শিবগঞ্জের ইলিশ সন্দেশ

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৮: ০০
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৭: ০৭

আমের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্যতম গর্বের বিষয় হচ্ছে শিবগঞ্জের মিষ্টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ উপজেলা। সেখানে অসংখ্য মিষ্টির দোকানে দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টির ব্যবসা চলে আসছে; বিশেষ করে শিবগঞ্জ বাজার, মনাকষা বাজার ও কানসাট বাজারের পুরোনো মিষ্টির দোকানগুলোর বয়স শত বছর ছাড়িয়ে গেছে। এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলোতে তৈরি হয় বিশেষ এক মিষ্টি ইলিশ সন্দেশ।

শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে মনাকষা বাজার একটি। এটি শিবগঞ্জ বাজারের পশ্চিম দিকে। মনাকষা বাজারের মিষ্টির কারিগরদের তৈরি দম মিষ্টি, ছানা, জিলাপি, মতিচুড়ের লাড্ডু ও স্পঞ্জ গোল্লা প্রধান। এসব মিষ্টির আদি কারিগর আশু সরকারেরা চার ভাই। তার মধ্যে আশু সরকার ও অশোক কুমার মারা গেছেন বেশ অনেক দিন আগে। বর্তমানে আশু সরকারের ছোট ভাই অজিত সরকার ও কালু সরকার জীবিত। অজিত সরকার এখনো তৈরি করেন এক থেকে শুরু করে পাঁচ কেজি ওজনের ইলিশ সন্দেশ। এখানকার ইলিশ সন্দেশের ব্যাপক সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ ছাড়া এর পরিচিতি রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও।

  মনাকষা আদি মিষ্টি ঘর ‘জিকো স্টোর সুইটস’-এর মালিক অজিত সরকার জানান, তাঁর বাবা বিভূসীভূষণ সরকার প্রায় ৫০ বছর মিষ্টির ব্যবসা করে গেছেন। তাঁর বাবার আমল থেকেই ইলিশ সন্দেশের প্রচার।

বিভূসী ভূষণের সময়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত তাঁদের ইলিশ সন্দেশ ও অন্যান্য মিষ্টি। অজিত আরও জানান, তাঁর বাবার পরে বড় ভাই অশোক কুমার প্রায় ৪০ বছর সুনামের সঙ্গে মিষ্টির ব্যবসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাবা-দাদার পর এখন আমি দোকান করছি। আমার কাছেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মিষ্টির অর্ডার আসে।’ 
 
যেভাবে তৈরি হয় সন্দেশ
মূলত দুধ থেকে তৈরি হয় সন্দেশ। দুধ পাতিলে জ্বাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ফোটাতে হয়। এরপর দুধ শুকিয়ে লাল হয়ে এলে তৈরি হয় মেওয়া। সেই মেওয়ায় বিভিন্ন মসলা, যেমন এলাচি, দারুচিনি, চিনি মিশিয়ে ছাঁচে ফেলে বানানো হয় ইলিশ সন্দেশ। এক কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি পর্যন্ত বানানো যায় বিখ্যাত এ মিষ্টি। 

দরদাম 
শিবগঞ্জে ১ কেজি ওজনের ইলিশ সন্দেশ ৪০০ টাকা এবং ৫ কেজি ওজনের ইলিশ সন্দেশের দাম ২ হাজার টাকা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত