আমিনুল ইসলাম নাবিল
এ শতাব্দীর শেষে প্রায় দেড় হাজার ভাষার কথ্য রূপ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। এখন যে গতিতে ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে আগামী ৪০ বছর পর এই মাত্রা তিন গুন পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষার বিস্তার এবং গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে আসা ভাষাকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে ভাষার বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
এ সংক্রান্ত গবেষণার বরাতে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ৭ হাজার কথ্য ভাষা রয়েছে। এর অর্ধেকই বিলুপ্তির পথে।
নেচার, ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী ৪০ বছর পর প্রতি মাসে একটি করে ভাষা বিলুপ্ত হতে পারে। বর্তমানে তিন মাস অন্তর অন্তর একটি করে ভাষা বিলুপ্ত হয় বলে ধারণা গবেষকদের।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) গবেষকেরা বিপন্ন এমন কয়েক হাজার ভাষা নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ভাষা বিলুপ্তির সঙ্গে উচ্চশিক্ষার যোগসূত্র রয়েছে। কেননা শ্রেণিকক্ষে আঞ্চলিক প্রভাবশালী ভাষাই পড়ানো হয়। ফলে আদিবাসী ভাষাগুলো আড়ালেই পড়ে থাকে। এভাবেই এক সময় এগুলো হারিয়ে যায়।
বিপন্ন ভাষাগুলোর জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ঝুঁকির বিষয় গবেষকেরা সামনে এনেছেন। সেটি হলো—যেসব এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বসবাস। সেসব জায়গার ভাষাগুলো বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। কিংবা যেসব দেশে শহরের সঙ্গে গ্রামকে সংযুক্ত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় ভাষা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এ বিষয়ে গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক লিন্ডেল ব্রনহ্যাম বলেন, ‘আমরা গবেষণায় দেখেছি—যেসব দেশে শহরের সঙ্গে গ্রামকে যুক্ত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় ভাষা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এটি প্রভাবশালী ভাষাগুলোকে ছোট ছোট আদি কিংবা উপভাষার ওপর “নিপীড়ন” চালানোর পথ খুলে দেয়।’
ভাষা রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ব্রোমহাম বলেন, ‘যখন একটি ভাষা হারিয়ে যায় অথবা বিপন্ন হয়ে পড়ে তখন এটিকে আর কথ্য ভাষা বলা যায় না। ফলশ্রুতিতে আমরা মানবিক সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হারিয়ে ফেলি। বর্তমানে কথ্য হিসেবে ব্যবহৃত অনেক ভাষাই এই শতাব্দীতে হারিয়ে যেতে পারে। এখনো অবশ্য আদিবাসী ভাষাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাষাগুলোকে জীবিত রাখতে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সম্প্রদায়গুলোকে এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার।’
প্রযুক্তি আদিবাসী ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করতে সহায়ক কি না—এ বিষয়ে গবেষণায় উঠে আসে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, প্রযুক্তির জয়জয়কারে আদিবাসী ভাষাগুলো জৌলুশ হারাচ্ছে। কেননা এখানে প্রধান কিছু ভাষার আধিপত্য রয়েছে।
তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট সাইট ও অ্যাপগুলোতে একটা সময় পর্যন্ত প্রধান কিছু ভাষা যেমন—স্প্যানিশ, ইংলিশ এবং মান্দারিন শুধু এগুলো শেখার সুযোগ থাকলেও বর্তমানে অন্যান্য ভাষা শেখার সুযোগও রয়েছে।
এ সংক্রান্ত নানা উদ্যোগ এখন দৃশ্যমান। যেমন—‘মা! ইওয়াইদজা’ অ্যাপের কথাই ধরা যাক। অ্যাপটি অস্ট্রেলিয়ার ইওয়াইদজা আদিবাসী ভাষা নিয়ে কাজ করে থাকে। অ্যাপটি অস্ট্রেলিয়ার ইওয়াইদজা আদিবাসী ভাষার শব্দ, বাক্য এবং অনুবাদ রেকর্ড করতে সক্ষম। ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটিতে অভিধান এবং শব্দভান্ডার রয়েছে।
এমনই আরেকটি উদ্যোগ হলো—রোসেটা প্রকল্প। এটি ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় ভাষাভাষীদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম। মানব ভাষার একটি ওপেন-অ্যাকসেস ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরিতে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, আদিবাসী ভাষা রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইউনেসকো। ভাষা রক্ষার বিষয়টির সঙ্গে বিশ্ববাসীকে সজাগ করতে আদিবাসী দশক ঘোষণা করা হয়েছে (২০২২ সাল-২০৩২ সাল)। ইউনেসকোর ১০ বছর মেয়াদি এ উদ্যোগ আদিবাসী ভাষা রক্ষায় কিছুটা হলেও কাজে আসতে পারে।
এ শতাব্দীর শেষে প্রায় দেড় হাজার ভাষার কথ্য রূপ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। এখন যে গতিতে ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে আগামী ৪০ বছর পর এই মাত্রা তিন গুন পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষার বিস্তার এবং গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে আসা ভাষাকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে ভাষার বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
এ সংক্রান্ত গবেষণার বরাতে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ৭ হাজার কথ্য ভাষা রয়েছে। এর অর্ধেকই বিলুপ্তির পথে।
নেচার, ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী ৪০ বছর পর প্রতি মাসে একটি করে ভাষা বিলুপ্ত হতে পারে। বর্তমানে তিন মাস অন্তর অন্তর একটি করে ভাষা বিলুপ্ত হয় বলে ধারণা গবেষকদের।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) গবেষকেরা বিপন্ন এমন কয়েক হাজার ভাষা নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ভাষা বিলুপ্তির সঙ্গে উচ্চশিক্ষার যোগসূত্র রয়েছে। কেননা শ্রেণিকক্ষে আঞ্চলিক প্রভাবশালী ভাষাই পড়ানো হয়। ফলে আদিবাসী ভাষাগুলো আড়ালেই পড়ে থাকে। এভাবেই এক সময় এগুলো হারিয়ে যায়।
বিপন্ন ভাষাগুলোর জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ঝুঁকির বিষয় গবেষকেরা সামনে এনেছেন। সেটি হলো—যেসব এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বসবাস। সেসব জায়গার ভাষাগুলো বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। কিংবা যেসব দেশে শহরের সঙ্গে গ্রামকে সংযুক্ত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় ভাষা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এ বিষয়ে গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক লিন্ডেল ব্রনহ্যাম বলেন, ‘আমরা গবেষণায় দেখেছি—যেসব দেশে শহরের সঙ্গে গ্রামকে যুক্ত করা হয়েছে, সেসব জায়গায় ভাষা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এটি প্রভাবশালী ভাষাগুলোকে ছোট ছোট আদি কিংবা উপভাষার ওপর “নিপীড়ন” চালানোর পথ খুলে দেয়।’
ভাষা রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ব্রোমহাম বলেন, ‘যখন একটি ভাষা হারিয়ে যায় অথবা বিপন্ন হয়ে পড়ে তখন এটিকে আর কথ্য ভাষা বলা যায় না। ফলশ্রুতিতে আমরা মানবিক সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হারিয়ে ফেলি। বর্তমানে কথ্য হিসেবে ব্যবহৃত অনেক ভাষাই এই শতাব্দীতে হারিয়ে যেতে পারে। এখনো অবশ্য আদিবাসী ভাষাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাষাগুলোকে জীবিত রাখতে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সম্প্রদায়গুলোকে এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার।’
প্রযুক্তি আদিবাসী ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করতে সহায়ক কি না—এ বিষয়ে গবেষণায় উঠে আসে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, প্রযুক্তির জয়জয়কারে আদিবাসী ভাষাগুলো জৌলুশ হারাচ্ছে। কেননা এখানে প্রধান কিছু ভাষার আধিপত্য রয়েছে।
তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট সাইট ও অ্যাপগুলোতে একটা সময় পর্যন্ত প্রধান কিছু ভাষা যেমন—স্প্যানিশ, ইংলিশ এবং মান্দারিন শুধু এগুলো শেখার সুযোগ থাকলেও বর্তমানে অন্যান্য ভাষা শেখার সুযোগও রয়েছে।
এ সংক্রান্ত নানা উদ্যোগ এখন দৃশ্যমান। যেমন—‘মা! ইওয়াইদজা’ অ্যাপের কথাই ধরা যাক। অ্যাপটি অস্ট্রেলিয়ার ইওয়াইদজা আদিবাসী ভাষা নিয়ে কাজ করে থাকে। অ্যাপটি অস্ট্রেলিয়ার ইওয়াইদজা আদিবাসী ভাষার শব্দ, বাক্য এবং অনুবাদ রেকর্ড করতে সক্ষম। ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটিতে অভিধান এবং শব্দভান্ডার রয়েছে।
এমনই আরেকটি উদ্যোগ হলো—রোসেটা প্রকল্প। এটি ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় ভাষাভাষীদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম। মানব ভাষার একটি ওপেন-অ্যাকসেস ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরিতে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, আদিবাসী ভাষা রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইউনেসকো। ভাষা রক্ষার বিষয়টির সঙ্গে বিশ্ববাসীকে সজাগ করতে আদিবাসী দশক ঘোষণা করা হয়েছে (২০২২ সাল-২০৩২ সাল)। ইউনেসকোর ১০ বছর মেয়াদি এ উদ্যোগ আদিবাসী ভাষা রক্ষায় কিছুটা হলেও কাজে আসতে পারে।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
২ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে