সানজিদা সামরিন, ঢাকা
বলতে দ্বিধা নেই, আমরা মুখ, হাত, পায়ের যত্ন যেভাবে নিই, সেভাবে পিঠের যত্ন নিই না। এর অন্যতম কারণ হলো–নিজে নিজে পিঠের যত্ন নেওয়া খানিকটা বিপাকের। কারণ, গোসলের সময় লুফা দিয়ে নিজে নিজে পিঠ ঘষে নেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করা যায় না। আবার চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে সেগুলো ধুয়ে ফেলার সময় অবশিষ্টাংশ কিন্তু পিঠে রয়েই যায়। এ কারণেও পিঠে কালচে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আবার বড় গলার জামা বা ব্লাউজ পরার কারণে বা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে পিঠে রোদে পোড়া দাগ থাকেই। এসব সমস্যার সমাধান যে খুব কঠিন, তা কিন্তু হয়। সহজ সমাধানের কথাই হচ্ছে এখন।
গোসলের সময় যত্ন নিন
এখন যে আবহাওয়া তাতে ত্বকের কিন্তু তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন গোসলের আগে পিঠে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এতে ত্বক তেল শুষে নেওয়ার সময় পাবে। এরপর লুফায় সাবান লাগিয়ে পিঠ যতটা সম্ভব ঘষে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, সাবান, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের ফেনা যেন পিঠে না থেকে যায়। অনেক সময়ই গোসলের সময় পিঠ ঠিকমতো ধোয়া না হলে পিঠে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। তাই পুরো শরীরের সঙ্গে সঙ্গে পিঠও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গোসল শেষে অবশ্যই পিঠে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
স্ক্র্যাবিংয়ের বিকল্প নেই
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পিঠ স্ক্র্যাব করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পিঠ স্ক্র্যাব করে নিতে হবে। পিঠ স্ক্র্য়াব করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। বাকি অন্যদিন চালের গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বা কফি পাউডারের সঙ্গ টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, মধু বা টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। হালকাভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠ ম্যাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক পর ধুয়ে নিন।
ডিপ ক্লিনজিং
যে নিয়মে আমরা ফেসিয়াল করি, মানে ক্লেনজিং, স্ক্রাবিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং–সেভাবে পিঠেরও যত্ন নিতে হবে এক্সপার্টের হাতে। দুই মাসে একবার ভালো কোনো পারলারে গিয়ে পিঠের ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজটা সেরে আসুন। পিঠের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এক্সপার্টের হাতের ম্যাসাজ খুব ভালো কাজ করে। এতে পিঠে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং কোষে পুষ্টি পৌঁছায়। জেল্লাও আসে খুব দ্রুত। পাশাপাশি শরীর তো রিল্যাক্স হয়ই।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
পিঠের রোদে পোড়া দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর টুকরোয় চিনির দানা মাখিয়ে পিঠ ঘষতে পারেন। আবার টমেটো ও আলুর রসও রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে খুব ভালো কাজ করে। সপ্তাহে দুই দিন পিঠে ঠান্ডা টকদই, ময়দা, কাঁচা হলুদ বাটা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পিয়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর তোয়ালে দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই ত্বকের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকবে সেসব অংশে সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
পিঠে দাগ থাকলে
ঘাম ও অপরিচ্ছন্নতার কারণেও পিঠে জেদি কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। চুল অপরিচ্ছন্ন থাকলেও, তা বারবার পিঠে ঘষা লেগেও পিঠে দাগ হতে পারে। চুলে খুশকি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সারিয়ে নিন। গোসলের সময় পিঠ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পিঠের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদ বাটা, দুধ, শসার রস ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে
পিঠের অবাঞ্ছিত পিঠের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। পিঠে ঘন লোম থাকলে লিকুইড ওয়্যাক্স বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় কালচে ছোপ পড়তে পারে। তাই পিঠের লোম অপসারণে শেভিং ভালো সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্য নিয়ে কাজটি করতে হবে। অনেকেই পিঠের লোম যাতে বোঝা না যায়, তাই ফেয়ার পলিশ করান। সে ক্ষেত্রে ভালো পারলার থেকে ভালো মানের ফেয়ার পলিশ করাতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন, ফেমিনা ও অন্যান্য
বলতে দ্বিধা নেই, আমরা মুখ, হাত, পায়ের যত্ন যেভাবে নিই, সেভাবে পিঠের যত্ন নিই না। এর অন্যতম কারণ হলো–নিজে নিজে পিঠের যত্ন নেওয়া খানিকটা বিপাকের। কারণ, গোসলের সময় লুফা দিয়ে নিজে নিজে পিঠ ঘষে নেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করা যায় না। আবার চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে সেগুলো ধুয়ে ফেলার সময় অবশিষ্টাংশ কিন্তু পিঠে রয়েই যায়। এ কারণেও পিঠে কালচে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আবার বড় গলার জামা বা ব্লাউজ পরার কারণে বা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে পিঠে রোদে পোড়া দাগ থাকেই। এসব সমস্যার সমাধান যে খুব কঠিন, তা কিন্তু হয়। সহজ সমাধানের কথাই হচ্ছে এখন।
গোসলের সময় যত্ন নিন
এখন যে আবহাওয়া তাতে ত্বকের কিন্তু তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন গোসলের আগে পিঠে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এতে ত্বক তেল শুষে নেওয়ার সময় পাবে। এরপর লুফায় সাবান লাগিয়ে পিঠ যতটা সম্ভব ঘষে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, সাবান, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের ফেনা যেন পিঠে না থেকে যায়। অনেক সময়ই গোসলের সময় পিঠ ঠিকমতো ধোয়া না হলে পিঠে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। তাই পুরো শরীরের সঙ্গে সঙ্গে পিঠও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গোসল শেষে অবশ্যই পিঠে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
স্ক্র্যাবিংয়ের বিকল্প নেই
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পিঠ স্ক্র্যাব করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পিঠ স্ক্র্যাব করে নিতে হবে। পিঠ স্ক্র্য়াব করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। বাকি অন্যদিন চালের গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বা কফি পাউডারের সঙ্গ টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, মধু বা টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। হালকাভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠ ম্যাসাজ করুন। মিনিট পাঁচেক পর ধুয়ে নিন।
ডিপ ক্লিনজিং
যে নিয়মে আমরা ফেসিয়াল করি, মানে ক্লেনজিং, স্ক্রাবিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং–সেভাবে পিঠেরও যত্ন নিতে হবে এক্সপার্টের হাতে। দুই মাসে একবার ভালো কোনো পারলারে গিয়ে পিঠের ডিপ ক্লিনজিংয়ের কাজটা সেরে আসুন। পিঠের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এক্সপার্টের হাতের ম্যাসাজ খুব ভালো কাজ করে। এতে পিঠে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং কোষে পুষ্টি পৌঁছায়। জেল্লাও আসে খুব দ্রুত। পাশাপাশি শরীর তো রিল্যাক্স হয়ই।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
পিঠের রোদে পোড়া দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর টুকরোয় চিনির দানা মাখিয়ে পিঠ ঘষতে পারেন। আবার টমেটো ও আলুর রসও রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে খুব ভালো কাজ করে। সপ্তাহে দুই দিন পিঠে ঠান্ডা টকদই, ময়দা, কাঁচা হলুদ বাটা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পিয়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর তোয়ালে দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই ত্বকের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকবে সেসব অংশে সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
পিঠে দাগ থাকলে
ঘাম ও অপরিচ্ছন্নতার কারণেও পিঠে জেদি কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। চুল অপরিচ্ছন্ন থাকলেও, তা বারবার পিঠে ঘষা লেগেও পিঠে দাগ হতে পারে। চুলে খুশকি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সারিয়ে নিন। গোসলের সময় পিঠ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পিঠের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদ বাটা, দুধ, শসার রস ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে
পিঠের অবাঞ্ছিত পিঠের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। পিঠে ঘন লোম থাকলে লিকুইড ওয়্যাক্স বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাতে অনেক সময় কালচে ছোপ পড়তে পারে। তাই পিঠের লোম অপসারণে শেভিং ভালো সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্য নিয়ে কাজটি করতে হবে। অনেকেই পিঠের লোম যাতে বোঝা না যায়, তাই ফেয়ার পলিশ করান। সে ক্ষেত্রে ভালো পারলার থেকে ভালো মানের ফেয়ার পলিশ করাতে হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন, ফেমিনা ও অন্যান্য
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
২ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
২ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
২ দিন আগে