বিয়ের আগে ফিট থাকুন

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪৫
Thumbnail image

ওজন কমানোর পরিকল্পনা করুন
ওজন কমানোর পরিকল্পনাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—ব্যায়াম আর ডায়েট। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে যে ব্যায়ামই হোক না কেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে। সেটা অন্তত ১০ মিনিট করতে হবে। এরপর ওয়ার্ম আপ করতে হবে ১০ মিনিট। এ সময় যেন শরীরের ঘাম ঝরে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারপর পছন্দমতো যোগব্যায়াম, হাঁটা বা দৌড়ানো যেতে পারে। দেখা যায়, অনেকেই মাত্র এক মাস হাতে রেখে ব্যায়াম কিংবা ডায়েট শুরু করেন। এটা একদমই ঠিক নয়। কারণ অল্প সময়ে ওজন কমাতে চাইলে পুরোপুরি ডায়েটনির্ভর হতে হয়। সে ক্ষেত্রে খাওয়া কমিয়ে অল্প সময়ে ওজন কমালেও পরে আবার আগের মতো খাওয়া শুরু করলে ওজন বেড়ে যায়। সেটা যেন না হয় তাই তিন থেকে ছয় মাসের পরিকল্পনা করতে হবে।

ব্যায়ামের উপযুক্ত সময়
যেকোনো ব্যায়াম সকালবেলা করা ভালো। এ সময় হাঁটা বা দৌড়ানো অথবা যোগব্যায়াম পছন্দমতো যেকোনোটাই করা যেতে পারে। তবে ব্যায়ামে অভ্যস্ত হয়ে না থাকলে যোগব্যায়াম দিয়ে শুরু করা শ্রেয়। রোজ সকালে শুধু পানি খেয়ে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তবে নিতান্তই না পারলে অন্তত আধা ঘণ্টা করতে হবে। অনেকেই চাকরি বা অন্যান্য কাজের জন্য সকালে সময় পান না। সে ক্ষেত্রে বিকেলে বা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করা যেতে পারে। কিন্তু রাত ৮টার পর ব্যায়াম করবেন না। তাতে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়ে শরীরের ক্ষতি হবে। 

বৃক্ষাসন। মডেল: অনিমা, ছবি: মঞ্জু আলমনতুন যাঁরা ব্যায়াম করছেন
যাঁরা একদমই নতুন ব্যায়াম করছেন, তাঁরা যদি যোগব্যায়াম করতে চান তাহলে প্রথম দিকে যোগব্যায়ামের বিভিন্ন আসন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড করতে হবে। পরে শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি আসন করাই যথেষ্ট। এগুলোর মধ্যে উত্তানপাদাসন, মন্ডুকাসন, ধনুরাসন, নৌকাসন, অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন করা যেতে পারে। এগুলো পেটের চর্বি ও ওজন কমায় এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। একেকটা আসনের মধ্যকার বিশ্রামের সময়টা যেন বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি আসনের জন্য ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট সময় যথেষ্ট।

 বিয়ের ৩-৬ মাস আগে থেকে ব্যায়াম ও ডায়েট পরিকল্পনা করতে হবে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে যোগব্যায়াম, হাঁটা বা দৌড়ানো যেতে পারে। প্রতিদিন মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট রুটিন। বাপ্পা শান্তনু

 

ওয়ার্ম আপ যে কারণে
ওয়ার্ম আপ যেকোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। ব্যায়ামের আগে শরীর প্রস্তুত করার জন্য এটি করা হয়। সকালে বা বিকেলে যখনই হোক আমাদের শরীর কিন্তু একটু শক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ম আপ না করে ভারী ব্যায়াম করলে মাংসপেশিতে টান ধরে যায়। সেটা যাতে না হয় তাই মাংসপেশিগুলোকে নমনীয় করতে ওয়ার্ম আপ দরকার। আবার ব্যায়ামের আগে গোসল করে নেওয়া ভালো। তাতে যোগব্যায়ামের বিভিন্ন আসন করতে সুবিধা হয়।

ঘরের কাজ কি ওজন কমায়
অনেকেই এ প্রশ্ন করেন। সে ক্ষেত্রে উত্তর হলো, ঘরের যেকোনো কাজ ওজন কমাতে সাহায্য করে না। তবে কেউ যদি ওজন কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ঘরের কাজ করেন, তাতে কিছু কাজ হতে পারে। ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে ঘরের কাজ করতে চাইলে ঘর মোছা বা কাপড় কাচার মতো ভারী কাজগুলো করা যেতে পারে। তবে এগুলো অবশ্যই নিয়মিত এবং অন্তত আধা ঘণ্টা সময় ধরে করতে হবে, যাতে শরীরের ঘাম ঝরে।
  
মন্ডুকাসন। মডেল: অনিমা, ছবি: মঞ্জু আলমডায়েট মেনে চলা চাই
বাড়তি ওজন কমাতে বা ফিট থাকতে বেশির ভাগ মানুষই খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন। এতে ওজন খুব দ্রুত কমলেও শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এক কথায় ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকা ইতিবাচক সমাধান নয়। শরীরে প্রোটিন স্বল্পতা দেখা দিলে মুখের চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, নখ ভেঙে যায়, চুল উঠে যায় এবং সব সময় ক্লান্ত লাগে, মানে সৌন্দর্য বাড়ার বদলে বরং কমতে শুরু করে। শরীর ঠিকই শুকিয়ে যায়। কিন্তু একটু বেশি খাওয়া হলেই শরীর সেই বেশি খাবারটুকু চর্বি আকারে জমা করে। এতে শরীর ফুলতে শুরু করে। তাই খাবার হঠাৎ করে না কমিয়ে প্রথমে চিনিজাতীয় খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। আর খাবার যদি কমাতেই হয়, তবে রাতের খাবারটা পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায়। কিন্তু সকাল ও দুপুরে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। শর্করা, চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, পানি এবং আঁশ যেন অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারে থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

সকালে খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে বিভিন্ন ফল খাওয়া যেতে পারে। নাশতায় যিনি যেটা পছন্দ করেন, তাই খেতে পারবেন। দুপুরের খাবারে বিভিন্ন সবজি, বিভিন্ন শাক, মাছ বা মাংস, সঙ্গে ভাত খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখা জরুরি যে খাওয়ার সময় পেট যেন একেবারে না ভরে। খাবার অবশ্যই ধীরে ধীরে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। তাতে খাবার সহজে হজম হবে। এতে শরীরে চর্বি জমবে না। অনেকেই দেখা যায় পেট ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খায়। সে ক্ষেত্রে ওজন কমবে না; বরং বাড়বে। কেউ যদি রাতের বেলা খেতে চান, সে ক্ষেত্রে বেশি রাত না করে যত দ্রুত খাওয়া যায়, ততই ভালো। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়াই ভালো। রাতে যত হালকা খাবার খাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় তৈরি বিভিন্ন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে, এগুলো একাধারে স্বাস্থ্যকর এবং খুবই হালকা খাবার।

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত