অর্পিতা রহমান, ঢাকা
যারা কাবাব খেতে অভ্যস্ত, তাদের কাছে শাসলিক নিতান্তই ছেলেখেলার মতো বিষয়। কিন্তু কীভাবে যেন শাসলিক জনপ্রিয় হয়ে গেছে আমাদের এই শহরে। এখন গলির মুখের খাবারের দোকান থেকে শুরু করে নামী রেস্তোরাঁয়ও পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাদ ও উপকরণের শাসলিক। আর বিভিন্ন উপলক্ষকে সামনে রেখে বাসায়ও বানানো হয় কাঠিতে গাঁথা এই খাবারটি।
শাসলিকের মজা হলো, এটি কাবাবের মতো পোড়ানো যায়, তাওয়ায় সেঁকা যায় আবার ওভেনেও বেক করা যায়। আর এর রেসিপিও খুবই সাদামাটা। সম্ভবত এ কারণেই শাসলিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাংসের সঙ্গে সবজি ও আনারসের মতো ফল গেঁথে শাসলিক বানানো যায়। মজার বিষয় হলো, শাসলিক শব্দটির ইংরেজিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে রাশিয়া হয়ে।
আবার শব্দটির মূল আছে তুর্কি ভাষায়। উনিশ শতক থেকে সমগ্র পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয় এ খাবারটি এবং এর অনেক রেসিপি তৈরি হতে থাকে।
যা হোক, আষাঢ় মাস আসছে। বৃষ্টিভেজা দিনে ধোঁয়াগন্ধি শাসলিক খেতে কারোরই খারাপ লাগবে না।
বিফ শাসলিক
উপকরণ
মাংস ১ কাপ, আদা ও রসুনকুচি এবং মরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ করে, একটি বড় পেঁয়াজ, সয়াসস ১ চা-চামচ, টমেটো কেচাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল এক চা-চামচ।
প্রণালি
মাংস কিউব করে কেটে নিন। আদা ও রসুনবাটা সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজের স্তরগুলো খুলে নিয়ে তাতে দিয়ে দিন। তাতে মাংস, লবণ, সয়াসস, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর একে একে কাঁচা মরিচকুচি ও টমেটো কেচাপ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর তাতে লেবুর রস ও অল্প চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এবার শাসলিকের কাঠিতে গেঁথে
পরিবেশন করুন।
চিকেন শাসলিক
উপকরণ
কিউব করে কাটা মুরগির বুকের মাংস আধা কেজি, রসুনবাটা, মরিচ ও গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ করে, পুদিনাপাতাবাটা, চিলি ও টমেটো সস ১ চা-চামচ করে, লেবুর রস ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কিউব করে কাটা পেঁয়াজ, টমেটো, শসা ও গাজর পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ২ চা-চামচ।
প্রণালি
শাসলিকের কাঠিগুলো আধা ঘণ্টার মতো ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। গাজর কিউব আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করে নিন। চিকেন কিউব ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর তেল বাদে সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন ২ ঘণ্টার মতো। এবার শাসলিক স্টিকে একে একে গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ, শসা কিউব ও এক টুকরো চিকেন কিউব কাঠির শেষ মাথা পর্যন্ত গেঁথে নিন। সব শাসলিকে তেল ব্রাশ করে ওভেনে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করুন। ওভেন ব্যবহার না করে চুলায়ও তৈরি করতে পারেন চিকেন শাসলিক। সে ক্ষেত্রে লোহার কড়াই বা ননস্টিক প্যানে সেঁকে নিতে হবে। দুই পাশই ১৫ মিনিট করে সেঁকে নেবেন। মাঝে মাঝে সামান্য তেল ব্রাশ করে দিতে পারেন। পোড়া পোড়া হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এরপর নানরুটি, পোলাও কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ভেজিটেবল শাসলিক
উপকরণ
১ কাপ গাজর, ১ কাপ ক্যাপসিকাম এবং এ সময় যদি পাওয়া যায় তাহলে ১ কাপ ব্রকলি বা ফুলকপি কিউব করে কাটা, শুকনা মরিচের গুঁড়ো, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ করে, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল পরিমাণমতো এবং শাসলিকের কাঠি প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রণালি
শাসলিকের কাঠি কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তেল ছাড়া সব উপকরণ সবজির সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। আধা ঘণ্টা পর শাসলিক কাঠিতে সবজিগুলো পছন্দমতো গেঁথে নিন। একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে মিডিয়াম আঁচে উল্টেপাল্টে ১০ মিনিট ভাজুন। একটু পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
যারা কাবাব খেতে অভ্যস্ত, তাদের কাছে শাসলিক নিতান্তই ছেলেখেলার মতো বিষয়। কিন্তু কীভাবে যেন শাসলিক জনপ্রিয় হয়ে গেছে আমাদের এই শহরে। এখন গলির মুখের খাবারের দোকান থেকে শুরু করে নামী রেস্তোরাঁয়ও পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাদ ও উপকরণের শাসলিক। আর বিভিন্ন উপলক্ষকে সামনে রেখে বাসায়ও বানানো হয় কাঠিতে গাঁথা এই খাবারটি।
শাসলিকের মজা হলো, এটি কাবাবের মতো পোড়ানো যায়, তাওয়ায় সেঁকা যায় আবার ওভেনেও বেক করা যায়। আর এর রেসিপিও খুবই সাদামাটা। সম্ভবত এ কারণেই শাসলিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাংসের সঙ্গে সবজি ও আনারসের মতো ফল গেঁথে শাসলিক বানানো যায়। মজার বিষয় হলো, শাসলিক শব্দটির ইংরেজিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে রাশিয়া হয়ে।
আবার শব্দটির মূল আছে তুর্কি ভাষায়। উনিশ শতক থেকে সমগ্র পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয় এ খাবারটি এবং এর অনেক রেসিপি তৈরি হতে থাকে।
যা হোক, আষাঢ় মাস আসছে। বৃষ্টিভেজা দিনে ধোঁয়াগন্ধি শাসলিক খেতে কারোরই খারাপ লাগবে না।
বিফ শাসলিক
উপকরণ
মাংস ১ কাপ, আদা ও রসুনকুচি এবং মরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ করে, একটি বড় পেঁয়াজ, সয়াসস ১ চা-চামচ, টমেটো কেচাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল এক চা-চামচ।
প্রণালি
মাংস কিউব করে কেটে নিন। আদা ও রসুনবাটা সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজের স্তরগুলো খুলে নিয়ে তাতে দিয়ে দিন। তাতে মাংস, লবণ, সয়াসস, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর একে একে কাঁচা মরিচকুচি ও টমেটো কেচাপ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর তাতে লেবুর রস ও অল্প চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এবার শাসলিকের কাঠিতে গেঁথে
পরিবেশন করুন।
চিকেন শাসলিক
উপকরণ
কিউব করে কাটা মুরগির বুকের মাংস আধা কেজি, রসুনবাটা, মরিচ ও গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ করে, পুদিনাপাতাবাটা, চিলি ও টমেটো সস ১ চা-চামচ করে, লেবুর রস ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কিউব করে কাটা পেঁয়াজ, টমেটো, শসা ও গাজর পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ২ চা-চামচ।
প্রণালি
শাসলিকের কাঠিগুলো আধা ঘণ্টার মতো ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। গাজর কিউব আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করে নিন। চিকেন কিউব ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর তেল বাদে সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন ২ ঘণ্টার মতো। এবার শাসলিক স্টিকে একে একে গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ, শসা কিউব ও এক টুকরো চিকেন কিউব কাঠির শেষ মাথা পর্যন্ত গেঁথে নিন। সব শাসলিকে তেল ব্রাশ করে ওভেনে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করুন। ওভেন ব্যবহার না করে চুলায়ও তৈরি করতে পারেন চিকেন শাসলিক। সে ক্ষেত্রে লোহার কড়াই বা ননস্টিক প্যানে সেঁকে নিতে হবে। দুই পাশই ১৫ মিনিট করে সেঁকে নেবেন। মাঝে মাঝে সামান্য তেল ব্রাশ করে দিতে পারেন। পোড়া পোড়া হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এরপর নানরুটি, পোলাও কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ভেজিটেবল শাসলিক
উপকরণ
১ কাপ গাজর, ১ কাপ ক্যাপসিকাম এবং এ সময় যদি পাওয়া যায় তাহলে ১ কাপ ব্রকলি বা ফুলকপি কিউব করে কাটা, শুকনা মরিচের গুঁড়ো, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ করে, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল পরিমাণমতো এবং শাসলিকের কাঠি প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রণালি
শাসলিকের কাঠি কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তেল ছাড়া সব উপকরণ সবজির সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। আধা ঘণ্টা পর শাসলিক কাঠিতে সবজিগুলো পছন্দমতো গেঁথে নিন। একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে মিডিয়াম আঁচে উল্টেপাল্টে ১০ মিনিট ভাজুন। একটু পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে