রিক্তা রিচি, ঢাকা
‘কাছাকাছি থাকলে শুনি মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন/সম্পর্ক রাখাই দায়।’ ‘আমাদের সম্পর্ক’ কবিতায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্ক নিয়ে এমন কথাই বলেছেন। কিংবা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ যেমন বলেছেন, ‘দূরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম’। শক্তি বা রুদ্র দুজনের কবিতায়ই নৈকট্য থেকেই সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হওয়ার বিষয়টিই মুখ্য। প্রশ্ন হলো, কখন এমনটি হয়? এক কথায় এর উত্তর নেই। তবে মোটাদাগে বলা যায়, ভালোবাসা নামের অনুভবটি ফিকে হতে শুরু করলেই এই দূরত্বের প্রবেশ ঘটে যেকোনো সম্পর্কে।
ভালোবাসা বস্তুটি কী? এ এক ভীষণ তালগোলে ব্যাপার। এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যেমন বলেছেন, ‘ভালোবাসার সম্পর্ক হলো একই আত্মায় বসবাস করা দুটো ভিন্ন দেহের গল্প।’ আর প্লেটো বলে গেছেন, ‘এক ফোঁটা ভালোবাসার হাতছানি যে কাউকেই কবি বানিয়ে দিতে পারে।’ এ দুই সংজ্ঞা থেকে ভালোবাসা কি বোঝা গেল?
বোঝা যাক বা না যাক, বলা হয়—ভালোবাসাই হলো পৃথিবীর শুদ্ধতম আবেগ। যেখানে প্রচণ্ড পাগলামি থাকে, থাকে পরস্পরের প্রতি এক অমোঘ টান, পরস্পরকে কাছে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এ নিয়ে কবি-শিল্পীদের আবেগ ও তার প্রকাশ আবার সব সময়ই বেশি। এই যেমন কেবল ভালোবেসেই কবি কাজী নজরুল তাঁর প্রিয়ার খোঁপায় তারার ফুল, কানে চৈতি চাঁদের দুল পরিয়ে দিতে চেয়েছেন। ভালোবাসার মানুষের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকেই জেমস গেয়েছেন ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার’। এই লিরিক আবার এসেছে কবি শামসুর রাহমানের ‘উত্তর’ কবিতা থেকে। হুবহু নয়, সুরের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে একটু অদলবদল হয়েছে।
ভালোবাসা কি মানুষকে কিছুটা যুক্তি বোধরহিতও করে দেয়? হয়তো। কুমার বিশ্বজিৎ গাইছেন শুনুন, ‘তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা এক দিনে দেব পাড়ি/তুমি যদি বলো চাঁদের বুকে/বানাব আমার বাড়ি।’ নাহ, বেশ গোলমেলে ব্যাপার বলতে হবে।
তবে এসব থেকে একটা সিদ্ধান্তে কিন্তু আসতেই হচ্ছে—প্রেমে পড়লে কিংবা ভালোবাসলে মানুষ কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে। আর তাই প্রিয় মানুষের পায়ের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ এনে দিতে চায় সে। সমস্ত দহন, যন্ত্রণা, চাপ ও তাপ সহ্য করতেও রাজি থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবকিছুই ফিকে হতে থাকে। সম্পর্কের বয়স বাড়তে থাকে। তখন ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝামেলা লাগতে শুরু হয়। দিনের পর দিন ঝামেলা বাড়তে থাকে। বাড়ে মানসিক অশান্তি। কিন্তু কেন এই অশান্তি? অতি নৈকট্যই কি কারণ, রুদ্র বা শক্তি যেমনটা বলেছেন।
শান্তির সম্পর্কেও অশান্তির বীজ দানা বাঁধতে শুরু করে নিজেদের আচরণ ও ব্যবহারের কারণে। দুজন দুজনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান না করলে, দুজন দুজনের অমিলগুলো মেনে নিতে না পারলে, একে অন্যের প্রতি প্রয়োজনের অধিক প্রত্যাশা রাখলে এবং সে প্রত্যাশা পূরণ না হলে সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করে। ছোট ছোট রাগ অভিমান জমে জমে বিশাল হয়ে উঠতে পারে। সম্পর্কের টানাপোড়েন দুজনকেই ভোগাতে থাকে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, হাল ছাড়ার কিছু নেই। খুঁজলে উপায় ঠিকই মিলবে। সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক সুন্দর ও প্রাণবন্ত রাখতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন।
সম্পর্ক সুন্দর রাখার ব্যাপারে সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার নাঈমা ইসলাম অন্তরা জানান, ‘যেকোনো সম্পর্ক সুন্দর করার মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। একে অন্যকে শ্রদ্ধা করা, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দেওয়া, সঙ্গীকে স্বাধীনতা দেওয়া, অতিমাত্রায় পজিসিভ না হওয়া, ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা ইত্যাদি থাকলে সম্পর্ক সুন্দর থাকে।’
ভাবার কোনো কারণ নেই যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুধু এই বঙ্গেরই বাস্তবতা। গোটা বিশ্বেই এর হালহকিকত এমনই। সম্পর্ক থাকলে তাতে কিছু না কিছু দ্বন্দ্ব থাকবেই। এ নিয়ে দুর্ভাবনায় না থেকে বরং কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা করুন
অধিক প্রত্যাশা ভেতর থেকে ভোগায়। প্রত্যাশা অনুযায়ী কোনো কিছু না পেলে দগ্ধ হতে হয়। অপূর্ণ হতে হতে ভেতর থেকে নিঃশেষ হয়ে যেতে হয়। বেশির ভাগ সম্পর্ক নষ্ট হয় অধিক প্রত্যাশার কারণে। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরুন। অল্পতে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। সঙ্গীকে নিজের মনের মতো পরিবর্তন করতে না চেয়ে তাঁকে তাঁর মতো করে মেনে নিন।
পর্যাপ্ত সময় দিন
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে পরস্পরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটা ভীষণ জরুরি। দুজন দুজনের প্রতি জমে থাকা অভিযোগ, অনুযোগ ঝেড়ে ফেলুন। সব ধরনের কথা শেয়ার করুন। সারা দিন যা যা করেছেন, সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ বলার কথা বলছি না। বলছি, সেই মানুষটাকে গুরুত্ব দিয়ে তার কথাগুলো শোনা এবং নিজের জমানো কথাগুলো বলার কথা। কাজের ফাঁকে সময় করে কিংবা ছুটির দিন তাঁকে নিয়ে বেড়াতে যান।
অমিলগুলোকে শ্রদ্ধা করুন
আমাদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে সম্পর্কেই যুক্ত হোক না কেন, যুক্ত ব্যক্তিরা আদতে ভিন্ন দুজন মানুষ। অ্যারিস্টটল কথিত ‘এক আত্মা’ দুটি দেহ এখানে শুধু খাতা-কলমের ব্যাপার। তাই দুজনের সবকিছুতেই মিল হবে, তা নয়। কিছু কিছু বিষয়ে অমিল থাকবেই। সেই অমিলগুলো মেনে নিয়েই সামনে এগোতে হবে। সেই অমিলগুলোকে শ্রদ্ধা করেই তাঁকে গ্রহণ করতে হবে। নয়তো পারস্পরিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে না।
ভাষা ব্যবহারে সচেতন হোন
যাঁকে ভালোবাসেন, তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন। কথার দূষণে তাঁকে পোড়াবেন না। ঝগড়া হলে, ভুল বোঝাবুঝি হলেও রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। নিজের অপারগতা, ভুল স্বীকার করুন। ভুল কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়াটা মানসিক শক্তিরই পরিচায়ক। সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না।
নিজেকে সম্মান করুন
অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসুন। ভালোবাসতে গিয়ে নিজেকে অন্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল করে ফেলা থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে নিজের মতো করে ভালোবাসুন। নিজেকে নিজে সময় দিন। নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন। একটি কথা মাথায় রাখা উচিত—চায়ে ভেজানো বিস্কুটও বলে দেয় কারও প্রতি এতটা দুর্বল হতে নেই, যা আপনার সত্তাকে বিকিয়ে দেয়।
সূত্র: আমহার্সট ডটএডু, সাইকোসেন্ট্রাল ডটকম
‘কাছাকাছি থাকলে শুনি মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন/সম্পর্ক রাখাই দায়।’ ‘আমাদের সম্পর্ক’ কবিতায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্ক নিয়ে এমন কথাই বলেছেন। কিংবা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ যেমন বলেছেন, ‘দূরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম’। শক্তি বা রুদ্র দুজনের কবিতায়ই নৈকট্য থেকেই সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হওয়ার বিষয়টিই মুখ্য। প্রশ্ন হলো, কখন এমনটি হয়? এক কথায় এর উত্তর নেই। তবে মোটাদাগে বলা যায়, ভালোবাসা নামের অনুভবটি ফিকে হতে শুরু করলেই এই দূরত্বের প্রবেশ ঘটে যেকোনো সম্পর্কে।
ভালোবাসা বস্তুটি কী? এ এক ভীষণ তালগোলে ব্যাপার। এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যেমন বলেছেন, ‘ভালোবাসার সম্পর্ক হলো একই আত্মায় বসবাস করা দুটো ভিন্ন দেহের গল্প।’ আর প্লেটো বলে গেছেন, ‘এক ফোঁটা ভালোবাসার হাতছানি যে কাউকেই কবি বানিয়ে দিতে পারে।’ এ দুই সংজ্ঞা থেকে ভালোবাসা কি বোঝা গেল?
বোঝা যাক বা না যাক, বলা হয়—ভালোবাসাই হলো পৃথিবীর শুদ্ধতম আবেগ। যেখানে প্রচণ্ড পাগলামি থাকে, থাকে পরস্পরের প্রতি এক অমোঘ টান, পরস্পরকে কাছে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এ নিয়ে কবি-শিল্পীদের আবেগ ও তার প্রকাশ আবার সব সময়ই বেশি। এই যেমন কেবল ভালোবেসেই কবি কাজী নজরুল তাঁর প্রিয়ার খোঁপায় তারার ফুল, কানে চৈতি চাঁদের দুল পরিয়ে দিতে চেয়েছেন। ভালোবাসার মানুষের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকেই জেমস গেয়েছেন ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার’। এই লিরিক আবার এসেছে কবি শামসুর রাহমানের ‘উত্তর’ কবিতা থেকে। হুবহু নয়, সুরের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে একটু অদলবদল হয়েছে।
ভালোবাসা কি মানুষকে কিছুটা যুক্তি বোধরহিতও করে দেয়? হয়তো। কুমার বিশ্বজিৎ গাইছেন শুনুন, ‘তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা এক দিনে দেব পাড়ি/তুমি যদি বলো চাঁদের বুকে/বানাব আমার বাড়ি।’ নাহ, বেশ গোলমেলে ব্যাপার বলতে হবে।
তবে এসব থেকে একটা সিদ্ধান্তে কিন্তু আসতেই হচ্ছে—প্রেমে পড়লে কিংবা ভালোবাসলে মানুষ কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে। আর তাই প্রিয় মানুষের পায়ের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ এনে দিতে চায় সে। সমস্ত দহন, যন্ত্রণা, চাপ ও তাপ সহ্য করতেও রাজি থাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবকিছুই ফিকে হতে থাকে। সম্পর্কের বয়স বাড়তে থাকে। তখন ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝামেলা লাগতে শুরু হয়। দিনের পর দিন ঝামেলা বাড়তে থাকে। বাড়ে মানসিক অশান্তি। কিন্তু কেন এই অশান্তি? অতি নৈকট্যই কি কারণ, রুদ্র বা শক্তি যেমনটা বলেছেন।
শান্তির সম্পর্কেও অশান্তির বীজ দানা বাঁধতে শুরু করে নিজেদের আচরণ ও ব্যবহারের কারণে। দুজন দুজনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান না করলে, দুজন দুজনের অমিলগুলো মেনে নিতে না পারলে, একে অন্যের প্রতি প্রয়োজনের অধিক প্রত্যাশা রাখলে এবং সে প্রত্যাশা পূরণ না হলে সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করে। ছোট ছোট রাগ অভিমান জমে জমে বিশাল হয়ে উঠতে পারে। সম্পর্কের টানাপোড়েন দুজনকেই ভোগাতে থাকে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, হাল ছাড়ার কিছু নেই। খুঁজলে উপায় ঠিকই মিলবে। সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক সুন্দর ও প্রাণবন্ত রাখতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন।
সম্পর্ক সুন্দর রাখার ব্যাপারে সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার নাঈমা ইসলাম অন্তরা জানান, ‘যেকোনো সম্পর্ক সুন্দর করার মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। একে অন্যকে শ্রদ্ধা করা, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দেওয়া, সঙ্গীকে স্বাধীনতা দেওয়া, অতিমাত্রায় পজিসিভ না হওয়া, ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা ইত্যাদি থাকলে সম্পর্ক সুন্দর থাকে।’
ভাবার কোনো কারণ নেই যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুধু এই বঙ্গেরই বাস্তবতা। গোটা বিশ্বেই এর হালহকিকত এমনই। সম্পর্ক থাকলে তাতে কিছু না কিছু দ্বন্দ্ব থাকবেই। এ নিয়ে দুর্ভাবনায় না থেকে বরং কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা করুন
অধিক প্রত্যাশা ভেতর থেকে ভোগায়। প্রত্যাশা অনুযায়ী কোনো কিছু না পেলে দগ্ধ হতে হয়। অপূর্ণ হতে হতে ভেতর থেকে নিঃশেষ হয়ে যেতে হয়। বেশির ভাগ সম্পর্ক নষ্ট হয় অধিক প্রত্যাশার কারণে। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরুন। অল্পতে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। সঙ্গীকে নিজের মনের মতো পরিবর্তন করতে না চেয়ে তাঁকে তাঁর মতো করে মেনে নিন।
পর্যাপ্ত সময় দিন
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে পরস্পরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটা ভীষণ জরুরি। দুজন দুজনের প্রতি জমে থাকা অভিযোগ, অনুযোগ ঝেড়ে ফেলুন। সব ধরনের কথা শেয়ার করুন। সারা দিন যা যা করেছেন, সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ বলার কথা বলছি না। বলছি, সেই মানুষটাকে গুরুত্ব দিয়ে তার কথাগুলো শোনা এবং নিজের জমানো কথাগুলো বলার কথা। কাজের ফাঁকে সময় করে কিংবা ছুটির দিন তাঁকে নিয়ে বেড়াতে যান।
অমিলগুলোকে শ্রদ্ধা করুন
আমাদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে সম্পর্কেই যুক্ত হোক না কেন, যুক্ত ব্যক্তিরা আদতে ভিন্ন দুজন মানুষ। অ্যারিস্টটল কথিত ‘এক আত্মা’ দুটি দেহ এখানে শুধু খাতা-কলমের ব্যাপার। তাই দুজনের সবকিছুতেই মিল হবে, তা নয়। কিছু কিছু বিষয়ে অমিল থাকবেই। সেই অমিলগুলো মেনে নিয়েই সামনে এগোতে হবে। সেই অমিলগুলোকে শ্রদ্ধা করেই তাঁকে গ্রহণ করতে হবে। নয়তো পারস্পরিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে না।
ভাষা ব্যবহারে সচেতন হোন
যাঁকে ভালোবাসেন, তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন। কথার দূষণে তাঁকে পোড়াবেন না। ঝগড়া হলে, ভুল বোঝাবুঝি হলেও রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। নিজের অপারগতা, ভুল স্বীকার করুন। ভুল কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়াটা মানসিক শক্তিরই পরিচায়ক। সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না।
নিজেকে সম্মান করুন
অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসুন। ভালোবাসতে গিয়ে নিজেকে অন্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল করে ফেলা থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে নিজের মতো করে ভালোবাসুন। নিজেকে নিজে সময় দিন। নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন। একটি কথা মাথায় রাখা উচিত—চায়ে ভেজানো বিস্কুটও বলে দেয় কারও প্রতি এতটা দুর্বল হতে নেই, যা আপনার সত্তাকে বিকিয়ে দেয়।
সূত্র: আমহার্সট ডটএডু, সাইকোসেন্ট্রাল ডটকম
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে