের মৌসুমি ফল খেতে হবে। নিয়মিত ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ প্রতিটি ফলই আঁশে ভরপুর।
আঁশ কীভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে
আমরা যে জীবনযাপন প্রণালিতে অভ্যস্ত তাতে স্বাস্থ্যকর খাবার ধীরে ধীরে হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেখানে ব্যাপক ভাবে প্রবেশ করছে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়ার মতো খাবার। বাসার বাইরের সারি সারি খাবারের দোকানগুলোর কথা মনে করে দেখুন। সেগুলোর বেশির ভাগ মূলত ডিপ ফ্রায়েড খাবারের দোকান। আর তার প্রধান আকর্ষণ ডুবোতেলে ভাজা মুরগি কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা কাবাব, গ্রিল, শিঙাড়া, সমুচা ইত্যাদি।
এ দিকে পুষ্টিবিদেরা বলে চলেছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল রাখা খুবই জরুরি। কোন ফল কী পরিমাণ খাবেন সেটারও নিয়ম আছে এবং সে নিয়ম মেনে চলা উচিত। একেকটি ফলে রয়েছে একেক রকম ভিটামিন, খনিজ। আর সেগুলোর আছে ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা। এ ছাড়া ফলে থাকে আঁশ বা ফাইবার। এই আঁশ আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এগুলো খাবার হজমে সহায়তা করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। কীভাবে, তাই ভাবছেন তো? দেখে নিন,
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার সময় সাধারণত একটু বেশি চিবোতে হয়। ফলে পরিমাণে বেশি খাবার প্রবণতা কমে যায়।
বেশি আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে। এ ধরনের খাবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই দেরিতে ক্ষুধা লাগে।
আঁশসমৃদ্ধ খাবারে সমপরিমাণ অন্য খাবারের তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। ফলে এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
২ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
২ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
২ দিন আগে