সানজিদা সামরিন, ঢাকা
তখন কলকাতার পথে নেমে এসেছে অন্ধকার। সারা দিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি উঠতে হলো। গন্তব্য় দক্ষিণ কলকাতা, লিভিং লিজেন্ড শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের যোধপুর পার্কের বাড়ি। সাউথ সিটি মল থেকে হাঁটাপথ। অতঃপর পা জোড়া থামল তাঁর বাড়ির সামনে। ঘিয়ে রঙের চারতলা বাড়ি। সামনে ঝুলবারান্দা। দোরঘণ্টি বাজানো হলো। সুইচের নিচে নেমপ্লেটে লেখা, ‘শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়, সোনামন মুখোপাধ্য়ায়’।
দরজা খুলে গেল। বসার ঘরের দেয়ালটার রং গোলাপি। শুভ্রনীল রঙের পর্দায় ঢাকা জানালা। সাজিয়ে রাখা সোফার মাঝখানে কুশকাঁটার টেবিলক্লথে ঢাকা গোল সেন্টার টেবিল। সেখানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা। কিছুক্ষণ পর সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলেন তিনি। ছোটবেলায় পড়া অদ্ভুতুড়ে সিরিজ মানে ‘নবীগঞ্জের দৈত্য়’, ‘চক্রপুরের চক্করে’, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’, ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ বইগুলোর লেখকের সঙ্গে দেখা হলো প্রথমবারের মতো। পাশের বড় স্ট্যান্ড ফ্যানটা ছেড়ে দিতে বললেন। তারপর বসলেন এবং বললেন, ‘শুরু করো।’
তারপরের আলাপটা ছিল এ রকম
‘পরিবারকে উপেক্ষা করে লেখক হতে চাইনি’
নিজের লেখকসত্তা নিয়ে জানতে চাইলে ‘চক্রপুরের চক্করে’র লেখক সোজাসাপ্টা বলে ওঠেন, ‘দিনরাত নাক-মুখ গুঁজে লিখে আমি লেখক হতে চাইনি। সারাক্ষণ লেখার টেবিলে থাকব আর আমার সহধর্মিণী বাজার-ঘাট করবেন, সংসার সামলাবেন, সেটা হয় না। পরিবারের গুরুত্ব সবার আগে। বাড়ির বাজার-সদাই, সন্তানকে সামলানো, বিল পরিশোধ ও সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তবেই লিখতে বসেছি।’
পরিবারের গুরুত্ব সবার আগে। সংসার নারী ও পুরুষ—দুজনে মিলে গড়ে। সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তবেই লিখতে বসেছি।
‘জীবনটা সাধারণভাবে যাপন করি’
তাঁর বাড়িতে ঢুকে প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছিল, তিনি খুব আড়ম্বরপূর্ণ মানুষ নন। সাদাসিধে ধুতি, প্যাস্টেল-কালো স্ট্রাইপের পোলো শার্ট আর স্লিপার পরেই সামনে এসেছিলেন। দিন কী করে কাটে জানতে চাইলে বলেন, ‘খুব সাধারণভাবেই। রোজ সকালে উঠে পূজা করি, খবরের কাগজ পড়ি, রোজকার কাজকর্ম করি, ব্যায়াম করি দুবেলা, লিখতে হলে লিখি, এই তো!’
‘ভালো মানুষ হতে সততা ও স্বচ্ছতা থাকা চাই’
জানতে চাওয়া শেষ প্রশ্নটা করে ফেললাম, ‘আচ্ছা, ভালো মানুষের সংজ্ঞা কী আপনার কাছে…?’ তিনি বললেন, ‘দেখো, পৃথিবীতে আজকাল তো ভালো কাজ ও খারাপ কাজের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। মানুষ এখন এমন সব কাজ করার সম্মতি পেয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, তা যেন আলাদা করে বলা মুশকিল হয়ে উঠছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভালো মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে সততা ও স্বচ্ছতা।’
‘ভালোবাসার চেয়ে বিশ্বস্ততা জরুরি’
দাম্পত্য ও পরিবার নিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বিস্তর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আপাদমস্তক সংসারী মানুষ তিনি। পরিবার, সঙ্গী, সন্তান তাঁর কাছে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট্ট আলাপে বারবারই সেটা বোঝা গেল। কথায় কথায় বললেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দিনে দিনে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। চারপাশে তাই দেখি। স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করে, স্ত্রী স্বামীকে। এই সম্পর্কে যদি বিশ্বস্ততা না থাকে, তাহলে কি হয়? মানুষ যখন প্রস্তরযুগে ছিল, তখন মানুষ বিয়ে করত না। তারা মিলিত হতো, সন্তান হতো। এরপর থেকে সংসার নামক ধারণার সৃষ্টি হয়। কারণ, দেখা গেল, অবাধ চলাফেরায় কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্য়েকেই পরিচয়হীনতায় ভুগছে। তখন অল্প অল্প করে সংসার ও পরিবারের ধারণা বিস্তার লাভ করে। সংসারের কেন্দ্রে ছিল নারী, এখনো তাই। নারী ঘরসংসার সামলান, সন্তান মানুষ করেন, সুশিক্ষা দেন। স্বীকার করতে হবে, নারী সংসারকে বাঘিনীর মতো আগলে রাখেন, ফলে তাঁরাই কেন্দ্রে আছেন। অরণ্যচারী মানুষ যখন শিকার করতে যাচ্ছে, তখন তার মনে সেই ভরসা ছিল, ঘরে ফিরে তার নারী সঙ্গীকে সে দেখতে পাবে, সন্তানদের দেখতে পাবে। আমার সঙ্গী, আমার সন্তান—এই যে ‘আমার’ ব্যাপারটি সৃষ্টি হলো। আমার সংসার, আমার সম্পত্তি, আমার ইউনিট—এমন ছোট ছোট ইউনিট নিয়েই সমাজ তৈরি হলো এ পর্যায়ে। এই সমাজব্যবস্থার ওপর গোটা রাষ্ট্রটা দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্রের এই ক্ষুদ্র সংগঠন পরিবার যখন ভেঙে যাচ্ছে, তখন গোটা সমাজব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে। এখন ব্রোকেন ফ্যামিলি বাড়ছে, এটা ভীষণ দুশ্চিন্তার। আজকাল তো সঙ্গী-সঙ্গিনী কিছুদিন একসঙ্গে থাকার পর ভালো না লাগলে একে অপরকে ছেড়ে যায়। আজ ভালো লাগছে কিন্তু কাল আর ভালো লাগছে না, এটা বললে কি হয়? দায়িত্ব নিতে হবে। ভেঙে ফেলাটা জীবন নয়। আমরা কি বাবা-মাকে ভালো লাগছে না বলে ত্যাগ করতে পারি? চলে যেতে পারি? তাহলে সঙ্গীকে কেন ছাড়ি? রূপ-যৌবন চিরকাল থাকে না, তাই বলে কি মানুষটাকে ভালো লাগবে না? সে তো হয় না সংসার নারী ও পুরুষ—দুজনে মিলে গড়ে। দালানের মতো। এখানে ভালোবাসা কতটুকু আছে, তার চেয়ে বিশ্বস্ততা আছে কি না, সেটা বোঝা বেশি জরুরি।’
‘নিজের জন্য লিখি’
বাংলাদেশে তাঁর পাঠক অনেক, বিশেষ করে আমরা তো শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ পড়েই বড় হয়েছি। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এবার নতুন কিছু লিখবেন কি না—জানতে চাইলে বলেন, ‘পাঠকেরা কী পড়বে, তাঁরা কী ধরনের লেখা পছন্দ করেন, সেটা ভেবে লিখিনি কখনো। আমার যা ভালো লাগে, যা লিখতে চাই, তা-ই লিখেছি, লিখি। পাঠকের ভালো লাগলে তাঁরা পড়বেন।’ (স্মিত হাসলেন তিনি, জ্বলছে হিরের মতো দুচোখ)
প্রিয় খেলা: ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস।
প্রিয় খাবার: নিরামিষ। মিষ্টিজাতীয় কিছু তেমন একটা খান না।
রোজকার ব্যায়াম: সকাল-বিকেল হাঁটাসহ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন। সময় পেলে যোগব্যায়াম করেন।
ঘোরাঘুরি: কার্যকারণ ছাড়া তেমন একটা ঘোরা হয় না।
লেখার সময়: বেশির ভাগ সময় রাতেই লিখতেন। এখন যখন ভালো লাগে, তখনই লিখতে বসেন।
বাংলাদেশে পছন্দের লেখক ও কবি : আল মাহমুদ, হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, জুয়েল মাজহার, মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তখন কলকাতার পথে নেমে এসেছে অন্ধকার। সারা দিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি উঠতে হলো। গন্তব্য় দক্ষিণ কলকাতা, লিভিং লিজেন্ড শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের যোধপুর পার্কের বাড়ি। সাউথ সিটি মল থেকে হাঁটাপথ। অতঃপর পা জোড়া থামল তাঁর বাড়ির সামনে। ঘিয়ে রঙের চারতলা বাড়ি। সামনে ঝুলবারান্দা। দোরঘণ্টি বাজানো হলো। সুইচের নিচে নেমপ্লেটে লেখা, ‘শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়, সোনামন মুখোপাধ্য়ায়’।
দরজা খুলে গেল। বসার ঘরের দেয়ালটার রং গোলাপি। শুভ্রনীল রঙের পর্দায় ঢাকা জানালা। সাজিয়ে রাখা সোফার মাঝখানে কুশকাঁটার টেবিলক্লথে ঢাকা গোল সেন্টার টেবিল। সেখানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা। কিছুক্ষণ পর সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলেন তিনি। ছোটবেলায় পড়া অদ্ভুতুড়ে সিরিজ মানে ‘নবীগঞ্জের দৈত্য়’, ‘চক্রপুরের চক্করে’, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’, ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ বইগুলোর লেখকের সঙ্গে দেখা হলো প্রথমবারের মতো। পাশের বড় স্ট্যান্ড ফ্যানটা ছেড়ে দিতে বললেন। তারপর বসলেন এবং বললেন, ‘শুরু করো।’
তারপরের আলাপটা ছিল এ রকম
‘পরিবারকে উপেক্ষা করে লেখক হতে চাইনি’
নিজের লেখকসত্তা নিয়ে জানতে চাইলে ‘চক্রপুরের চক্করে’র লেখক সোজাসাপ্টা বলে ওঠেন, ‘দিনরাত নাক-মুখ গুঁজে লিখে আমি লেখক হতে চাইনি। সারাক্ষণ লেখার টেবিলে থাকব আর আমার সহধর্মিণী বাজার-ঘাট করবেন, সংসার সামলাবেন, সেটা হয় না। পরিবারের গুরুত্ব সবার আগে। বাড়ির বাজার-সদাই, সন্তানকে সামলানো, বিল পরিশোধ ও সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তবেই লিখতে বসেছি।’
পরিবারের গুরুত্ব সবার আগে। সংসার নারী ও পুরুষ—দুজনে মিলে গড়ে। সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তবেই লিখতে বসেছি।
‘জীবনটা সাধারণভাবে যাপন করি’
তাঁর বাড়িতে ঢুকে প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছিল, তিনি খুব আড়ম্বরপূর্ণ মানুষ নন। সাদাসিধে ধুতি, প্যাস্টেল-কালো স্ট্রাইপের পোলো শার্ট আর স্লিপার পরেই সামনে এসেছিলেন। দিন কী করে কাটে জানতে চাইলে বলেন, ‘খুব সাধারণভাবেই। রোজ সকালে উঠে পূজা করি, খবরের কাগজ পড়ি, রোজকার কাজকর্ম করি, ব্যায়াম করি দুবেলা, লিখতে হলে লিখি, এই তো!’
‘ভালো মানুষ হতে সততা ও স্বচ্ছতা থাকা চাই’
জানতে চাওয়া শেষ প্রশ্নটা করে ফেললাম, ‘আচ্ছা, ভালো মানুষের সংজ্ঞা কী আপনার কাছে…?’ তিনি বললেন, ‘দেখো, পৃথিবীতে আজকাল তো ভালো কাজ ও খারাপ কাজের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। মানুষ এখন এমন সব কাজ করার সম্মতি পেয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, তা যেন আলাদা করে বলা মুশকিল হয়ে উঠছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভালো মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে সততা ও স্বচ্ছতা।’
‘ভালোবাসার চেয়ে বিশ্বস্ততা জরুরি’
দাম্পত্য ও পরিবার নিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বিস্তর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আপাদমস্তক সংসারী মানুষ তিনি। পরিবার, সঙ্গী, সন্তান তাঁর কাছে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট্ট আলাপে বারবারই সেটা বোঝা গেল। কথায় কথায় বললেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দিনে দিনে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। চারপাশে তাই দেখি। স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করে, স্ত্রী স্বামীকে। এই সম্পর্কে যদি বিশ্বস্ততা না থাকে, তাহলে কি হয়? মানুষ যখন প্রস্তরযুগে ছিল, তখন মানুষ বিয়ে করত না। তারা মিলিত হতো, সন্তান হতো। এরপর থেকে সংসার নামক ধারণার সৃষ্টি হয়। কারণ, দেখা গেল, অবাধ চলাফেরায় কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্য়েকেই পরিচয়হীনতায় ভুগছে। তখন অল্প অল্প করে সংসার ও পরিবারের ধারণা বিস্তার লাভ করে। সংসারের কেন্দ্রে ছিল নারী, এখনো তাই। নারী ঘরসংসার সামলান, সন্তান মানুষ করেন, সুশিক্ষা দেন। স্বীকার করতে হবে, নারী সংসারকে বাঘিনীর মতো আগলে রাখেন, ফলে তাঁরাই কেন্দ্রে আছেন। অরণ্যচারী মানুষ যখন শিকার করতে যাচ্ছে, তখন তার মনে সেই ভরসা ছিল, ঘরে ফিরে তার নারী সঙ্গীকে সে দেখতে পাবে, সন্তানদের দেখতে পাবে। আমার সঙ্গী, আমার সন্তান—এই যে ‘আমার’ ব্যাপারটি সৃষ্টি হলো। আমার সংসার, আমার সম্পত্তি, আমার ইউনিট—এমন ছোট ছোট ইউনিট নিয়েই সমাজ তৈরি হলো এ পর্যায়ে। এই সমাজব্যবস্থার ওপর গোটা রাষ্ট্রটা দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্রের এই ক্ষুদ্র সংগঠন পরিবার যখন ভেঙে যাচ্ছে, তখন গোটা সমাজব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে। এখন ব্রোকেন ফ্যামিলি বাড়ছে, এটা ভীষণ দুশ্চিন্তার। আজকাল তো সঙ্গী-সঙ্গিনী কিছুদিন একসঙ্গে থাকার পর ভালো না লাগলে একে অপরকে ছেড়ে যায়। আজ ভালো লাগছে কিন্তু কাল আর ভালো লাগছে না, এটা বললে কি হয়? দায়িত্ব নিতে হবে। ভেঙে ফেলাটা জীবন নয়। আমরা কি বাবা-মাকে ভালো লাগছে না বলে ত্যাগ করতে পারি? চলে যেতে পারি? তাহলে সঙ্গীকে কেন ছাড়ি? রূপ-যৌবন চিরকাল থাকে না, তাই বলে কি মানুষটাকে ভালো লাগবে না? সে তো হয় না সংসার নারী ও পুরুষ—দুজনে মিলে গড়ে। দালানের মতো। এখানে ভালোবাসা কতটুকু আছে, তার চেয়ে বিশ্বস্ততা আছে কি না, সেটা বোঝা বেশি জরুরি।’
‘নিজের জন্য লিখি’
বাংলাদেশে তাঁর পাঠক অনেক, বিশেষ করে আমরা তো শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ পড়েই বড় হয়েছি। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এবার নতুন কিছু লিখবেন কি না—জানতে চাইলে বলেন, ‘পাঠকেরা কী পড়বে, তাঁরা কী ধরনের লেখা পছন্দ করেন, সেটা ভেবে লিখিনি কখনো। আমার যা ভালো লাগে, যা লিখতে চাই, তা-ই লিখেছি, লিখি। পাঠকের ভালো লাগলে তাঁরা পড়বেন।’ (স্মিত হাসলেন তিনি, জ্বলছে হিরের মতো দুচোখ)
প্রিয় খেলা: ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস।
প্রিয় খাবার: নিরামিষ। মিষ্টিজাতীয় কিছু তেমন একটা খান না।
রোজকার ব্যায়াম: সকাল-বিকেল হাঁটাসহ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন। সময় পেলে যোগব্যায়াম করেন।
ঘোরাঘুরি: কার্যকারণ ছাড়া তেমন একটা ঘোরা হয় না।
লেখার সময়: বেশির ভাগ সময় রাতেই লিখতেন। এখন যখন ভালো লাগে, তখনই লিখতে বসেন।
বাংলাদেশে পছন্দের লেখক ও কবি : আল মাহমুদ, হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, জুয়েল মাজহার, মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে