আনিকা জীনাত
সৌন্দর্যচর্চার জগৎ নিয়ত পরিবর্তনশীল। খুব বেশি দিনের কথা না বললেও চলে। গত দুই দশকে একের পর এক বদলেছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও সৌন্দর্যচর্চার ধারা। এই পরিবর্তনের হাত ধরে এসেছে বিভিন্ন উপকরণ। সামনের দিনগুলোতে কী আসতে চলেছে? জানাচ্ছেন আনিকা জীনাত।
এককালে পারলার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বই ছিল না। সেটা ছাড়াই সাজগোজ চলত। বান্ধবী বা বোনদের মধ্যে যে ভালো মেকআপ করতে পারে, উৎসব আয়োজনে তার ওপর দায়িত্ব পড়ত হাতে মেহেদি করানোর, কনে সাজানোর।
বদলের হাত ধরে ধীরে ধীরে পারলার এল, তাতে যাওয়ার প্রচলন বাড়ল। বউ তো বটেই, বিয়ের দাওয়াতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও সেখানে গিয়ে সাজতে শুরু করলেন। সে চলছে এখনো।
তবে এই অতিমারিতে পারলারে যাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করল। আবারও ‘নিজেরা করো’ নীতিতে চলতে শুরু করলেন ফ্যাশনসচেতন নারীরা। তাঁদের মেকআপ শেখানোর দায়িত্ব নিল নামীদামি কিছু ইউটিউবার। বিউটি এক্সপার্ট হিসেবে পরিচিত এই ইউটিউবাররা সৌন্দর্যচর্চা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আলোকিত করলেন সাধারণ সৌন্দর্যপিয়াসী নারীদের। কিন্তু দুনিয়া বদলের হাত ধরে হাঁটে। সামনের দিনগুলোতে সৌন্দর্যচর্চার জগতে আসতে চলেছে আরও চমকপ্রদ সব অনুষঙ্গ।
লরিয়েল পারসো
কসমেটিকস কেনার সময় দ্বিধায় ভোগেননি এমন কখনো হয়েছে কি? কেনার আগে এর-ওর কাছে খোঁজ নিয়ে, ইউটিউবে রিভিউ দেখে বা ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে নিলে মেকআপের পণ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। তা না হলে দোকানে গিয়ে একই রঙের লিপস্টিকের এত এত শেড দেখে মাথা ঘোরাটা স্বাভাবিক। আপনার মনে হতেই পারে, মেকআপবিষয়ক গবেষণার কাজটি অন্য কেউ করে দিলে ভালো হতো।
কোন ত্বকের জন্য কোন ফাউন্ডেশন বা কোন বর্ণের ত্বকে কোন লিপস্টিক ভালো লাগবে, তা জানানোর জন্য আলাদা একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে লরিয়েল প্যারিস। তাদের ডিভাইস ঘরে আনলে আর বিউটি এক্সপার্টদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
অ্যাপের মাধ্যমে চেহারা স্ক্যান করলে আবহাওয়া যাচাই করে ত্বকের খুঁত বিষয়ে তথ্য নিয়ে স্কিন কেয়ার পণ্য তৈরি করবে এটি। স্কিন টোন মিলিয়ে ফাউন্ডেশনের শেডও বাছাই করে দেবে। পোশাকের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে বানিয়ে দেবে লিপস্টিক। এই ডিভাইস এখনই বাজারে আসছে না। তবে যখনই আসুক, দাম হবে ৩০০ ডলার।
কে জানে আর অল্প কিছুদিন পরেই হয়তো সাড়ে ছয় ইঞ্চির ডিভাইসটির কারণে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারও ফাঁকা হয়ে যাবে। যাহোক, এবার বরং চাইলেই যেটা কেনা যাবে, সেটা নিয়ে কথা বলি।
অপ্ট
‘অপ্ট প্রিসিশন স্কিন কেয়ার সিস্টেম’। নামটা বেশ বড়সড় হলেও ডিভাইসটি বেশ ছোট। ত্বকের দাগ দূর করতে অপ্টের সময় লাগে ৫ মিনিট। দাগ ঢাকতে কসমেটিকস ব্যবহারের প্রয়োজন কমে ৯৭ শতাংশ।
ডিভাইসটি প্রথমে চেহারা স্ক্যান করে দাগ শনাক্ত করে। এরপর সেখানে সিরামের মাইক্রোস্কোপিক ড্রপলেট প্রয়োগ করে দাগ মোছে। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়া শুরু হয়। ছোট্ট ডিভাইসটি সে দাগ সহজেই দূর করে, ব্রণের দাগও হালকা করে। তবে এই থ্রিডি প্রিন্টারকে ত্বকের সমস্যার সমাধান হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। ব্রণ প্রতিরোধ নয়; বরং দাগ ঢাকাই এর কাজ। ৩০ বছর ধরে ৫ লাখ গবেষণার ফসল এই অপ্ট। দাগ দূর করার এই ডিভাইস কেনা যাবে ৫৩৯ ডলারে।
স্টাইলপ্রো
মেকআপ করার পর আমরা সাধারণত মেকআপ তোলাকেই শেষ কাজ বলে মনে করি।
চেহারার ঘষামাজায় ব্যবহৃত ব্রাশগুলো পরিষ্কারের কথা কি আমরা আদৌ ভাবি? না, এ জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। ধুয়ে শুকানোর পর ব্যবহারের জন্য ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করারও কোনো প্রয়োজনই নেই। ৩০ সেকেন্ডেই ধোয়া ও শুকানোর কাজ করবে স্টাইলপ্রো। যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা মেকআপ ব্রাশ ক্লিনজারটি পাবেন ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।
লেজার ৪এক্স
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে রেজার বা হেয়ার রিমুভার ক্রিম ব্যবহার করেন অনেকে। এতে সময় লাগে। রেজার দিয়ে ত্বক কেটে যাওয়ারও ভয় থাকে। এসব দূরে সরিয়ে রাখতে কিনে নিতে পারেন ‘হেয়ার রিমুভাল লেজার ৪এক্স’।
৪৫০ ডলারের এই ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত। বিকিনি লাইন, আপার লেগ, লোয়ার লেগ, আন্ডার আর্মস ও আপার লিপের লোম তুলতে ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
তারবিহীন ডিভাইসটি টানা তিন মাস প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডিভাইসটি অন করতে একটি বাটন চাপতে হয়। আনলক করতে এর নিচের অংশ হাতের ওপর কিছুক্ষণ রাখতে হয়। ত্বকের ওপরে ধরলে দুটি বিপ সাউন্ড হবে। এরপর ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ করে ডিভাইসটি সরাতে হবে। কত
দূর পর্যন্ত কভার করেছে, তা ছোট্ট ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠবে।
সৌন্দর্যচর্চার জগৎ নিয়ত পরিবর্তনশীল। খুব বেশি দিনের কথা না বললেও চলে। গত দুই দশকে একের পর এক বদলেছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও সৌন্দর্যচর্চার ধারা। এই পরিবর্তনের হাত ধরে এসেছে বিভিন্ন উপকরণ। সামনের দিনগুলোতে কী আসতে চলেছে? জানাচ্ছেন আনিকা জীনাত।
এককালে পারলার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বই ছিল না। সেটা ছাড়াই সাজগোজ চলত। বান্ধবী বা বোনদের মধ্যে যে ভালো মেকআপ করতে পারে, উৎসব আয়োজনে তার ওপর দায়িত্ব পড়ত হাতে মেহেদি করানোর, কনে সাজানোর।
বদলের হাত ধরে ধীরে ধীরে পারলার এল, তাতে যাওয়ার প্রচলন বাড়ল। বউ তো বটেই, বিয়ের দাওয়াতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও সেখানে গিয়ে সাজতে শুরু করলেন। সে চলছে এখনো।
তবে এই অতিমারিতে পারলারে যাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করল। আবারও ‘নিজেরা করো’ নীতিতে চলতে শুরু করলেন ফ্যাশনসচেতন নারীরা। তাঁদের মেকআপ শেখানোর দায়িত্ব নিল নামীদামি কিছু ইউটিউবার। বিউটি এক্সপার্ট হিসেবে পরিচিত এই ইউটিউবাররা সৌন্দর্যচর্চা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আলোকিত করলেন সাধারণ সৌন্দর্যপিয়াসী নারীদের। কিন্তু দুনিয়া বদলের হাত ধরে হাঁটে। সামনের দিনগুলোতে সৌন্দর্যচর্চার জগতে আসতে চলেছে আরও চমকপ্রদ সব অনুষঙ্গ।
লরিয়েল পারসো
কসমেটিকস কেনার সময় দ্বিধায় ভোগেননি এমন কখনো হয়েছে কি? কেনার আগে এর-ওর কাছে খোঁজ নিয়ে, ইউটিউবে রিভিউ দেখে বা ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে নিলে মেকআপের পণ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। তা না হলে দোকানে গিয়ে একই রঙের লিপস্টিকের এত এত শেড দেখে মাথা ঘোরাটা স্বাভাবিক। আপনার মনে হতেই পারে, মেকআপবিষয়ক গবেষণার কাজটি অন্য কেউ করে দিলে ভালো হতো।
কোন ত্বকের জন্য কোন ফাউন্ডেশন বা কোন বর্ণের ত্বকে কোন লিপস্টিক ভালো লাগবে, তা জানানোর জন্য আলাদা একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে লরিয়েল প্যারিস। তাদের ডিভাইস ঘরে আনলে আর বিউটি এক্সপার্টদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
অ্যাপের মাধ্যমে চেহারা স্ক্যান করলে আবহাওয়া যাচাই করে ত্বকের খুঁত বিষয়ে তথ্য নিয়ে স্কিন কেয়ার পণ্য তৈরি করবে এটি। স্কিন টোন মিলিয়ে ফাউন্ডেশনের শেডও বাছাই করে দেবে। পোশাকের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে বানিয়ে দেবে লিপস্টিক। এই ডিভাইস এখনই বাজারে আসছে না। তবে যখনই আসুক, দাম হবে ৩০০ ডলার।
কে জানে আর অল্প কিছুদিন পরেই হয়তো সাড়ে ছয় ইঞ্চির ডিভাইসটির কারণে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারও ফাঁকা হয়ে যাবে। যাহোক, এবার বরং চাইলেই যেটা কেনা যাবে, সেটা নিয়ে কথা বলি।
অপ্ট
‘অপ্ট প্রিসিশন স্কিন কেয়ার সিস্টেম’। নামটা বেশ বড়সড় হলেও ডিভাইসটি বেশ ছোট। ত্বকের দাগ দূর করতে অপ্টের সময় লাগে ৫ মিনিট। দাগ ঢাকতে কসমেটিকস ব্যবহারের প্রয়োজন কমে ৯৭ শতাংশ।
ডিভাইসটি প্রথমে চেহারা স্ক্যান করে দাগ শনাক্ত করে। এরপর সেখানে সিরামের মাইক্রোস্কোপিক ড্রপলেট প্রয়োগ করে দাগ মোছে। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়া শুরু হয়। ছোট্ট ডিভাইসটি সে দাগ সহজেই দূর করে, ব্রণের দাগও হালকা করে। তবে এই থ্রিডি প্রিন্টারকে ত্বকের সমস্যার সমাধান হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। ব্রণ প্রতিরোধ নয়; বরং দাগ ঢাকাই এর কাজ। ৩০ বছর ধরে ৫ লাখ গবেষণার ফসল এই অপ্ট। দাগ দূর করার এই ডিভাইস কেনা যাবে ৫৩৯ ডলারে।
স্টাইলপ্রো
মেকআপ করার পর আমরা সাধারণত মেকআপ তোলাকেই শেষ কাজ বলে মনে করি।
চেহারার ঘষামাজায় ব্যবহৃত ব্রাশগুলো পরিষ্কারের কথা কি আমরা আদৌ ভাবি? না, এ জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। ধুয়ে শুকানোর পর ব্যবহারের জন্য ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করারও কোনো প্রয়োজনই নেই। ৩০ সেকেন্ডেই ধোয়া ও শুকানোর কাজ করবে স্টাইলপ্রো। যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা মেকআপ ব্রাশ ক্লিনজারটি পাবেন ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।
লেজার ৪এক্স
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে রেজার বা হেয়ার রিমুভার ক্রিম ব্যবহার করেন অনেকে। এতে সময় লাগে। রেজার দিয়ে ত্বক কেটে যাওয়ারও ভয় থাকে। এসব দূরে সরিয়ে রাখতে কিনে নিতে পারেন ‘হেয়ার রিমুভাল লেজার ৪এক্স’।
৪৫০ ডলারের এই ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত। বিকিনি লাইন, আপার লেগ, লোয়ার লেগ, আন্ডার আর্মস ও আপার লিপের লোম তুলতে ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
তারবিহীন ডিভাইসটি টানা তিন মাস প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডিভাইসটি অন করতে একটি বাটন চাপতে হয়। আনলক করতে এর নিচের অংশ হাতের ওপর কিছুক্ষণ রাখতে হয়। ত্বকের ওপরে ধরলে দুটি বিপ সাউন্ড হবে। এরপর ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ করে ডিভাইসটি সরাতে হবে। কত
দূর পর্যন্ত কভার করেছে, তা ছোট্ট ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠবে।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
৭ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
৭ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে