জীবনধারা ডেস্ক
পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস
পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
২ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে