অলকানন্দা রায়, ঢাকা
হেমন্ত আসলেই মনে হয়, এই শীত এসে গেল দোরগোড়ায়। আর শীত মানেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূতি! এ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন হবে উষ্ণতার। সে উষ্ণতা দেবে নানা রকমের গরম পোশাক। যে পোশাকগুলো ঠান্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে শীতের দীর্ঘ সময় সেগুলো শীত ফুরালে ভাঁজ হয়ে ঢুকে যায় আলমারিতে। শীতে আসলেই সেগুলো একে একে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে শীতনিদ্রা ভেঙে। দীর্ঘদিন পোশাকগুলো থেকে উষ্ণতা পেতে শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই প্রয়োজন সেগুলোর যত্নআত্তি।
কোন পোশাকের কেমন যত্ন
আলমারি থেকে বের করার পর পোশাকগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে কিংবা ধুয়ে নিতে হবে। কোন পোশাকের যত্ন কীভাবে নিতে হবে তা নির্ভর করছে পাোশাকের ধরনের ওপর। শীতের পোশাকগুলো সাধারণত মোটা ধরনের হয়। যেমন উল, রেশম, ফ্লানেল বা মোটা সুতি। শীত শেষে এসব পোশাক ধুয়ে সঠিক উপায়ে তুলে রাখলে অনেক ক্ষেত্রে পরেরবার না ধুয়ে শুধু কড়া রোদে শুকিয়ে পরে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি পোশাকের সংরক্ষণ সঠিক উপায়ে না হয়, সে ক্ষেত্রে পোশাকের ভাঁজে ভাঁজে দাগ পড়ে পড়ে যায়, ফাঙ্গাস পড়ে কিংবা এক ধরনের বোটকা গন্ধ তৈরি হয়। এই অবস্থায় পোশাকটি পরলে অস্বস্তি হওয়াসহ শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা দূর করতে শীত পোশাকটি বের করে যত্ন নেবার এখনই সময়।
সুতি পোশাক
সুতি বা কটনের শীত পোশাকের ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে সামান্য কেচে ধুয়ে নিলেই হয়ে যায়। ভেজা পোশাকগুলো রোদে শুকাতে দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে কড়া রোদ লেগে যেন কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে না যায়। এ ধরনের পোশাকগুলো খুব সহজে সাধারণ মুডে ওয়াশিং মেশিনেও ধোয়া যায়।
উলের পোশাক
শীত পোশাকটি উলের হলে এর যত্নও একটু বিশেষ ধরনের হতে হবে। ঠান্ডা পানিতে কম ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট বা শ্যাম্পু মিশিয়ে অল্প সময় রেখে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে শুকাতে দেওয়ার সময় পোশাকটি ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে না। তাতে পোশাকের আকার নষ্ট হয়ে যাবে। ধোয়া শেষে ভালো করে পানি ঝরিয়ে কোথাও কাপড় বিছিয়ে তার ওপর পেতে শুকিয়ে নিতে হবে উলের পোশাক। এতে পোশাকের নির্দিষ্ট আকার ঠিকঠাক থাকবে। এ ধরনের পোশাক ওয়াশিং মেশিনে ধুতে হলে উল মুডে দিয়ে ধুতে হবে। পোশাকে কোনো দাগ থাকলে তা লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং আয়রন করার দরকার পড়লে পোশাকটি উল্টো দিকে আয়রন করলে ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
ফ্লানেলের পোশাক
ফ্লানেল কাপড়ের পোশাকের যত্নে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। তরল সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার ভালো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে কেচে ধুয়ে ফেললেই হবে। এ ধরনের কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার জন্য নরমাল মুডই যথেষ্ট।
পশমি পোশাক
পশমি কাপড় ধোয়ার জন্য একটু বাড়তি যত্ন এবং সতর্কতা প্রয়োজন। এ ধরনের শীত পোশাক শ্যাম্পু দিয়ে ভিজিয়ে মিনিট কয়েক রেখে মোলায়েম হাতে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। অনেকেই শীতের এ ধরনের পোশাকগুলো লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করেন। ড্রাই ক্লিনিং করে আনলেও কাপড়ের ভাঁজ খুলে একটু রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
লেদার বা চামড়ার পোশাক
চামড়া বা লেদারের পোশাকের একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়। এ ধরনের পোশাক সাধারণত পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। তাই আলমারি থেকে বের করে শুকিয়ে নিন। কড়া রোদে না শুকিয়ে এগুলোকে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে লন্ড্রিতে দিতে পারেন।
ভেলভেটের পোশাক
ভেলভেটের পোশাকও শীতে পরা হয় বেশ। এ ধরনের কাপড়গুলো বাড়িতে পরিষ্কার না করে লন্ড্রি থেকে ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। এগুলো ধোয়ার পর কুঁচকে থাকলেও ইস্ত্রি করা যাবে না। তাহলে কাপড় পুড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হেমন্ত আসলেই মনে হয়, এই শীত এসে গেল দোরগোড়ায়। আর শীত মানেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূতি! এ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন হবে উষ্ণতার। সে উষ্ণতা দেবে নানা রকমের গরম পোশাক। যে পোশাকগুলো ঠান্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে শীতের দীর্ঘ সময় সেগুলো শীত ফুরালে ভাঁজ হয়ে ঢুকে যায় আলমারিতে। শীতে আসলেই সেগুলো একে একে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে শীতনিদ্রা ভেঙে। দীর্ঘদিন পোশাকগুলো থেকে উষ্ণতা পেতে শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই প্রয়োজন সেগুলোর যত্নআত্তি।
কোন পোশাকের কেমন যত্ন
আলমারি থেকে বের করার পর পোশাকগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে কিংবা ধুয়ে নিতে হবে। কোন পোশাকের যত্ন কীভাবে নিতে হবে তা নির্ভর করছে পাোশাকের ধরনের ওপর। শীতের পোশাকগুলো সাধারণত মোটা ধরনের হয়। যেমন উল, রেশম, ফ্লানেল বা মোটা সুতি। শীত শেষে এসব পোশাক ধুয়ে সঠিক উপায়ে তুলে রাখলে অনেক ক্ষেত্রে পরেরবার না ধুয়ে শুধু কড়া রোদে শুকিয়ে পরে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি পোশাকের সংরক্ষণ সঠিক উপায়ে না হয়, সে ক্ষেত্রে পোশাকের ভাঁজে ভাঁজে দাগ পড়ে পড়ে যায়, ফাঙ্গাস পড়ে কিংবা এক ধরনের বোটকা গন্ধ তৈরি হয়। এই অবস্থায় পোশাকটি পরলে অস্বস্তি হওয়াসহ শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা দূর করতে শীত পোশাকটি বের করে যত্ন নেবার এখনই সময়।
সুতি পোশাক
সুতি বা কটনের শীত পোশাকের ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে সামান্য কেচে ধুয়ে নিলেই হয়ে যায়। ভেজা পোশাকগুলো রোদে শুকাতে দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে কড়া রোদ লেগে যেন কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে না যায়। এ ধরনের পোশাকগুলো খুব সহজে সাধারণ মুডে ওয়াশিং মেশিনেও ধোয়া যায়।
উলের পোশাক
শীত পোশাকটি উলের হলে এর যত্নও একটু বিশেষ ধরনের হতে হবে। ঠান্ডা পানিতে কম ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট বা শ্যাম্পু মিশিয়ে অল্প সময় রেখে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে শুকাতে দেওয়ার সময় পোশাকটি ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে না। তাতে পোশাকের আকার নষ্ট হয়ে যাবে। ধোয়া শেষে ভালো করে পানি ঝরিয়ে কোথাও কাপড় বিছিয়ে তার ওপর পেতে শুকিয়ে নিতে হবে উলের পোশাক। এতে পোশাকের নির্দিষ্ট আকার ঠিকঠাক থাকবে। এ ধরনের পোশাক ওয়াশিং মেশিনে ধুতে হলে উল মুডে দিয়ে ধুতে হবে। পোশাকে কোনো দাগ থাকলে তা লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং আয়রন করার দরকার পড়লে পোশাকটি উল্টো দিকে আয়রন করলে ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
ফ্লানেলের পোশাক
ফ্লানেল কাপড়ের পোশাকের যত্নে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। তরল সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার ভালো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে কেচে ধুয়ে ফেললেই হবে। এ ধরনের কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার জন্য নরমাল মুডই যথেষ্ট।
পশমি পোশাক
পশমি কাপড় ধোয়ার জন্য একটু বাড়তি যত্ন এবং সতর্কতা প্রয়োজন। এ ধরনের শীত পোশাক শ্যাম্পু দিয়ে ভিজিয়ে মিনিট কয়েক রেখে মোলায়েম হাতে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। অনেকেই শীতের এ ধরনের পোশাকগুলো লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করেন। ড্রাই ক্লিনিং করে আনলেও কাপড়ের ভাঁজ খুলে একটু রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
লেদার বা চামড়ার পোশাক
চামড়া বা লেদারের পোশাকের একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়। এ ধরনের পোশাক সাধারণত পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। তাই আলমারি থেকে বের করে শুকিয়ে নিন। কড়া রোদে না শুকিয়ে এগুলোকে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে লন্ড্রিতে দিতে পারেন।
ভেলভেটের পোশাক
ভেলভেটের পোশাকও শীতে পরা হয় বেশ। এ ধরনের কাপড়গুলো বাড়িতে পরিষ্কার না করে লন্ড্রি থেকে ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। এগুলো ধোয়ার পর কুঁচকে থাকলেও ইস্ত্রি করা যাবে না। তাহলে কাপড় পুড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১৬ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১৬ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে