কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
সমরেশ মজুমদার বলেছিলেন, ‘মানুষের রুচি বোঝা যায় তাঁর পায়ের গোড়ালি ও স্নানঘর দেখে।’ তবে এখন আর একটু এগিয়ে রুচির বহিঃপ্রকাশে মানুষের পোশাক ও অনুষঙ্গের কথাও ভাবতে হয়। ব্যক্তিভেদে রুচি আলাদা বলে ব্যবহার্য অনুষঙ্গও হয় ভিন্ন। আর আজকাল কেবল কেতাদুরস্ত পোশাক পরলেই চলে না। নিজের সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহার করছেন কি না, সেটাও গুরুত্ব বহন করে বৈকি!
ফ্যাশন অনুষঙ্গের অন্যতম উপকরণ ব্যাগ। কখন, কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে ফ্যাশনসচেতন তরুণীরা নিজেদের ব্যাগ নির্বাচন করে থাকেন। রং ও ধরনের বাইরেও ব্যাগটা কিসের তৈরি, সেটাও ট্রেন্ড অনুযায়ী বাছাই করার ব্যাপার থাকে। বাজারে ডেনিম, কাঠ, চামড়া, ভারী প্লাস্টিক কিংবা বিভিন্ন ধাতুতে তৈরি ব্যাগ পাওয়া যায়। কেউ দোকানে গিয়ে আবার কেউ ব্যাগ কেনেন অনলাইন থেকে। একটু ভিন্ন উপকরণে তৈরি ব্যাগ যাঁরা ভালোবাসেন, ইদানীং তাঁদের নজর কাড়ছে কাঠের ব্যাগ। এটি মূলত ফেন্সি ব্যাগ। বিশেষ কোথাও যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় দু-চারটি জিনিস সঙ্গে নেওয়ার জন্য জুতসই। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে আজকাল এ ধরনের ব্যাগ খুব চোখে পড়ে।
এক ব্যাগ কথাবার্তা
কোনো ব্যাগে হয়তো ফুটে উঠেছে জামদানির পরিচিত মোটিফ, কোনোটিতে আবার বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্ম। কোনো ব্যাগে আছে নতুন বউয়ের অবয়ব। আবার কোনো ব্যাগ দেখে মনে হচ্ছে, সেটা আস্ত একটা বিআরটিসি বাস! কোনো ব্যাগ নিজেই যেন একটা ১ হাজার টাকার নোট বা দুই টাকার নোট। এমনই মোটিফের কাঠের ব্যাগগুলো নিয়ে ২০২০ সাল থেকে কাজ করছে এফ কমার্স উদ্যোগ সারল্য। এর প্রতিষ্ঠাতা আবিহা তাহসিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সারল্য শুরু করার অনেক আগে থেকে তিনি হোম ডেকর আইটেমে রিকশা পেইন্টের কাজ করেছেন। সেই থেকে তাঁর আগ্রহ জাগে কাঠের ব্যাগে রিকশা পেইন্ট ফুটিয়ে তোলার।
আবিহা তাহসিন চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন শহরকে থিম ধরে নিয়ে আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট নামের ব্যাগ করেছি।’ তিনি জানান, সারল্যর পণ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে জামদানি মোটিফের ব্যাগ। নির্দিষ্ট কিছু জামদানি মোটিফ দিয়ে ব্যাগের নকশা শুরু করলেও এখন অনেক ক্রেতা তাঁদের বিয়ের জামদানি শাড়ির মোটিফে তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন এসব ব্যাগ।
এর বাইরেও বোহেমিয়ান, প্রাচীন ভারতীয় শিল্পকর্ম কিংবা বিভিন্ন ফোক মোটিফ নিয়েও কাঠের ব্যাগের নকশা করেন তিনি। এসব ব্যাগ তৈরির প্রধান উপকরণ প্লাইউড। ব্যাগগুলো পানি প্রতিরোধী এবং খুবই হালকা বলে বহন করা সহজ।
সারল্যর এসব ব্যাগের দাম ১ হাজার ২৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যাগগুলোর আকার ৭/৪ ইঞ্চি, ১১/৪ ইঞ্চি বা ১৪/৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। কাঠের তৈরি ব্যাগগুলো মূলত ক্লাচ ও স্ট্র্যাপ ব্যাগ।
খুলনায় বসে কাঠের ব্যাগ নিয়ে কাজ করছেন ‘পৃথক’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিথি আক্তার। তিনি বলেন, ‘ক্লাচ ব্যাগগুলোর চাহিদা বেশি। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ রং, যেমন ধূসর, বাদামি, নীল রঙের ব্যাগ বেশি চলে।’ তাঁর নকশা করা ব্যাগের মূল্য ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
রং করা ছাড়াও অনেকেই কাঠের ব্যাগ নকশা করার ক্ষেত্রে পুঁতি, কাপড়, লেইসের মতো উপকরণ ব্যবহার করছেন। ফেসবুককেন্দ্রিক ব্যাগ বিক্রির আরেকটি পেজের নাম ‘সিন্ধু’। এর স্বত্বাধিকারী নীগার জাহান খন্দকার সিন্ধু জানান, নকশার ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান প্যাটার্ন, মান্ডালা, জামদানি মোটিফ ব্যবহার করেন তিনি। এ ছাড়া ট্রেন্ডি নকশা, যেমন মন্সটেরা পাতা, সমুদ্র থিম, ভ্যানগঘের স্টারি নাইট নিয়েও কাজ করেন সিন্ধু। এই ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকার মধ্যে।
পরিবেশবান্ধব কাঠের ব্যাগের খোঁজে
কাঠের ব্যাগ এককথায় পরিবেশবান্ধব। তবে এতে ব্যবহার করা অন্যান্য উপকরণও যেন পরিবেশ উপযোগী হয়, সেদিকে নজর দিচ্ছেন অনেক ডিজাইনার। কাঠের ব্যাগ তৈরিতে গর্জন কাঠ ব্যবহার করেন মৃণ্ময়ী আর্টিস্টি অ্যাজের প্রতিষ্ঠাতা দিলশাদ জাহান দীনা। ব্যাগের ওপরে নকশা করার জন্য কোনোটায় শামুক, ঝিনুক, কড়ি আবার কোনোটায় কাঠের নকশা করেন তিনি।
আবার অনেকে গাছ কেটে নয়; বরং কাঠের ব্যাগ বানানোর জন্য সম্পূর্ণ রিসাইকেল করা কাঠ ব্যবহার করেন। ‘অনূঢ়া’ নামের একটি পেজের স্বত্বাধিকারী স্বস্তিকা ঘোষ চেয়েছিলেন এমনই পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন অনুষঙ্গ তৈরি করতে, যাতে মানুষ পরিবেশের প্রতি সচেতন হয়। আবার পরিবেশবাদীরাও পান পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। অনূঢ়া থেকে নিজের পছন্দসই নকশা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করে নেওয়া যায়। এই ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
সমরেশ মজুমদার বলেছিলেন, ‘মানুষের রুচি বোঝা যায় তাঁর পায়ের গোড়ালি ও স্নানঘর দেখে।’ তবে এখন আর একটু এগিয়ে রুচির বহিঃপ্রকাশে মানুষের পোশাক ও অনুষঙ্গের কথাও ভাবতে হয়। ব্যক্তিভেদে রুচি আলাদা বলে ব্যবহার্য অনুষঙ্গও হয় ভিন্ন। আর আজকাল কেবল কেতাদুরস্ত পোশাক পরলেই চলে না। নিজের সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহার করছেন কি না, সেটাও গুরুত্ব বহন করে বৈকি!
ফ্যাশন অনুষঙ্গের অন্যতম উপকরণ ব্যাগ। কখন, কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে ফ্যাশনসচেতন তরুণীরা নিজেদের ব্যাগ নির্বাচন করে থাকেন। রং ও ধরনের বাইরেও ব্যাগটা কিসের তৈরি, সেটাও ট্রেন্ড অনুযায়ী বাছাই করার ব্যাপার থাকে। বাজারে ডেনিম, কাঠ, চামড়া, ভারী প্লাস্টিক কিংবা বিভিন্ন ধাতুতে তৈরি ব্যাগ পাওয়া যায়। কেউ দোকানে গিয়ে আবার কেউ ব্যাগ কেনেন অনলাইন থেকে। একটু ভিন্ন উপকরণে তৈরি ব্যাগ যাঁরা ভালোবাসেন, ইদানীং তাঁদের নজর কাড়ছে কাঠের ব্যাগ। এটি মূলত ফেন্সি ব্যাগ। বিশেষ কোথাও যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় দু-চারটি জিনিস সঙ্গে নেওয়ার জন্য জুতসই। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে আজকাল এ ধরনের ব্যাগ খুব চোখে পড়ে।
এক ব্যাগ কথাবার্তা
কোনো ব্যাগে হয়তো ফুটে উঠেছে জামদানির পরিচিত মোটিফ, কোনোটিতে আবার বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্ম। কোনো ব্যাগে আছে নতুন বউয়ের অবয়ব। আবার কোনো ব্যাগ দেখে মনে হচ্ছে, সেটা আস্ত একটা বিআরটিসি বাস! কোনো ব্যাগ নিজেই যেন একটা ১ হাজার টাকার নোট বা দুই টাকার নোট। এমনই মোটিফের কাঠের ব্যাগগুলো নিয়ে ২০২০ সাল থেকে কাজ করছে এফ কমার্স উদ্যোগ সারল্য। এর প্রতিষ্ঠাতা আবিহা তাহসিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সারল্য শুরু করার অনেক আগে থেকে তিনি হোম ডেকর আইটেমে রিকশা পেইন্টের কাজ করেছেন। সেই থেকে তাঁর আগ্রহ জাগে কাঠের ব্যাগে রিকশা পেইন্ট ফুটিয়ে তোলার।
আবিহা তাহসিন চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন শহরকে থিম ধরে নিয়ে আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট নামের ব্যাগ করেছি।’ তিনি জানান, সারল্যর পণ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে জামদানি মোটিফের ব্যাগ। নির্দিষ্ট কিছু জামদানি মোটিফ দিয়ে ব্যাগের নকশা শুরু করলেও এখন অনেক ক্রেতা তাঁদের বিয়ের জামদানি শাড়ির মোটিফে তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন এসব ব্যাগ।
এর বাইরেও বোহেমিয়ান, প্রাচীন ভারতীয় শিল্পকর্ম কিংবা বিভিন্ন ফোক মোটিফ নিয়েও কাঠের ব্যাগের নকশা করেন তিনি। এসব ব্যাগ তৈরির প্রধান উপকরণ প্লাইউড। ব্যাগগুলো পানি প্রতিরোধী এবং খুবই হালকা বলে বহন করা সহজ।
সারল্যর এসব ব্যাগের দাম ১ হাজার ২৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যাগগুলোর আকার ৭/৪ ইঞ্চি, ১১/৪ ইঞ্চি বা ১৪/৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। কাঠের তৈরি ব্যাগগুলো মূলত ক্লাচ ও স্ট্র্যাপ ব্যাগ।
খুলনায় বসে কাঠের ব্যাগ নিয়ে কাজ করছেন ‘পৃথক’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিথি আক্তার। তিনি বলেন, ‘ক্লাচ ব্যাগগুলোর চাহিদা বেশি। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ রং, যেমন ধূসর, বাদামি, নীল রঙের ব্যাগ বেশি চলে।’ তাঁর নকশা করা ব্যাগের মূল্য ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
রং করা ছাড়াও অনেকেই কাঠের ব্যাগ নকশা করার ক্ষেত্রে পুঁতি, কাপড়, লেইসের মতো উপকরণ ব্যবহার করছেন। ফেসবুককেন্দ্রিক ব্যাগ বিক্রির আরেকটি পেজের নাম ‘সিন্ধু’। এর স্বত্বাধিকারী নীগার জাহান খন্দকার সিন্ধু জানান, নকশার ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান প্যাটার্ন, মান্ডালা, জামদানি মোটিফ ব্যবহার করেন তিনি। এ ছাড়া ট্রেন্ডি নকশা, যেমন মন্সটেরা পাতা, সমুদ্র থিম, ভ্যানগঘের স্টারি নাইট নিয়েও কাজ করেন সিন্ধু। এই ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকার মধ্যে।
পরিবেশবান্ধব কাঠের ব্যাগের খোঁজে
কাঠের ব্যাগ এককথায় পরিবেশবান্ধব। তবে এতে ব্যবহার করা অন্যান্য উপকরণও যেন পরিবেশ উপযোগী হয়, সেদিকে নজর দিচ্ছেন অনেক ডিজাইনার। কাঠের ব্যাগ তৈরিতে গর্জন কাঠ ব্যবহার করেন মৃণ্ময়ী আর্টিস্টি অ্যাজের প্রতিষ্ঠাতা দিলশাদ জাহান দীনা। ব্যাগের ওপরে নকশা করার জন্য কোনোটায় শামুক, ঝিনুক, কড়ি আবার কোনোটায় কাঠের নকশা করেন তিনি।
আবার অনেকে গাছ কেটে নয়; বরং কাঠের ব্যাগ বানানোর জন্য সম্পূর্ণ রিসাইকেল করা কাঠ ব্যবহার করেন। ‘অনূঢ়া’ নামের একটি পেজের স্বত্বাধিকারী স্বস্তিকা ঘোষ চেয়েছিলেন এমনই পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন অনুষঙ্গ তৈরি করতে, যাতে মানুষ পরিবেশের প্রতি সচেতন হয়। আবার পরিবেশবাদীরাও পান পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। অনূঢ়া থেকে নিজের পছন্দসই নকশা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করে নেওয়া যায়। এই ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে