টয়োটার নতুন হাইব্রিড আরএভিফোর

মেহরাব মাসাঈদ হাবিব
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ০০

বর্তমান বিশ্বে হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা যেভাবে বেড়েছে, তার হাওয়া লেগেছে বিশ্বের বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোয়। টয়োটা বিশ্বের সেরা ও বড় গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।

হাইব্রিড গাড়ির জনক হিসেবে টয়োটার নাম বলা যায় নিঃসন্দেহে। ১৯৯৭ সালে টয়োটা তাদের ‘টয়োটা প্রিয়াস’ বাজারে এনেছিল। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত হাইব্রিড গাড়ি। চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ায় টয়োটা তাদের প্রায় সব গাড়িরই হাইব্রিড সংস্করণ তৈরি ও বাজারজাতের উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্প্রতি টয়োটা তাদের কমপ্যাক্ট এসইউভি আরএভি৪-এর হাইব্রিড ভার্সন বাজারে এনেছে। এ ছাড়া এনেছে আরএভি৪-এর প্লাগ ইন হাইব্রিড সংস্করণ, যা প্রাইম নামে বাজারজাত করা হচ্ছে। যদিও প্রাইমের খুব কমসংখ্যক গাড়ি বাজারে এনেছে টয়োটা। আরএভি৪ ও আরএভি৪ প্রাইম দেখতে প্রায় একই রকম। ফুয়েল এফিশিয়েন্সিতেও তেমন পার্থক্য নেই। আরএভি৪ প্রাইমে রয়েছে ৩০২ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন। শুধু বিদ্যুতে চালানো হলে এক চার্জে প্রায় ৪২ মাইল চলে এটি।

অন্যদিকে আরএভি৪ হাইব্রিড সংস্করণে রয়েছে ২৫০০ সিসি ইঞ্জিন ও হর্সপাওয়ার ২১৯। ৭ দশমিক ৪ সেকেন্ডে ০ থেকে ৬০ মাইল স্পিড ওঠানো সম্ভব এই গাড়িতে।

নিরাপত্তার দিক থেকেও আরএভি৪ ও আরএভি৪ প্রাইম অন্য যেকোনো গাড়ির থেকে এগিয়ে রয়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ইনস্যুরেন্স ইনস্টিটিউট ফর হাইওয়ে সেফটি। দুটো সংস্থা থেকেই আরএভি৪ ও আরএভি৪ প্রাইম ফাইভ স্টার রেটিং লাভ করেছে।

আরএভি৪ ও আরএভি৪ প্রাইমে থাকা সেফটি ফিচারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অটোমেটেড ইমার্জেন্সি ব্রেক, লেন ডিপার্চার ওয়ার্নিং সিস্টেম ও অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল সিস্টেম। 
গাড়িটির দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২ লাখ টাকা। 

লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কুল

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত