অদ্রিকা অনু
একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর শুধু শোকের মাস নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও। ফলে এর উদ্যাপনে নতুন নতুন অনুষঙ্গের আগমন ঘটছে স্বাভাবিকভাবে। পোশাক এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
একুশের অনুষঙ্গ দিয়ে পোশাক তৈরির প্রচলন আমাদের দেশে মোটামুটি তিন দশকের পুরোনো।
কিন্তু এই তিন দশকে একুশের পোশাকে বৈচিত্র্য যেমন এসেছে রঙে, তেমনি মোটিফেও। একসময় একুশের পোশাক তৈরি হতো সাদা-কালো রঙে। এখন পোশাকের রং শুধু সাদা-কালোয় সীমাবদ্ধ নয়; যুক্ত হয়েছে লাল, ধূসরসহ বিভিন্ন রং এবং এসব রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে আলাদা ধারণা বা কনসেপ্ট। এই সবকিছু একুশ এবং এর আন্তর্জাতিকতাকেই ধারণ করছে আলাদাভাবে।
একসময় একুশের মূল পোশাক ছিল পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামা আর নারীদের জন্য শাড়ি। একুশের পোশাকের এ ট্যাবু ভেঙে গেছে অনেক দিন হলো। এখন পাঞ্জাবি-পায়জামা কিংবা শাড়ির পাশাপাশি এসেছে টি-শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভিনটেজ পোশাকের কদর আছে। সেগুলোর কোনো কিছু এখনো বাতিল হয়ে যায়নি; বরং এসবকে ভিত্তি করে নতুন পোশাক এসেছে একুশের জন্য।
কী পরবেন
মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি শাড়ি পরেন, তাহলে একরঙা শাড়িগুলো বেশি মানানসই হবে। সাদার ওপরে হালকা কালোর নকশা বা বর্ডার বা ঠিক উল্টোটা, মানে কালোর ওপরে সাদা। ব্লাউজ লম্বা ফুল স্লিভ বা থ্রি কোয়ার্টার হাতা, সেই সঙ্গে থাকতে পারে উঁচু কলার বা বোট গলা। কালো ব্লাউজ হলে গলার দিকটাকে লাল রঙের বর্ডার দিলেও মন্দ দেখাবে না।
ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিটাই বেশি প্রচলিত এই দিনে। কিন্তু চাইলে সাদা-কালোর সংমিশ্রণে অথবা যেকোনো একটি রঙের ফরমাল ধরনের শার্ট পরলেও মন্দ দেখাবে না। খুকিদের জন্য ফ্রক আর খোকাদের জন্য পাঞ্জাবিটাই বেশি জুতসই।
যুগলদের জন্য ম্যাচিং শাড়ি পাঞ্জাবি বা থ্রিপিস পাঞ্জাবির সেট পাওয়া যায় অনেক বুটিকেই। অনেকে আবার পুরো পরিবারের জন্য ম্যাচিং পোশাক বিক্রি করে।
একুশ ঘিরে দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসেও পড়ে যায় তোড়জোড়। প্রতিবার একুশকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন নকশা, কারুকাজ, প্যাটার্নের পসরা সাজিয়ে বসে তারা।
দেশের সেরা তিন ফ্যাশন হাউস এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে বিভিন্ন থিমের আয়োজন নিয়ে এসেছে।
বর্ণমালা ও পাখির রং
বর্ণমালা আর পাখির রং—এই দুয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের এবারের একুশ সংগ্রহ। প্রতিষ্ঠানটির সাব-ব্র্যান্ড ‘আমার বাংলাদেশ’ থেকে তৈরি হয়েছে এই পোশাকগুলো। একুশের পোশাকে মূলত প্রতিবছর সাদা, কালো আর অ্যাশ রং ব্যবহৃত হয়। এ বছর রঙ বাংলাদেশ তাদের একুশের পোশাকে লাল যোগ করেছে।
পোশাক বানাতে সুতি, হাফসিল্ক, লিনেন, কটন, ক্রেপ, সেমি পিওর কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। সেসব পোশাকের জমিনের অলংকরণ করা হয়েছে স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, টাইডাই, কাটিং সুইং ও এমব্রয়ডারির মাধ্যমে। প্রতিটি পোশাকের ডিজাইনকে নান্দনিক মাত্রা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন অনুষঙ্গের সন্নিবেশে।
যুগল ও পরিবারের সবার জন্য একই থিমের পোশাক পাওয়া যাবে রঙ বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে উপহারের সামগ্রী হিসেবে রয়েছে একুশের ডিজাইনসমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের মগ। তা ছাড়া মেয়েদের জন্য রয়েছে গয়না, ব্যাগ ও পার্স।
সাদা-কালো মুখ্য রেখে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে অঞ্জন’স প্রতিবছর পোশাকের বিশেষ আয়োজন করে। কালো, সাদা, লাল—এই তিন রং প্রাধান্য দিয়ে অঞ্জন’স-এর এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছে। সব বয়সীদের কথা বিবেচনায় রেখে পোশাক তৈরি হয়েছে। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফ্রক তৈরি করা হয়েছে এবারের মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ আয়োজনে। পোশাকগুলো অঞ্জন’স-এর সব শোরুম এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
মোটিফ ও টেক্সচারে পরিবর্তন
প্রতিবছরের মতো এবারও কে ক্র্যাফট একুশের গৌরবগাথার বিষয়গুলো পোশাকে ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। একুশের সংগ্রহ প্রতিষ্ঠানের সব কটি বিক্রয় কেন্দ্রে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে পাওয়া যাবে।
এবারের মোটিফে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকছে মাতৃভাষার ইতিহাস, লাইন মোটিফ, ট্রাইবাল, টার্কিশ, টেক্সচার, বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাস। এ ছাড়া ট্র্যাডিশনাল ও জ্যামিতিক নকশায় সৃজনশীল অলংকরণে তৈরি হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, লং কুর্তি, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। শিশুদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট।
তাঁত, কটন, লিনেন, হাফসিল্ক কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য হাতের কাজ, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট এবং টাইডাই মিডিয়ার ব্যবহার হয়েছে।
রঙের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে শোকের কালো, সূর্যের লাল, বিষণ্নতার ধূসর, সত্য ও পবিত্রতার প্রতীক সাদার সমতলকে।
পরিবারের সবার উপযোগী পোশাক, যুগল পোশাকসহ একুশের আয়োজন কে ক্র্যাফটের সব আউটলেট, অনলাইন শপ এবং ফেসবুক পেজ থেকে পছন্দ করে
কেনা যাবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর শুধু শোকের মাস নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও। ফলে এর উদ্যাপনে নতুন নতুন অনুষঙ্গের আগমন ঘটছে স্বাভাবিকভাবে। পোশাক এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
একুশের অনুষঙ্গ দিয়ে পোশাক তৈরির প্রচলন আমাদের দেশে মোটামুটি তিন দশকের পুরোনো।
কিন্তু এই তিন দশকে একুশের পোশাকে বৈচিত্র্য যেমন এসেছে রঙে, তেমনি মোটিফেও। একসময় একুশের পোশাক তৈরি হতো সাদা-কালো রঙে। এখন পোশাকের রং শুধু সাদা-কালোয় সীমাবদ্ধ নয়; যুক্ত হয়েছে লাল, ধূসরসহ বিভিন্ন রং এবং এসব রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে আলাদা ধারণা বা কনসেপ্ট। এই সবকিছু একুশ এবং এর আন্তর্জাতিকতাকেই ধারণ করছে আলাদাভাবে।
একসময় একুশের মূল পোশাক ছিল পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামা আর নারীদের জন্য শাড়ি। একুশের পোশাকের এ ট্যাবু ভেঙে গেছে অনেক দিন হলো। এখন পাঞ্জাবি-পায়জামা কিংবা শাড়ির পাশাপাশি এসেছে টি-শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভিনটেজ পোশাকের কদর আছে। সেগুলোর কোনো কিছু এখনো বাতিল হয়ে যায়নি; বরং এসবকে ভিত্তি করে নতুন পোশাক এসেছে একুশের জন্য।
কী পরবেন
মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি শাড়ি পরেন, তাহলে একরঙা শাড়িগুলো বেশি মানানসই হবে। সাদার ওপরে হালকা কালোর নকশা বা বর্ডার বা ঠিক উল্টোটা, মানে কালোর ওপরে সাদা। ব্লাউজ লম্বা ফুল স্লিভ বা থ্রি কোয়ার্টার হাতা, সেই সঙ্গে থাকতে পারে উঁচু কলার বা বোট গলা। কালো ব্লাউজ হলে গলার দিকটাকে লাল রঙের বর্ডার দিলেও মন্দ দেখাবে না।
ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিটাই বেশি প্রচলিত এই দিনে। কিন্তু চাইলে সাদা-কালোর সংমিশ্রণে অথবা যেকোনো একটি রঙের ফরমাল ধরনের শার্ট পরলেও মন্দ দেখাবে না। খুকিদের জন্য ফ্রক আর খোকাদের জন্য পাঞ্জাবিটাই বেশি জুতসই।
যুগলদের জন্য ম্যাচিং শাড়ি পাঞ্জাবি বা থ্রিপিস পাঞ্জাবির সেট পাওয়া যায় অনেক বুটিকেই। অনেকে আবার পুরো পরিবারের জন্য ম্যাচিং পোশাক বিক্রি করে।
একুশ ঘিরে দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসেও পড়ে যায় তোড়জোড়। প্রতিবার একুশকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন নকশা, কারুকাজ, প্যাটার্নের পসরা সাজিয়ে বসে তারা।
দেশের সেরা তিন ফ্যাশন হাউস এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে বিভিন্ন থিমের আয়োজন নিয়ে এসেছে।
বর্ণমালা ও পাখির রং
বর্ণমালা আর পাখির রং—এই দুয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের এবারের একুশ সংগ্রহ। প্রতিষ্ঠানটির সাব-ব্র্যান্ড ‘আমার বাংলাদেশ’ থেকে তৈরি হয়েছে এই পোশাকগুলো। একুশের পোশাকে মূলত প্রতিবছর সাদা, কালো আর অ্যাশ রং ব্যবহৃত হয়। এ বছর রঙ বাংলাদেশ তাদের একুশের পোশাকে লাল যোগ করেছে।
পোশাক বানাতে সুতি, হাফসিল্ক, লিনেন, কটন, ক্রেপ, সেমি পিওর কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। সেসব পোশাকের জমিনের অলংকরণ করা হয়েছে স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, টাইডাই, কাটিং সুইং ও এমব্রয়ডারির মাধ্যমে। প্রতিটি পোশাকের ডিজাইনকে নান্দনিক মাত্রা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন অনুষঙ্গের সন্নিবেশে।
যুগল ও পরিবারের সবার জন্য একই থিমের পোশাক পাওয়া যাবে রঙ বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে উপহারের সামগ্রী হিসেবে রয়েছে একুশের ডিজাইনসমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের মগ। তা ছাড়া মেয়েদের জন্য রয়েছে গয়না, ব্যাগ ও পার্স।
সাদা-কালো মুখ্য রেখে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে অঞ্জন’স প্রতিবছর পোশাকের বিশেষ আয়োজন করে। কালো, সাদা, লাল—এই তিন রং প্রাধান্য দিয়ে অঞ্জন’স-এর এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছে। সব বয়সীদের কথা বিবেচনায় রেখে পোশাক তৈরি হয়েছে। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফ্রক তৈরি করা হয়েছে এবারের মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ আয়োজনে। পোশাকগুলো অঞ্জন’স-এর সব শোরুম এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
মোটিফ ও টেক্সচারে পরিবর্তন
প্রতিবছরের মতো এবারও কে ক্র্যাফট একুশের গৌরবগাথার বিষয়গুলো পোশাকে ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। একুশের সংগ্রহ প্রতিষ্ঠানের সব কটি বিক্রয় কেন্দ্রে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে পাওয়া যাবে।
এবারের মোটিফে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকছে মাতৃভাষার ইতিহাস, লাইন মোটিফ, ট্রাইবাল, টার্কিশ, টেক্সচার, বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাস। এ ছাড়া ট্র্যাডিশনাল ও জ্যামিতিক নকশায় সৃজনশীল অলংকরণে তৈরি হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, লং কুর্তি, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। শিশুদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট।
তাঁত, কটন, লিনেন, হাফসিল্ক কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য হাতের কাজ, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট এবং টাইডাই মিডিয়ার ব্যবহার হয়েছে।
রঙের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে শোকের কালো, সূর্যের লাল, বিষণ্নতার ধূসর, সত্য ও পবিত্রতার প্রতীক সাদার সমতলকে।
পরিবারের সবার উপযোগী পোশাক, যুগল পোশাকসহ একুশের আয়োজন কে ক্র্যাফটের সব আউটলেট, অনলাইন শপ এবং ফেসবুক পেজ থেকে পছন্দ করে
কেনা যাবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে