অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে মোক্ষম অস্ত্র মাস্ক। মাস্ক শুধু মহামারি ঠেকানোই নয়, বায়ুদূষণ থেকেও অনেকখানি বাঁচিয়ে দিতে পারে। এমন বহু ইতিবাচক কথা বলে মানুষকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আরেক কাঠি সরেস! তাঁরা বলছেন, মাস্ক পরলে নাকি খোমার সৌন্দর্য বাড়ে!
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এই গবেষণায় নেমে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন। পুরুষ ও নারী উভয়ই বলেছেন, মুখের অর্ধাংশ ঢাকা থাকলে নাকি আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
তবে ফ্যাশনেবল মাস্কের উৎপাদক ও বিক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। কারণ, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা বলেছেন, রংচঙে ফ্যাশনদুরস্ত মাস্কের চেয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য সার্জিক্যাল মাস্কেই মানুষকে বেশি সুন্দর লাগে।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা বিভাগের রিডার এবং মুখ বিশেষজ্ঞ ড. মাইকেল লুইস বলেন, মহামারি শুরুর আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাস্ক পরলে মানুষের মুখের আবেদন কমিয়ে দেয় বলে মনে করা হয়। কারণ মাস্ক তখন রোগাক্রান্ত বা অসুস্থতার সম্পর্কে সম্পর্কিত ছিল।
ড. লুইস বলেন, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, মহামারি শুরুর পর মুখ ঢাকার বিষয়ে মানুষের ধারণার কোনো পরিবতর্ন হলো কি-না। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাস্কের আলাদা কোনো প্রভাব আছে কি-না সেটিও আমরা যাচাই করতে চেয়েছিলাম।
এই মুখ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ মেডিকেল মাস্ক পরলে তাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় বলে মত দিয়েছে মানুষ। এটার একটা কারণ হতে পারে যে, এখন স্বাস্থ্যকর্মীদের অহরহ এ ধরনেরই নীল মাস্ক পরতে দেখছি আমরা। আর মানুষ দেখছে, এই মহাবিপর্যয়ের মধ্যে এই মানুষগুলোই আমাদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। তাছাড়া যখনই আমরা নিজেকে অনিরাপদ বোধ করি তখন মেডিকেল মাস্ক পরলে কিছুটা স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। যারা এই মাস্ক পরেন তাঁদের প্রতিও আমরা বেশ ইতিবাচক থাকি।
এই গবেষণার প্রথম অংশটি পরিচালিত হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ব্রিটিশরা নির্দিষ্ট পরিবেশে বা কারণে শুধু মাস্ক পরতেন। ৪৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে মাস্ক পরা পুরুষের মুখের আবেদনের বিষয়ে নম্বর দিতে বলা হয়। আকষর্ণের মাত্রা হিসেবে ০-১০ পর্যন্ত নম্বর দিতে বলা হয় তাঁদের। তাঁদের পুরুষের মুখ বিশিষ্ট চারটি আলাদা ছবি দেখানো হয়— এর মধ্যে একটি মাস্ক ছাড়া, একটি ডিজাইন ছাড়া কাপড়ের মাস্ক পরা, একটি নীল মেডিকেল মাস্ক পরা এবং একটি কালো বই দিয়ে মুখের সেই অংশটুকু ঢাকা মাস্ক পরলে সাধারণত যে অংশটি ঢাকা পড়ে।
স্বেচ্ছাসেবীরা বলেন, মাস্ক ছাড়া বা কালো বই দিয়ে ঢাকা মুখের চেয়ে কাপড়ের মাস্ক পরা মুখ অনেক বেশি সুন্দর। তবে সাধারণ ডিসপোজেবল সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে এগুলোর চেয়েও বেশি সুন্দর লাগে বলে মত দেন তাঁরা।
ড. লুইস বলেন, মহামারি শুরুর আগে মাস্কের ব্যাপারে মানুষ ঠিক এর উল্টো মত দিয়েছে। তখন মানুষ মাস্ককে অসুখ-বিসুখের সঙ্গে সম্পর্কিত করেছে এবং মাস্ক পরা ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার পক্ষেই বলেছে। কিন্তু মহামারি এই মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে।
এতো গেল স্বাস্থ্যগত ভাবনার বিষয়। কিন্তু মাস্ক দিয়ে ঢাকা মুখ কেন বেশি আবেদনময় মনে হয় সেটির ব্যাখ্যায় ড. লুইস বলেন, হতে পারে, মাস্ক দিয়ে ঢাকা মুখ মানুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় লাগে কারণ, তখন সরাসরি চোখে চোখ পড়ে। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, মুখমণ্ডলের বাঁ বা ডান পাশের কিছু অংশ ঢাকলেও নাকি সুন্দর লাগে। এর কারণ হলো, মস্তিষ্ক তখন ওই গোপন (অদৃশ্য) অংশটা নিজের মতো করে সাজাতে চেষ্টা করে এবং পুরো ব্যাপারটা তখন সত্যিকার অর্থেই অতিরঞ্জিত করে ফেলে।
এই গবেষণার প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হয় কগনিটিভ রিসার্চ: প্রিন্সিপলস অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস সাময়িকীতে। আর দ্বিতীয় পর্বের গবেষণায় একদল পুরুষকে মাস্ক পরিহিত নারী মুখের মূল্যায়ন করতে বলা হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়নি। এই গবেষণার ফলাফল এখনো কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে মোক্ষম অস্ত্র মাস্ক। মাস্ক শুধু মহামারি ঠেকানোই নয়, বায়ুদূষণ থেকেও অনেকখানি বাঁচিয়ে দিতে পারে। এমন বহু ইতিবাচক কথা বলে মানুষকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আরেক কাঠি সরেস! তাঁরা বলছেন, মাস্ক পরলে নাকি খোমার সৌন্দর্য বাড়ে!
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এই গবেষণায় নেমে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন। পুরুষ ও নারী উভয়ই বলেছেন, মুখের অর্ধাংশ ঢাকা থাকলে নাকি আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
তবে ফ্যাশনেবল মাস্কের উৎপাদক ও বিক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। কারণ, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা বলেছেন, রংচঙে ফ্যাশনদুরস্ত মাস্কের চেয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য সার্জিক্যাল মাস্কেই মানুষকে বেশি সুন্দর লাগে।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা বিভাগের রিডার এবং মুখ বিশেষজ্ঞ ড. মাইকেল লুইস বলেন, মহামারি শুরুর আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাস্ক পরলে মানুষের মুখের আবেদন কমিয়ে দেয় বলে মনে করা হয়। কারণ মাস্ক তখন রোগাক্রান্ত বা অসুস্থতার সম্পর্কে সম্পর্কিত ছিল।
ড. লুইস বলেন, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, মহামারি শুরুর পর মুখ ঢাকার বিষয়ে মানুষের ধারণার কোনো পরিবতর্ন হলো কি-না। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাস্কের আলাদা কোনো প্রভাব আছে কি-না সেটিও আমরা যাচাই করতে চেয়েছিলাম।
এই মুখ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ মেডিকেল মাস্ক পরলে তাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় বলে মত দিয়েছে মানুষ। এটার একটা কারণ হতে পারে যে, এখন স্বাস্থ্যকর্মীদের অহরহ এ ধরনেরই নীল মাস্ক পরতে দেখছি আমরা। আর মানুষ দেখছে, এই মহাবিপর্যয়ের মধ্যে এই মানুষগুলোই আমাদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। তাছাড়া যখনই আমরা নিজেকে অনিরাপদ বোধ করি তখন মেডিকেল মাস্ক পরলে কিছুটা স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। যারা এই মাস্ক পরেন তাঁদের প্রতিও আমরা বেশ ইতিবাচক থাকি।
এই গবেষণার প্রথম অংশটি পরিচালিত হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ব্রিটিশরা নির্দিষ্ট পরিবেশে বা কারণে শুধু মাস্ক পরতেন। ৪৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে মাস্ক পরা পুরুষের মুখের আবেদনের বিষয়ে নম্বর দিতে বলা হয়। আকষর্ণের মাত্রা হিসেবে ০-১০ পর্যন্ত নম্বর দিতে বলা হয় তাঁদের। তাঁদের পুরুষের মুখ বিশিষ্ট চারটি আলাদা ছবি দেখানো হয়— এর মধ্যে একটি মাস্ক ছাড়া, একটি ডিজাইন ছাড়া কাপড়ের মাস্ক পরা, একটি নীল মেডিকেল মাস্ক পরা এবং একটি কালো বই দিয়ে মুখের সেই অংশটুকু ঢাকা মাস্ক পরলে সাধারণত যে অংশটি ঢাকা পড়ে।
স্বেচ্ছাসেবীরা বলেন, মাস্ক ছাড়া বা কালো বই দিয়ে ঢাকা মুখের চেয়ে কাপড়ের মাস্ক পরা মুখ অনেক বেশি সুন্দর। তবে সাধারণ ডিসপোজেবল সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে এগুলোর চেয়েও বেশি সুন্দর লাগে বলে মত দেন তাঁরা।
ড. লুইস বলেন, মহামারি শুরুর আগে মাস্কের ব্যাপারে মানুষ ঠিক এর উল্টো মত দিয়েছে। তখন মানুষ মাস্ককে অসুখ-বিসুখের সঙ্গে সম্পর্কিত করেছে এবং মাস্ক পরা ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার পক্ষেই বলেছে। কিন্তু মহামারি এই মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে।
এতো গেল স্বাস্থ্যগত ভাবনার বিষয়। কিন্তু মাস্ক দিয়ে ঢাকা মুখ কেন বেশি আবেদনময় মনে হয় সেটির ব্যাখ্যায় ড. লুইস বলেন, হতে পারে, মাস্ক দিয়ে ঢাকা মুখ মানুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় লাগে কারণ, তখন সরাসরি চোখে চোখ পড়ে। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, মুখমণ্ডলের বাঁ বা ডান পাশের কিছু অংশ ঢাকলেও নাকি সুন্দর লাগে। এর কারণ হলো, মস্তিষ্ক তখন ওই গোপন (অদৃশ্য) অংশটা নিজের মতো করে সাজাতে চেষ্টা করে এবং পুরো ব্যাপারটা তখন সত্যিকার অর্থেই অতিরঞ্জিত করে ফেলে।
এই গবেষণার প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হয় কগনিটিভ রিসার্চ: প্রিন্সিপলস অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস সাময়িকীতে। আর দ্বিতীয় পর্বের গবেষণায় একদল পুরুষকে মাস্ক পরিহিত নারী মুখের মূল্যায়ন করতে বলা হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়নি। এই গবেষণার ফলাফল এখনো কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে