অনলাইন ডেস্ক
প্রচলিত আছে, ‘যদি এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে আপনার দিন শুরু হয়, তবে আপনি একা নন।’ চা ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই বলা চলে। কারও কারও তো এক কাপ চায়ে চুমুক দেওয়া ছাড়া সকালই হয় না। ছুটির দিনে ঘুম ভেঙেছে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ের সুঘ্রাণে। সকালের নাশতা সেরে আরও এক কাপ চা। বিকেল গড়াতেই মোড়ের চায়ের দোকানে না বসলে ঠিক যেন আড্ডাটা জমে না। তর্ক জমে ওঠে চায়ের কাপের টুং টাং আওয়াজে। কারওর চাই লিকার চা, কারওর আদা-লেবু চা, কারওর আবার খুব করে দুধ-চিনি মেশানো চা। এই হলো রোজকার জীবনে চায়ের জড়িয়ে থাকার গল্প। আজ বিশ্ব চা দিবসে চলুন মন চাঙা করা এই পানীয় নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক—
২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে চা পানের শুরু চীনে
বিশ্বে সর্বপ্রথম চা পানের প্রচলন করেন চীনের সম্রাট শেন নাং। তখন খ্রিষ্টপূর্ব ২ হাজার ৭৩৭ সাল। একদিন বাগানে বসে গরম পানি খাচ্ছিলেন সম্রাট। তখন একটি বুনো গাছ থেকে কিছু পাতা এসে পানিতে পড়ে এবং রং লালচে হয়ে যায়। তিনি সেই রঙিন পানি পান করেন। এর পর থেকেই চা পানের প্রচলন শুরু হয় চীনে।
সব চা আসে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে
পুরো বিশ্বে প্রায় ৩ হাজার ভিন্ন জাতের চা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, ওলং টি ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। আর এর সবগুলোই উৎপন্ন হয় একই গাছ থেকে, যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেসিস। প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে চায়ের স্বাদ, গন্ধ আর আকারে আসে ভিন্নতা।
পানির পরেই চা
চা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পানীয়। পানির পর সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় চা। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্য। তুরস্কে একজন মানুষ বছরে গড়ে প্রায় সাত পাউন্ড চা পান করেন। যুক্তরাজ্যে একজন মানুষ প্রতিবছর আনুমানিক ১ হাজার কাপ চা পান করেন। আর বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর চা পান করা হয় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন কাপ।
চীনা একচেটিয়া বাজারে ভাঙন
সপ্তদশ শতকে চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরলে ব্রিটিশদের চায়ের জন্য অন্য দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তখন একজন স্কটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী রবার্ট ফরচুনকে নিয়োগ করল, যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশি বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গোপনে চীনে যাওয়ার এবং সেখান থেকে ভারতে চা-গাছ পাচারের জন্য- উদ্দেশ্য সেখানে বিকল্প একটি চা শিল্প গড়ে তোলা। এবং তাতে আশ্চর্যজনকভাবে সফল হয় ব্রিটিশরা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা
বাংলাদেশের চা-বাগানে তৈরি সোনার প্রলেপ দেওয়া চা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা, এমনটা দাবি এর উৎপাদকদের। চায়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ তাদের উৎপাদিত ‘গোল্ডেন বেঙ্গল টি’ নামের বিশেষ চায়ের মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ১৪ লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
কফিকে ছাড়িয়ে চায়ের জয়জয়কার
ঐতিহ্যগতভাবে তুরস্ক বিশ্বের বৃহৎ চা-বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তুর্কি কফিও বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তবে তুরস্কসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। অনেক গবেষণাও হয়েছে চা-কফির গুণ নিয়ে। দুটি পানীয়রই উপকারিতা থাকলেও চারদিকে চায়ের জয়জয়কার বেশি।
শরীরের জন্য উপকারী চা
সাধারণত পানীয় হিসেবে চা পান করলেও এর রয়েছে শরীরের জন্য কার্যকরী গুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, চা হার্ট ও লিভারের জন্য উপকারী। চা পানকারীদের হৃদ্রোগের হার কম, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। অনেকের মতে, ক্যানসার রোধেও চায়ের উপকারিতা অনেক। অবশ্য এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, মেন্টাল ফ্লস, ওয়েবএমডি
প্রচলিত আছে, ‘যদি এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে আপনার দিন শুরু হয়, তবে আপনি একা নন।’ চা ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই বলা চলে। কারও কারও তো এক কাপ চায়ে চুমুক দেওয়া ছাড়া সকালই হয় না। ছুটির দিনে ঘুম ভেঙেছে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ের সুঘ্রাণে। সকালের নাশতা সেরে আরও এক কাপ চা। বিকেল গড়াতেই মোড়ের চায়ের দোকানে না বসলে ঠিক যেন আড্ডাটা জমে না। তর্ক জমে ওঠে চায়ের কাপের টুং টাং আওয়াজে। কারওর চাই লিকার চা, কারওর আদা-লেবু চা, কারওর আবার খুব করে দুধ-চিনি মেশানো চা। এই হলো রোজকার জীবনে চায়ের জড়িয়ে থাকার গল্প। আজ বিশ্ব চা দিবসে চলুন মন চাঙা করা এই পানীয় নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক—
২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে চা পানের শুরু চীনে
বিশ্বে সর্বপ্রথম চা পানের প্রচলন করেন চীনের সম্রাট শেন নাং। তখন খ্রিষ্টপূর্ব ২ হাজার ৭৩৭ সাল। একদিন বাগানে বসে গরম পানি খাচ্ছিলেন সম্রাট। তখন একটি বুনো গাছ থেকে কিছু পাতা এসে পানিতে পড়ে এবং রং লালচে হয়ে যায়। তিনি সেই রঙিন পানি পান করেন। এর পর থেকেই চা পানের প্রচলন শুরু হয় চীনে।
সব চা আসে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে
পুরো বিশ্বে প্রায় ৩ হাজার ভিন্ন জাতের চা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, ওলং টি ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। আর এর সবগুলোই উৎপন্ন হয় একই গাছ থেকে, যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেসিস। প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে চায়ের স্বাদ, গন্ধ আর আকারে আসে ভিন্নতা।
পানির পরেই চা
চা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পানীয়। পানির পর সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় চা। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্য। তুরস্কে একজন মানুষ বছরে গড়ে প্রায় সাত পাউন্ড চা পান করেন। যুক্তরাজ্যে একজন মানুষ প্রতিবছর আনুমানিক ১ হাজার কাপ চা পান করেন। আর বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর চা পান করা হয় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন কাপ।
চীনা একচেটিয়া বাজারে ভাঙন
সপ্তদশ শতকে চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরলে ব্রিটিশদের চায়ের জন্য অন্য দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তখন একজন স্কটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী রবার্ট ফরচুনকে নিয়োগ করল, যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশি বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গোপনে চীনে যাওয়ার এবং সেখান থেকে ভারতে চা-গাছ পাচারের জন্য- উদ্দেশ্য সেখানে বিকল্প একটি চা শিল্প গড়ে তোলা। এবং তাতে আশ্চর্যজনকভাবে সফল হয় ব্রিটিশরা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা
বাংলাদেশের চা-বাগানে তৈরি সোনার প্রলেপ দেওয়া চা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা, এমনটা দাবি এর উৎপাদকদের। চায়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ তাদের উৎপাদিত ‘গোল্ডেন বেঙ্গল টি’ নামের বিশেষ চায়ের মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ১৪ লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
কফিকে ছাড়িয়ে চায়ের জয়জয়কার
ঐতিহ্যগতভাবে তুরস্ক বিশ্বের বৃহৎ চা-বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তুর্কি কফিও বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তবে তুরস্কসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। অনেক গবেষণাও হয়েছে চা-কফির গুণ নিয়ে। দুটি পানীয়রই উপকারিতা থাকলেও চারদিকে চায়ের জয়জয়কার বেশি।
শরীরের জন্য উপকারী চা
সাধারণত পানীয় হিসেবে চা পান করলেও এর রয়েছে শরীরের জন্য কার্যকরী গুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, চা হার্ট ও লিভারের জন্য উপকারী। চা পানকারীদের হৃদ্রোগের হার কম, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। অনেকের মতে, ক্যানসার রোধেও চায়ের উপকারিতা অনেক। অবশ্য এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, মেন্টাল ফ্লস, ওয়েবএমডি
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে