অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেশন জেডের মধ্যে এখন পা না দেখানোর ট্রেন্ড চলছে। জেনারেশন জেড বা জেন জেড প্রজন্ম সব ধরনের জুতার সঙ্গে মোজা পরার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। এমনকি পা খোলা স্যান্ডেল বা ফ্লিপফ্লপের সঙ্গেও তাঁরা মোজা পরছেন।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সালে জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন জেড প্রজন্মের অংশ। এর আগের প্রজন্মকে বলা হয় মিলেনিয়াল। ২০১০ এর পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়াদের বলা হবে জেনারেশন আলফা ও এর পরে জন্ম নেওয়াদের বলা হবে জেনারেশন বেটা।
আন্ড্রেয়া মিশেল ক্যালিফোর্নিয়ার এক স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি যখন হাইস্কুলে ছিলাম তখন আমরা ১ ডলারের নেভি ফ্লিপফ্লপ পরে স্কুলে যেতাম। কিন্তু এখনকার স্কুল প্রাঙ্গণের চিত্র ভিন্ন। এখনকার যারা হাইস্কুলে পড়ছে তারা সবাই জেন জেডের। এদের সবার পা–ই এখন ঢাকা থাকে।’
মিলেনিয়াল (যাদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ এর মধ্যে) প্রজন্মের মিশেল বলেন, ‘এখন কেউ মোজা ছাড়া স্যান্ডেল পরতে চায় না। আমার কাছে এটা বিভ্রান্তিমূলক ছিল। কারণ আমি সান দিয়েগো কাউন্টিতে থাকি। আমি স্যান্ডেল জাতীয় জুতা পরে বড় হয়েছি। আমার ছাত্রীরা বসন্তের দিনেও মোজা পরে আমার বাবার মতো সেজে আসে!’
তাঁরা নিজের পা দেখাতে যেমন পছন্দ করেন না তেমনি অন্য কেউ পা দেখালেও তা ভালোভাবে নেন না। স্যান্ডেল পরে পা খোলা রাখায় অভ্যস্ত মিশেল। প্রায়ই তাঁকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘ডগস আউট’ (যৌনকর্মী অর্থে গালি) শুনতে হয়। কেউ কেউ বলে, ‘আপনি বিনা মূল্যে পায়ের ছবি বিলিয়ে দিচ্ছেন?’ এমনকি কিছু শিক্ষার্থী তাঁর পায়ের দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে।
টিকটকে এই জেন জেড দৃশ্যমান পায়ের আঙুলকে ‘ডগস আউট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচার করে। এমনকি টিকটক ব্যবহারকারীরা ‘ডগ অ্যাটাক’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অনেক ভিডিও তৈরি করে। ডগ অ্যাটাক হলো যখন একজনের খালি পা বা পায়ের আঙুল আরেকজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর গায়ে লাগে। প্রকাশ্যে কারও পায়ের আঙুল বা পা বের হয়ে থাকলে এটাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতি হিসেবে টিকটকে প্রচার করা হয়।
শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গ প্রদর্শনের চল আসা–যাওয়া নতুন কিছু নয়। ক্রপটপের (পেট দেখানো) চল এসে গেছে, জিনস কোমরের ওপরে উঠেছে নেমেছে, শর্টস কখনো ছোট হয়েছে, কখনো বড় হয়েছে। কিন্তু এই পা লুকানো নিয়ে জেন জেডের মধ্যে চলছে অদ্ভুত উন্মাদনা।
মিশেলের মতে, ফিট ফাইন্ডার ও অনলি ফ্যানসের মতো সাইটে অবাধ অনুপ্রবেশের কারণে তাঁরা পা দেখলেই ‘ফুট ফেটিশের’ বা পায়ের প্রতি যৌনকাঙ্ক্ষার বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না।
জেন জেড পুরো জীবন ইন্টারনেটের সংস্পর্শে থাকায় অনলাইন ও বাস্তব জীবনে তাঁদের কে দেখছে ও তাঁদের পোশাক—এসব বিষয়ে খুব সচেতন।
১৮ বছর বয়সী ফেয়ার লনের অডিও প্রকৌশলী আনালিসা প্রাউস নিউ জার্সির বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাইরে যাই তখন চেষ্টা করি পা ঢাকা জুতা পরতে। আমার মনে হয়, মানুষ আমার পায়ের আঙুলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি সেভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই না। অনলাইনে পা নিয়ে যৌনতা এত সাধারণ ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আমি বিব্রত হই।’
অযাচিত দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা খুব সত্য ঘটনা। অ্যানাবেল স্মিট একজন জেন জেড জীবনধারা ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ১৯ হাজার ফলোয়ার। তিনি তাঁর ফলোয়ারদের কাছ থেকে ‘পায়ের ছবি চাওয়ার’ মতো উদ্ভট বার্তা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যদি আমার গ্রীষ্মকালীন ছুটির ছবি প্রকাশ করি যাতে আমি স্যান্ডেল পরে আছি, তবে আমি আমার “সুন্দর পায়ের আরেক ঝলক দেখানোর জন্য” অনেক উদ্ভট বার্তা পাব।’
এ প্রজন্ম ভালো করে জানে কীভাবে তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি থেকে অর্থ কামাতে হয়। স্মিট বলেন, ‘পায়ের ছবি বিক্রি করে যদি আমি অর্থ আয় করতে পারি, তাহলে তাদের বিনা মূল্যে কেন দেখাব?’
ফিটফাইন্ডার, উইকিফিট ও অনলি ফ্যানসের মতো সাইটগুলোতে ব্যবহারকারীরা পায়ের ছবি বা ভিডিও কেনা–বেচা করতে পারেন। যদিও অনলি ফ্যানস একটি ইন্টারনেট কনটেন্ট সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা, যেটিতে মূলত পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেশন জেডের মধ্যে এখন পা না দেখানোর ট্রেন্ড চলছে। জেনারেশন জেড বা জেন জেড প্রজন্ম সব ধরনের জুতার সঙ্গে মোজা পরার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। এমনকি পা খোলা স্যান্ডেল বা ফ্লিপফ্লপের সঙ্গেও তাঁরা মোজা পরছেন।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সালে জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন জেড প্রজন্মের অংশ। এর আগের প্রজন্মকে বলা হয় মিলেনিয়াল। ২০১০ এর পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়াদের বলা হবে জেনারেশন আলফা ও এর পরে জন্ম নেওয়াদের বলা হবে জেনারেশন বেটা।
আন্ড্রেয়া মিশেল ক্যালিফোর্নিয়ার এক স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি যখন হাইস্কুলে ছিলাম তখন আমরা ১ ডলারের নেভি ফ্লিপফ্লপ পরে স্কুলে যেতাম। কিন্তু এখনকার স্কুল প্রাঙ্গণের চিত্র ভিন্ন। এখনকার যারা হাইস্কুলে পড়ছে তারা সবাই জেন জেডের। এদের সবার পা–ই এখন ঢাকা থাকে।’
মিলেনিয়াল (যাদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ এর মধ্যে) প্রজন্মের মিশেল বলেন, ‘এখন কেউ মোজা ছাড়া স্যান্ডেল পরতে চায় না। আমার কাছে এটা বিভ্রান্তিমূলক ছিল। কারণ আমি সান দিয়েগো কাউন্টিতে থাকি। আমি স্যান্ডেল জাতীয় জুতা পরে বড় হয়েছি। আমার ছাত্রীরা বসন্তের দিনেও মোজা পরে আমার বাবার মতো সেজে আসে!’
তাঁরা নিজের পা দেখাতে যেমন পছন্দ করেন না তেমনি অন্য কেউ পা দেখালেও তা ভালোভাবে নেন না। স্যান্ডেল পরে পা খোলা রাখায় অভ্যস্ত মিশেল। প্রায়ই তাঁকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘ডগস আউট’ (যৌনকর্মী অর্থে গালি) শুনতে হয়। কেউ কেউ বলে, ‘আপনি বিনা মূল্যে পায়ের ছবি বিলিয়ে দিচ্ছেন?’ এমনকি কিছু শিক্ষার্থী তাঁর পায়ের দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে।
টিকটকে এই জেন জেড দৃশ্যমান পায়ের আঙুলকে ‘ডগস আউট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচার করে। এমনকি টিকটক ব্যবহারকারীরা ‘ডগ অ্যাটাক’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অনেক ভিডিও তৈরি করে। ডগ অ্যাটাক হলো যখন একজনের খালি পা বা পায়ের আঙুল আরেকজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর গায়ে লাগে। প্রকাশ্যে কারও পায়ের আঙুল বা পা বের হয়ে থাকলে এটাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতি হিসেবে টিকটকে প্রচার করা হয়।
শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গ প্রদর্শনের চল আসা–যাওয়া নতুন কিছু নয়। ক্রপটপের (পেট দেখানো) চল এসে গেছে, জিনস কোমরের ওপরে উঠেছে নেমেছে, শর্টস কখনো ছোট হয়েছে, কখনো বড় হয়েছে। কিন্তু এই পা লুকানো নিয়ে জেন জেডের মধ্যে চলছে অদ্ভুত উন্মাদনা।
মিশেলের মতে, ফিট ফাইন্ডার ও অনলি ফ্যানসের মতো সাইটে অবাধ অনুপ্রবেশের কারণে তাঁরা পা দেখলেই ‘ফুট ফেটিশের’ বা পায়ের প্রতি যৌনকাঙ্ক্ষার বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না।
জেন জেড পুরো জীবন ইন্টারনেটের সংস্পর্শে থাকায় অনলাইন ও বাস্তব জীবনে তাঁদের কে দেখছে ও তাঁদের পোশাক—এসব বিষয়ে খুব সচেতন।
১৮ বছর বয়সী ফেয়ার লনের অডিও প্রকৌশলী আনালিসা প্রাউস নিউ জার্সির বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাইরে যাই তখন চেষ্টা করি পা ঢাকা জুতা পরতে। আমার মনে হয়, মানুষ আমার পায়ের আঙুলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি সেভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই না। অনলাইনে পা নিয়ে যৌনতা এত সাধারণ ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আমি বিব্রত হই।’
অযাচিত দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা খুব সত্য ঘটনা। অ্যানাবেল স্মিট একজন জেন জেড জীবনধারা ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ১৯ হাজার ফলোয়ার। তিনি তাঁর ফলোয়ারদের কাছ থেকে ‘পায়ের ছবি চাওয়ার’ মতো উদ্ভট বার্তা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যদি আমার গ্রীষ্মকালীন ছুটির ছবি প্রকাশ করি যাতে আমি স্যান্ডেল পরে আছি, তবে আমি আমার “সুন্দর পায়ের আরেক ঝলক দেখানোর জন্য” অনেক উদ্ভট বার্তা পাব।’
এ প্রজন্ম ভালো করে জানে কীভাবে তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি থেকে অর্থ কামাতে হয়। স্মিট বলেন, ‘পায়ের ছবি বিক্রি করে যদি আমি অর্থ আয় করতে পারি, তাহলে তাদের বিনা মূল্যে কেন দেখাব?’
ফিটফাইন্ডার, উইকিফিট ও অনলি ফ্যানসের মতো সাইটগুলোতে ব্যবহারকারীরা পায়ের ছবি বা ভিডিও কেনা–বেচা করতে পারেন। যদিও অনলি ফ্যানস একটি ইন্টারনেট কনটেন্ট সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা, যেটিতে মূলত পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট থাকে।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
২ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে