ত্বক পরিষ্কারে সাবানের বিকল্প

শারমিন কচি
Thumbnail image

প্রতিদিন সাবান ব্যবহারে মুখ, হাত, পা ও পিঠের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে সাবানের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়। কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা ও কমনীয়তা ফিরে পেতে ভেষজ উপায়েও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।

প্রাকৃতিক উপকরণ

টকদই: টকদই ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে ফেলতে দারুণ কাজ করে। সাবানের বিকল্প হিসেবে ত্বকে এর ব্যবহার বেশ পুরোনো। এটি শুধু পরিষ্কারই করে না, সঙ্গে ত্বকে জোগায় পুষ্টি। মুখের শুষ্ক ত্বকে কমনীয়তা ফেরাতে টকদই ব্যবহার করতে পারেন।

ফল ও সবজি থেঁতো: সাবানের বিকল্প হিসেবে শসা, কলা, পেঁপে ও লেবু ব্যবহার করা যায়। ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতেও এসব ফল খুব ভালো কাজ করে।

কলা: একটা মাঝারি সাইজের কলা থেঁতো করে নিন। সঙ্গে মেশান দুধের সর। এরপর মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে‌ ৩ দিন মাখুন। ত্বক নরম হবে। শুষ্কতা কমে যাবে।

কমলার খোসাবাটা: কমলার খোসাবাটা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ও ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এর মধ্যকার ভিটামিন সি ত্বকে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে। কমলার খোসাবাটার সঙ্গে পরিমাণমতো দুধ মিশিয়ে সারা শরীরে মেখে নিন। প্রায় শুকিয়ে গেলে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। শরীর পরিষ্কার হবে।

 তেল: নারকেল তেল হালকা গরম করে পুরো শরীরে ম্যাসাজ করে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে শরীর রগড়ে স্নান করে ফেলুন। এতে শরীরে মরা কোষ জমবে না। ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও থাকবে পেলব।

দুধ: মুখ পরিষ্কার করার জন্য দুধ খুবই উপকারী। ত্বকের ময়লা কাটাতে বেসনের সঙ্গে দুধ ও হলুদবাটা মিশিয়ে পুরো শরীরে লাগানো যায়।

মসুর ডালবাটা: মসুর ডালবাটা ত্বক গভীরভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে খুবই কার্যকরী। ত্বকের যেকোনো দাগ দূর হবে নিয়মিত মসুর ডালবাটা ব্যবহারে। সঙ্গে পরিমাণমতো মেশাতে পারেন হলুদবাটা, দুধ ও লেবুর রস।

মুলতানি মাটি: ত্বকের লোমকূপ থেকে ময়লা অপসারণ করতে মুলতানি মাটি খুব কার্যকর। পাশাপাশি এটি ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বলা ভাব কমায়। মুলতানি মাটির সঙ্গে পানি ছাড়াও গোলাপজল, টকদই, আপেল সিডার ভিনেগার ইত্যাদি মিশিয়ে ত্বকে প্রলেপ লাগানো যায়।

লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত