কারবাইডে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ০৭: ৪২
আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, ০৯: ৪৫

মৌসুমের আগে যেসব আম বাজারে আসে, সেগুলো পরিপক্ব নয়। কাটলে দেখা যায় আঁটিগুলো এখনো নরম। এই আম মূলত ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে পাকানো হয়। আবার এই আমে কৃত্রিম রং দেওয়া হয় যেন তা সুন্দর দেখায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা  বলেছেন, এসব আম খেলে ত্বকের জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারবাইডে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে

  • কারবাইডে পাকানো আম দেখতে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়।
  • সব দিক সমান পাকা থাকবে। কিন্তু গাছে পাকা আম সমানভাবে সব দিক পাকা হয় না।
  • কারবাইডে পাকানো আমে আয়োডিন দিলে রং অপরিবর্তিত থাকে। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের ত্বকের ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। 
  • বাজার থেকে আম কিনে আনার পর পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। যদি আম পানিতে ভেসে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। আম যদি পানিতে ডুবে যায় তাহলে বুঝতে হবে, তা স্বাভাবিক নিয়মেই পেকেছে।
  • আমের ওপরে চাপ দিলে যদি শক্ত অনুভব হয়, কিন্তু দেখতে পাকা হয়, তাহলে বুঝতে হবে তাতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।

নিরাপদে আম খেতে
নিরাপদে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে আম খেতে চাইলে, মৌসুমের সময় আম খান। মৌসুমের আগে ও শেষ হওয়ার পরে আম কিনবেন না। সময়ের আগে পাওয়া ফল রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়।

 খাওয়ার আগে পাঁচ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখা ভালো।

সরকার এ বছর আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে। সরকারনির্ধারিত সময় মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আম খাওয়া ঝুঁকিমুক্ত। এ সময় বিভিন্ন জাতের আম প্রাকৃতিকভাবে পাকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত