ফারিয়া রহমান খান
বোহিমিয়ান মানে যাঁরা বাস্তবিক অর্থে যাযাবর মন নিয়ে থাকেন এবং জীবন যাপন করেন। এমন জীবনযাপনে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। গতানুগতিক সব নিয়ম উপেক্ষা করে নিজের মতো করে চলাই বোহিমিয়ানা। এই যুগে বোহিমিয়ান হওয়ার চল নেই। কিন্তু নিজের পোশাক-আশাক বা চারপাশে বোহিমিয়ানার ছাপ রেখে গতানুগতিক জীবনধারা থেকে অনেকাংশেই নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা যায়। আর এই চাওয়ারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ঘরের সাজসজ্জায়ও। বোহিমিয়ান স্টাইল
যেমন মুক্তমনা, সৃজনশীল, ভ্রমণপ্রেমী মানুষের রুচির বহিঃপ্রকাশ, ঠিক তেমনি শৈল্পিকও বটে।
বোহিমিয়ান স্টাইলের আবির্ভাব ঘটে উনিশ শতকে, ফ্রান্সে। সে সময় বুর্জোয়াদের সঙ্গে আন্দোলনের কারণে ফরাসি কয়েকজন শিল্পী প্যারিসের রোমানি এলাকায় চলে যান, যা ছিল যাযাবরদের আবাসস্থল। ফলে শিল্পীদের সৃজনশীলতার সঙ্গে যাযাবরদের জীবনযাত্রা মিলে তৈরি হয় বোহিমিয়ান স্টাইল, যার মূল প্রতিপাদ্য হলো নিয়ম-নীতিহীন, অগোছালো ও আরামদায়ক।
বিভিন্ন রঙের ব্যবহার, আরামদায়ক আসবাব এবং ইচ্ছেমতো ঘর সাজানোর মাধ্যমে মুক্ত ও স্বাধীন আবহ তৈরি করা যায়। এই স্টাইলে ঘর সাজানোর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলেও কিছু জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরের সাজে বোহিমিয়ানার ছোঁয়া রাখতে পারেন।
রকমারি মাদুর বা কার্পেট
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে চাইলে ঘরের মেঝেতে রাখতে পারেন বিভিন্ন নকশার মাদুর বা কার্পেট। টার্কিশ, কাশ্মীরি বা দেশি কার্পেট এমনকি বিভিন্ন রঙের শতরঞ্জিও ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের রাগস ব্যবহার করলে তা ঘরে একটা প্রাণবন্ত আবহের সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে ঘর সুন্দর দেখায়। বিভিন্ন নকশার কার্পেট ঘরে শৈল্পিক ছোঁয়া আনে।
ভিনটেজ আসবাব
বোহিমিয়ান স্টাইল মানে ঝকঝকে তকতকে নতুন আসবাবকে এড়িয়ে যাওয়া। বিভিন্ন রকম ভিনটেজ আসবাব দেখতে যেমন নান্দনিক, তেমনি কালের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষীও এরা। বোহিমিয়ানদের ঘরে এসব আসবাব একটা দারুণ আবহ নিয়ে আসে।
প্রকৃতির ছোঁয়া
যাযাবরেরা সর্বদাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে পছন্দ করে। তাই এই সময়ে এসে ঘরে বোহিমিয়ানার ছোঁয়া রাখতে হলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। বাঁশ, বেত, দড়ি—এসবের তৈরি জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া ঘরে বেশি বেশি গাছ রাখুন। গাছ ঘরের বায়ু পরিষ্কার রাখার সঙ্গে ঘরকে দেবে সুন্দর, কোমল ও আরামদায়ক আবহ। বিভিন্ন সাকুলেন্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পাতাবাহারসহ বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে ঘর সাজান। গাছের মাধ্যমে প্রকৃতিকে ঘরের ভেতরে, নিজের খুব কাছেই রাখা সম্ভব।
নিচু আসবাব ও বিভিন্ন রকমের পিলো
ঘর হলো সব নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে, যেখানে থাকবে শুধু প্রশান্তি ও আরামের ছোঁয়া। ঘর যেন দেখতে অনেকটা বড় দেখায়, সে জন্য নিচু আসবাব ব্যবহার করুন। ম্যাট্রেস ও থ্রো পিলো দিয়ে ঘর সাজান, যাতে আরাম করে বসা যায়। বিভিন্ন রং ও আকারের পিলো ব্যবহার করুন, এতে ঘর লাগবে প্রাণবন্ত। এ ছাড়া দোলনার ব্যবহারও করতে পারেন।
বিভিন্ন রঙের ব্যবহার
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে বিভিন্ন রং ব্যবহার করা যায়। উজ্জ্বল থেকে শুরু করে হালকা রং বেছে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই, নিজের পছন্দ অনুযায়ী রং ব্যবহার করুন। যে রং নিজেকে প্রশান্তি দেয়, সেটাই ব্যবহার করুন।
হস্তশিল্পের ব্যবহার
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে হস্তশিল্প ব্যবহার করুন। দেয়াল সাজানোর উপকরণ, ঘরের পর্দা থেকে বিছানার চাদর—সবকিছুতেই হস্তশিল্পের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করুন। কুশিকাঁটার বিভিন্ন জিনিস দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। ফ্যাক্টরি মেড জিনিসের বদলে হস্তশিল্পের জিনিস দিয়ে ঘর সাজিয়েই দেখুন, নান্দনিকতার পার্থক্য টের পাবেন।
সূত্র: হাউস বিউটিফুল
বোহিমিয়ান মানে যাঁরা বাস্তবিক অর্থে যাযাবর মন নিয়ে থাকেন এবং জীবন যাপন করেন। এমন জীবনযাপনে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। গতানুগতিক সব নিয়ম উপেক্ষা করে নিজের মতো করে চলাই বোহিমিয়ানা। এই যুগে বোহিমিয়ান হওয়ার চল নেই। কিন্তু নিজের পোশাক-আশাক বা চারপাশে বোহিমিয়ানার ছাপ রেখে গতানুগতিক জীবনধারা থেকে অনেকাংশেই নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা যায়। আর এই চাওয়ারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ঘরের সাজসজ্জায়ও। বোহিমিয়ান স্টাইল
যেমন মুক্তমনা, সৃজনশীল, ভ্রমণপ্রেমী মানুষের রুচির বহিঃপ্রকাশ, ঠিক তেমনি শৈল্পিকও বটে।
বোহিমিয়ান স্টাইলের আবির্ভাব ঘটে উনিশ শতকে, ফ্রান্সে। সে সময় বুর্জোয়াদের সঙ্গে আন্দোলনের কারণে ফরাসি কয়েকজন শিল্পী প্যারিসের রোমানি এলাকায় চলে যান, যা ছিল যাযাবরদের আবাসস্থল। ফলে শিল্পীদের সৃজনশীলতার সঙ্গে যাযাবরদের জীবনযাত্রা মিলে তৈরি হয় বোহিমিয়ান স্টাইল, যার মূল প্রতিপাদ্য হলো নিয়ম-নীতিহীন, অগোছালো ও আরামদায়ক।
বিভিন্ন রঙের ব্যবহার, আরামদায়ক আসবাব এবং ইচ্ছেমতো ঘর সাজানোর মাধ্যমে মুক্ত ও স্বাধীন আবহ তৈরি করা যায়। এই স্টাইলে ঘর সাজানোর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলেও কিছু জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরের সাজে বোহিমিয়ানার ছোঁয়া রাখতে পারেন।
রকমারি মাদুর বা কার্পেট
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে চাইলে ঘরের মেঝেতে রাখতে পারেন বিভিন্ন নকশার মাদুর বা কার্পেট। টার্কিশ, কাশ্মীরি বা দেশি কার্পেট এমনকি বিভিন্ন রঙের শতরঞ্জিও ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের রাগস ব্যবহার করলে তা ঘরে একটা প্রাণবন্ত আবহের সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে ঘর সুন্দর দেখায়। বিভিন্ন নকশার কার্পেট ঘরে শৈল্পিক ছোঁয়া আনে।
ভিনটেজ আসবাব
বোহিমিয়ান স্টাইল মানে ঝকঝকে তকতকে নতুন আসবাবকে এড়িয়ে যাওয়া। বিভিন্ন রকম ভিনটেজ আসবাব দেখতে যেমন নান্দনিক, তেমনি কালের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষীও এরা। বোহিমিয়ানদের ঘরে এসব আসবাব একটা দারুণ আবহ নিয়ে আসে।
প্রকৃতির ছোঁয়া
যাযাবরেরা সর্বদাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে পছন্দ করে। তাই এই সময়ে এসে ঘরে বোহিমিয়ানার ছোঁয়া রাখতে হলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। বাঁশ, বেত, দড়ি—এসবের তৈরি জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া ঘরে বেশি বেশি গাছ রাখুন। গাছ ঘরের বায়ু পরিষ্কার রাখার সঙ্গে ঘরকে দেবে সুন্দর, কোমল ও আরামদায়ক আবহ। বিভিন্ন সাকুলেন্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পাতাবাহারসহ বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে ঘর সাজান। গাছের মাধ্যমে প্রকৃতিকে ঘরের ভেতরে, নিজের খুব কাছেই রাখা সম্ভব।
নিচু আসবাব ও বিভিন্ন রকমের পিলো
ঘর হলো সব নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে, যেখানে থাকবে শুধু প্রশান্তি ও আরামের ছোঁয়া। ঘর যেন দেখতে অনেকটা বড় দেখায়, সে জন্য নিচু আসবাব ব্যবহার করুন। ম্যাট্রেস ও থ্রো পিলো দিয়ে ঘর সাজান, যাতে আরাম করে বসা যায়। বিভিন্ন রং ও আকারের পিলো ব্যবহার করুন, এতে ঘর লাগবে প্রাণবন্ত। এ ছাড়া দোলনার ব্যবহারও করতে পারেন।
বিভিন্ন রঙের ব্যবহার
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে বিভিন্ন রং ব্যবহার করা যায়। উজ্জ্বল থেকে শুরু করে হালকা রং বেছে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই, নিজের পছন্দ অনুযায়ী রং ব্যবহার করুন। যে রং নিজেকে প্রশান্তি দেয়, সেটাই ব্যবহার করুন।
হস্তশিল্পের ব্যবহার
বোহিমিয়ান স্টাইলে ঘর সাজাতে হস্তশিল্প ব্যবহার করুন। দেয়াল সাজানোর উপকরণ, ঘরের পর্দা থেকে বিছানার চাদর—সবকিছুতেই হস্তশিল্পের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করুন। কুশিকাঁটার বিভিন্ন জিনিস দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। ফ্যাক্টরি মেড জিনিসের বদলে হস্তশিল্পের জিনিস দিয়ে ঘর সাজিয়েই দেখুন, নান্দনিকতার পার্থক্য টের পাবেন।
সূত্র: হাউস বিউটিফুল
১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের...
২ দিন আগেঅ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য নেপাল উপযুক্ত জায়গা। উঁচু পাহাড়ে ট্রেকিং থেকে শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং কিংবা বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মতো দুর্দান্ত সব কর্মকাণ্ডের জন্য এক নামে পরিচিত দেশটি। তবে এসব অ্যাকটিভিটি ছাড়াও সব ধরনের ভ্রমণপিয়াসির জন্য নেপালে কিছু না কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে।
২ দিন আগেপাহাড় বলতে বান্দরবানই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে। এর নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুখে বলে কিংবা ছবিতে দেখিয়ে শেষ করা যাবে না।
২ দিন আগেপঞ্চাশ হাজার ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয়েছে ৩৬০ বর্গমিটার দীর্ঘ একটি কার্পেট। এতে আরও যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জ্যামিতিক নকশা ও মার্বেল পাথর। সেটি দেখতে ভিড় জমেছে পর্যটকের।
২ দিন আগে