শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
পরিচ্ছন্নতা সবার আগে
হেমন্তে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে প্রচুর ধুলোবালু ওড়ে। তাই হেমন্তে শুষ্ক ত্বকের যত্নে সবার আগে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শুষ্ক আবহাওয়ায় এ সময় ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায় বলে প্রতিদিনের গোসলে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানি। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতমুখ ধুয়ে নিতে হবে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে। সপ্তাহে একবার মুখে স্টিম নিন। এই সময়ে মুখে শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। বাইরে থেকে ফিরে পা ধোয়ার জন্য পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে নিতে পারেন। এ রকম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়, তা হলো হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া। হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে গেলে সেখানে যাতে ময়লা না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সপ্তাহে দুই দিন বাইরে থেকে এসে কুসুম গরম পানিতে মাইল্ড শ্যাম্পু, লেবুর রস ও লবণ দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর নরম ব্রাশ দিয়ে পা আলতোভাবে ঘষে মরা চামড়া ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর ভারী ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতেই হবে
শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায় বলে এ সময় ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন বেড়ে যায়। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ফেলে দিয়ে শরীর ধুয়ে নিলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। বাইরে থেকে ফিরে হাতমুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। তবে ভারী কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে এ সসময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। এতে করে বাইরের সব ধুলোবালু আপনার ত্বকে বসে যেতে পারে। তবে ঘরে থাকলে বা অফিসে এসি রুমে থাকাকালে ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফাটা হাত-পা ও ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে ঘুমানোর আগে ত্বকে গ্লিসারিন ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
গোড়ালি ও কনুইয়ের বিশেষ যত্ন
হেমন্তে পায়ের গোড়ালি ও কনুইয়ের চামড়া পুরু হয়ে যায়, সাদাটে হয়ে যায় বা ফেটে যায়। এর কারণ শুষ্কতা ও আর্দ্রতার অভাব। শুষ্ক গোড়ালি ও কনুইয়ের যত্নে এ সময় ভালো কাজে দেয় ঘরোয়া পদ্ধতি। এক টুকরো লেবুর ওপর চিনি ছড়িয়ে গোড়ালি ও কনুইতে ঘষতে থাকুন চিনির দানা গলে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর খালি হাতে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন।
অয়েলবেসড স্ক্র্য়াব ব্যবহার করুন
হেমন্তে সূর্যের তাপ কড়া থাকে। এতে করেও ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। ত্বকের ওপরের মৃত কোষ ঝরাতে স্ক্র্য়াবিংয়ের জুড়ি নেই ৷ শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অয়েলবেসড স্ক্র্য়াব বেশ কার্যকর। চিনি, মধু ও নারকেল তেল দিয়ে ঘন স্ক্র্যাব তৈরি করুন। ভেজা ত্বকে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ত্বক মসৃণ হয়ে উঠবে।
সঠিক খাদ্য়াভ্যাস
ত্বকের পুষ্টির জন্য ও ত্বক সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্য়াভ্যাসের বিকল্প নেই। শুষ্ক আবহাওয়ায় খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি রাখুন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে তার প্রভাব ত্বকেও পড়ে।
ময়দা-বেসনের প্যাককে না বলুন
হেমন্তের এই সময়ে তাই বার সাবানের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারলে ভালো। গোসলের জন্যও সম্ভব হলে ব্যবহার করুন ক্ষারমুক্ত লিকুইড বডি ওয়াশ। এ সময়টায় ময়দা ও বেসনের তৈরি প্যাক না লাগানোই ভালো। এ ধরনের প্যাক ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। এর বদলে উপকার পাওয়া যাবে ফ্রুট প্যাক ব্যবহার করলে। ঘরে বসেই কলা আর মধু মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে হাতে লাগান। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে, সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
সূত্র: ফেমিনা, এভরিডে হেলথ ও অন্যান্য
পরিচ্ছন্নতা সবার আগে
হেমন্তে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে প্রচুর ধুলোবালু ওড়ে। তাই হেমন্তে শুষ্ক ত্বকের যত্নে সবার আগে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শুষ্ক আবহাওয়ায় এ সময় ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায় বলে প্রতিদিনের গোসলে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানি। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতমুখ ধুয়ে নিতে হবে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে। সপ্তাহে একবার মুখে স্টিম নিন। এই সময়ে মুখে শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। বাইরে থেকে ফিরে পা ধোয়ার জন্য পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে নিতে পারেন। এ রকম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়, তা হলো হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া। হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে গেলে সেখানে যাতে ময়লা না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সপ্তাহে দুই দিন বাইরে থেকে এসে কুসুম গরম পানিতে মাইল্ড শ্যাম্পু, লেবুর রস ও লবণ দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর নরম ব্রাশ দিয়ে পা আলতোভাবে ঘষে মরা চামড়া ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর ভারী ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতেই হবে
শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায় বলে এ সময় ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন বেড়ে যায়। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ফেলে দিয়ে শরীর ধুয়ে নিলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। বাইরে থেকে ফিরে হাতমুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। তবে ভারী কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে এ সসময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। এতে করে বাইরের সব ধুলোবালু আপনার ত্বকে বসে যেতে পারে। তবে ঘরে থাকলে বা অফিসে এসি রুমে থাকাকালে ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফাটা হাত-পা ও ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে ঘুমানোর আগে ত্বকে গ্লিসারিন ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
গোড়ালি ও কনুইয়ের বিশেষ যত্ন
হেমন্তে পায়ের গোড়ালি ও কনুইয়ের চামড়া পুরু হয়ে যায়, সাদাটে হয়ে যায় বা ফেটে যায়। এর কারণ শুষ্কতা ও আর্দ্রতার অভাব। শুষ্ক গোড়ালি ও কনুইয়ের যত্নে এ সময় ভালো কাজে দেয় ঘরোয়া পদ্ধতি। এক টুকরো লেবুর ওপর চিনি ছড়িয়ে গোড়ালি ও কনুইতে ঘষতে থাকুন চিনির দানা গলে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর খালি হাতে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন।
অয়েলবেসড স্ক্র্য়াব ব্যবহার করুন
হেমন্তে সূর্যের তাপ কড়া থাকে। এতে করেও ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। ত্বকের ওপরের মৃত কোষ ঝরাতে স্ক্র্য়াবিংয়ের জুড়ি নেই ৷ শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অয়েলবেসড স্ক্র্য়াব বেশ কার্যকর। চিনি, মধু ও নারকেল তেল দিয়ে ঘন স্ক্র্যাব তৈরি করুন। ভেজা ত্বকে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ত্বক মসৃণ হয়ে উঠবে।
সঠিক খাদ্য়াভ্যাস
ত্বকের পুষ্টির জন্য ও ত্বক সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্য়াভ্যাসের বিকল্প নেই। শুষ্ক আবহাওয়ায় খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি রাখুন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে তার প্রভাব ত্বকেও পড়ে।
ময়দা-বেসনের প্যাককে না বলুন
হেমন্তের এই সময়ে তাই বার সাবানের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারলে ভালো। গোসলের জন্যও সম্ভব হলে ব্যবহার করুন ক্ষারমুক্ত লিকুইড বডি ওয়াশ। এ সময়টায় ময়দা ও বেসনের তৈরি প্যাক না লাগানোই ভালো। এ ধরনের প্যাক ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। এর বদলে উপকার পাওয়া যাবে ফ্রুট প্যাক ব্যবহার করলে। ঘরে বসেই কলা আর মধু মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে হাতে লাগান। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে, সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
সূত্র: ফেমিনা, এভরিডে হেলথ ও অন্যান্য
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে