অনলাইন ডেস্ক
ফ্যাশনের জগতে সময়ের সঙ্গে ট্রেন্ড বদলাতে থাকে। সম্প্রতি একটি ট্রেন্ড সবার নজর কেড়েছে। তা হলো, হাই হিলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি দৈনন্দিন ফ্যাশনে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গির কোপে ফ্যাশন রাজত্ব হারাচ্ছে হাই হিল।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়ম্বর ও পরিশীলনের সমার্থক এবং ‘নারীত্বের’ এই প্রতীক এখন আর লাইমলাইটে নেই। এর বদলে এখন জায়গা করে নিচ্ছে আরামদায়ক সব বিকল্প।
অথচ এই ফ্যাশন অনুষঙ্গটি কেবল উচ্চতা বৃদ্ধিই নয়, একজনের সৌন্দর্যের অনুভূতি বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছিল। হাই হিলের প্রয়োজনীয়তা পায়ে পরার বস্তুর ধারণাকে ছাপিয়ে আত্মবিশ্বাস, সম্মোহন ও অদম্য গ্ল্যামারের অবিচ্ছেদ্য উপায়ে রূপ নিয়েছিল।
‘দ্য সাইকোলজি অব ফ্যাশন’–এর রচয়িতা প্রজ্ঞামূলক মনোবিজ্ঞানী ও ফ্যাশন বাণিজ্যের পরামর্শক ড. ক্যারোলিন মেয়ার বলেন, ‘হাই হিল শরীরের ভঙ্গি পরিবর্তন করে এবং হাঁটার একটি স্বতন্ত্র ধরন তৈরি করে। এটি ব্যক্তির চলাফেরাকে প্রভাবিত করে। এতে দেহভঙ্গি ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং অন্যের দৃষ্টিতে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা এবং মুগ্ধতার ধারণা উসকে দেয়।’ হাই হিল আত্মবিশ্বাস, অন্যের নজরকাড়া এবং নারী হিসেবে যথাযথ স্বীকৃতি, গ্ল্যামার এবং পেশাদারিত্বের অনুভূতিও তৈরি করে বলে উল্লেখ করেন এই মনোবিজ্ঞানী।
এতভাবে জড়িয়ে থাকার পরও এক মহামারির ধাক্কায় হাই হিলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে হাই হিলের বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।
জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন এর মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাচ্ছন্দ্য ও বাস্তবিকতার কাছে হাই হিলের আকর্ষণ আর টিকতে পারছে না।
আগে কর্মস্থল ও অবসরের পোশাকে বড় পার্থক্য ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে বাড়ি থেকে কাজের ফলে সে পার্থক্যের দেয়াল প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। বড় বড় অনুষ্ঠান সব ছোট হয়ে ঘরোয়া আয়োজনে সীমিত হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী মেয়ার বলেন, ‘মহামারির কারণে আমরা অনেকে ভালো থাকা, স্বাচ্ছন্দ্য ও বাস্তবতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সামাজিকতা ও আনুষ্ঠানিক বা জমকালো আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ কমে যাওয়ার কারণে আটপৌঢ়ে পোশাকের প্রতি মানুষ বেশি ঝুঁকে গেছে। এ ছাড়া মানুষ ঘরে বসে কাজে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আলাদা করে তৈরি হওয়ার অভ্যাস তাদের কমে গেছে।’
তবে হাই হিলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার জন্য মহামারিই দায়ী কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
মেয়ার বলেন, ‘সমাজ যত সমতাবাদী ভাবধারার দিকে এগোচ্ছে ততই মানুষ কঠোরভাবে নারীত্বকে নির্দিষ্ট করে এমন অনুষঙ্গ প্রত্যাখ্যান করছে। এর মধ্যে একটি হলো হাই হিল, যেটি নারীত্বকে চিহ্নিতকারী হিসেবে ধারণা করা হয়। এ পরিবর্তন আমাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, অভিব্যক্তির সীমা বিস্তৃত করতে এবং সেই সঙ্গে এমনসব জুতাকে প্রত্যাখ্যান করতে উৎসাহিত করে যা স্বাচ্ছন্দ্য ও চলাফেরাকে সীমিত করে।’
এর মধ্যে স্নিকারস, লোফারস ও ব্লক হিল নারীদের পছন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মহামারির পর বাকি সব আগের রূপে ফিরে এলেও হাই হিলের চাহিদা আগের রূপে ফিরে আসেনি। তুলনামূলক কম উচ্চতার হিল বা ব্লক হিল জুতার দিকে ঝুঁকছেন নারীরা।
ক্রিশ্চিয়ান লুই ভিতোঁর এক মুখপাত্র সিএনএনকে ই–মেইলে বলেন, ‘হিলের জনপ্রিয়তা আগের মতোই আছে। তবে, মহামারিতে নারীদের জীবনধারা ও ট্রেন্ডে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে তাঁদের হিলের পছন্দে প্ল্যাটফর্ম, নিচু ও ব্লক হিলের মতো বৈচিত্র্য যোগ হয়েছে।’
এদিকে ফ্ল্যাট জুতা ও স্নিকার্সের বিক্রি বেড়েই চলেছে। ২০২৩ সালে অ্যাডিডাস গ্যাজেল স্পোর্টস শুর জনপ্রিয়তা ১৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি শীতকালীন ২০২৩ ক্যাটওয়াকের থিমও ছিল ফ্ল্যাট। প্রাডা ও বালমেইনের মঞ্চে রাজত্ব করেছে কোনাকার ব্যালে পাম্প, মিউ মিউ এবং লিউইর মঞ্চে আলো ছড়িয়েছে লোফারস এবং বারবেরি ও ভ্যালেন্তিনো শীতের জন্য বেছে নিয়েছিল নিচু বুট জুতা।
তবে মেয়ারের মতে, পার্টি ও বিয়ের মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে হাই হিল জনপ্রিয়ই থাকবে।
ফ্যাশনের জগতে সময়ের সঙ্গে ট্রেন্ড বদলাতে থাকে। সম্প্রতি একটি ট্রেন্ড সবার নজর কেড়েছে। তা হলো, হাই হিলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি দৈনন্দিন ফ্যাশনে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গির কোপে ফ্যাশন রাজত্ব হারাচ্ছে হাই হিল।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আড়ম্বর ও পরিশীলনের সমার্থক এবং ‘নারীত্বের’ এই প্রতীক এখন আর লাইমলাইটে নেই। এর বদলে এখন জায়গা করে নিচ্ছে আরামদায়ক সব বিকল্প।
অথচ এই ফ্যাশন অনুষঙ্গটি কেবল উচ্চতা বৃদ্ধিই নয়, একজনের সৌন্দর্যের অনুভূতি বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছিল। হাই হিলের প্রয়োজনীয়তা পায়ে পরার বস্তুর ধারণাকে ছাপিয়ে আত্মবিশ্বাস, সম্মোহন ও অদম্য গ্ল্যামারের অবিচ্ছেদ্য উপায়ে রূপ নিয়েছিল।
‘দ্য সাইকোলজি অব ফ্যাশন’–এর রচয়িতা প্রজ্ঞামূলক মনোবিজ্ঞানী ও ফ্যাশন বাণিজ্যের পরামর্শক ড. ক্যারোলিন মেয়ার বলেন, ‘হাই হিল শরীরের ভঙ্গি পরিবর্তন করে এবং হাঁটার একটি স্বতন্ত্র ধরন তৈরি করে। এটি ব্যক্তির চলাফেরাকে প্রভাবিত করে। এতে দেহভঙ্গি ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং অন্যের দৃষ্টিতে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা এবং মুগ্ধতার ধারণা উসকে দেয়।’ হাই হিল আত্মবিশ্বাস, অন্যের নজরকাড়া এবং নারী হিসেবে যথাযথ স্বীকৃতি, গ্ল্যামার এবং পেশাদারিত্বের অনুভূতিও তৈরি করে বলে উল্লেখ করেন এই মনোবিজ্ঞানী।
এতভাবে জড়িয়ে থাকার পরও এক মহামারির ধাক্কায় হাই হিলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে হাই হিলের বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।
জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন এর মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাচ্ছন্দ্য ও বাস্তবিকতার কাছে হাই হিলের আকর্ষণ আর টিকতে পারছে না।
আগে কর্মস্থল ও অবসরের পোশাকে বড় পার্থক্য ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে বাড়ি থেকে কাজের ফলে সে পার্থক্যের দেয়াল প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। বড় বড় অনুষ্ঠান সব ছোট হয়ে ঘরোয়া আয়োজনে সীমিত হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী মেয়ার বলেন, ‘মহামারির কারণে আমরা অনেকে ভালো থাকা, স্বাচ্ছন্দ্য ও বাস্তবতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সামাজিকতা ও আনুষ্ঠানিক বা জমকালো আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ কমে যাওয়ার কারণে আটপৌঢ়ে পোশাকের প্রতি মানুষ বেশি ঝুঁকে গেছে। এ ছাড়া মানুষ ঘরে বসে কাজে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আলাদা করে তৈরি হওয়ার অভ্যাস তাদের কমে গেছে।’
তবে হাই হিলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার জন্য মহামারিই দায়ী কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
মেয়ার বলেন, ‘সমাজ যত সমতাবাদী ভাবধারার দিকে এগোচ্ছে ততই মানুষ কঠোরভাবে নারীত্বকে নির্দিষ্ট করে এমন অনুষঙ্গ প্রত্যাখ্যান করছে। এর মধ্যে একটি হলো হাই হিল, যেটি নারীত্বকে চিহ্নিতকারী হিসেবে ধারণা করা হয়। এ পরিবর্তন আমাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, অভিব্যক্তির সীমা বিস্তৃত করতে এবং সেই সঙ্গে এমনসব জুতাকে প্রত্যাখ্যান করতে উৎসাহিত করে যা স্বাচ্ছন্দ্য ও চলাফেরাকে সীমিত করে।’
এর মধ্যে স্নিকারস, লোফারস ও ব্লক হিল নারীদের পছন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মহামারির পর বাকি সব আগের রূপে ফিরে এলেও হাই হিলের চাহিদা আগের রূপে ফিরে আসেনি। তুলনামূলক কম উচ্চতার হিল বা ব্লক হিল জুতার দিকে ঝুঁকছেন নারীরা।
ক্রিশ্চিয়ান লুই ভিতোঁর এক মুখপাত্র সিএনএনকে ই–মেইলে বলেন, ‘হিলের জনপ্রিয়তা আগের মতোই আছে। তবে, মহামারিতে নারীদের জীবনধারা ও ট্রেন্ডে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে তাঁদের হিলের পছন্দে প্ল্যাটফর্ম, নিচু ও ব্লক হিলের মতো বৈচিত্র্য যোগ হয়েছে।’
এদিকে ফ্ল্যাট জুতা ও স্নিকার্সের বিক্রি বেড়েই চলেছে। ২০২৩ সালে অ্যাডিডাস গ্যাজেল স্পোর্টস শুর জনপ্রিয়তা ১৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি শীতকালীন ২০২৩ ক্যাটওয়াকের থিমও ছিল ফ্ল্যাট। প্রাডা ও বালমেইনের মঞ্চে রাজত্ব করেছে কোনাকার ব্যালে পাম্প, মিউ মিউ এবং লিউইর মঞ্চে আলো ছড়িয়েছে লোফারস এবং বারবেরি ও ভ্যালেন্তিনো শীতের জন্য বেছে নিয়েছিল নিচু বুট জুতা।
তবে মেয়ারের মতে, পার্টি ও বিয়ের মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে হাই হিল জনপ্রিয়ই থাকবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে