সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা
সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুরা সারা ঘরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াবে, খিল খিল করে হাসবে, খেলবে—এমনটাই আশা করেন বাবা–মায়েরা। তবে এ বয়সের শিশু কারও গায়ে হাত তুললে বা আঘাত করলে অভিভাবকের কাছে তা হতাশাজনক, লজ্জাজনক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। সন্তানের এ ধরনের আচরণ অনেক বাবা–মায়ের মধ্যে হতাশা ও লজ্জার অনুভূতি তৈরি করে। তাঁরা ভেবে নেন সন্তানের এ ধরনের আগ্রাসী আচরণ বাবা–মা হিসেবে তাঁদের ব্যর্থতার নিদর্শন।
তবে সব শিশুই কোনো না কোনো সময়ে আঘাত করা শেখে। বাবা–মা এ ধরনের আচরণে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান তার ওপর নির্ভর করে সন্তানের এ আচরণ অভ্যাসে রূপ নেবে কিনা।
সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুদের গায়ে হাত তোলার কারণ
বেশ কয়েকটি কারণেই শিশুরা বাবা–মাকে আঘাত করে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—
*তারা অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য উপায়ে প্রকাশ করতে পারে না।
*অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো ভাষা দক্ষতা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাদের নেই।
*বেশির ভাগ সময়ই পরিণতির কথা না ভেবেই তারা চাহিদা পূরণ করতে চায়।
* তারা যা চায় তা পাওয়ার জন্য আঘাত করে। বাবা–মায়েরা কোনো কিছুর জন্য ‘না’ বললে যেসব শিশু হাত তোলে বা আঘাত করে, ওই সব শিশুরা ভাবে আগ্রাসনের মাধ্যমে হয়তো তারা তা আদায় করতে পারবে।
সন্তান আঘাত করলে কী করা উচিত
শিশু আঘাত করলে এর প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে সে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আচরণ করবে কিনা। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা
ঘরে নিজস্ব কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে। স্পষ্ট করে বলতে হবে যে ঘরে আঘাত করা, লাথি দেওয়া, কামড় দেওয়া বা শারীরিকভাবে আগ্রাসী কোনো আচরণ করা যাবে না।
যখনই সম্ভব হয় ইতিবাচকভাবে এই নিয়মগুলোকে তুলে ধরতে হবে। ‘আঘাত করো না’–এর পরিবর্তে বলতে হবে ‘সম্মানের সঙ্গে স্পর্শ করো’। শিশুদের সঙ্গে এ নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং নিয়মের লঙ্ঘন হলে পরিণতি কী হতে পারে তা বোঝাতে হবে। শিশু যখন আঘাত করবে তখন তাকে বোঝাতে হবে , ‘আঘাত করা যাবে না, আঘাত করলে ব্যথা পাওয়া যায়’।
সন্তানকে শেখানোর জন্য যে বার্তাটি দিতে চান সেটির ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, আঘাত করার অনুমতি নেই এবং এটা সহ্য করা হবে না।
নিয়ম প্রতিষ্ঠার জন্য পরিণতি ভোগ করতে দেওয়া
শিশু যদি নিয়ম জানার পরও বারবার আঘাত করে, তবে তাকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত রাখতে এর কিছু পরিণতি ভুগতে দিতে হবে।
টাইম–আউট: নিয়ম শেখানোর ক্ষেত্রে কিছু শিশুর জন্য টাইম–আউট বেশ কার্যকর উপায়। টাইম–আউট মানে হলো, খারাপ আচরণের জন্য শিশুকে পরিণতি ভোগ করতে দেওয়া। যেমন: তাকে আর গুরুত্ব না দেওয়া, তাকে কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া, তার সঙ্গে কথা না বলা ইত্যাদি। খারাপ আচরণের জন্য শিশুরা যখন আর অন্যদের মনযোগ পায় না তখন তারা ওই আচরণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে যায়। টাইম আউটের মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বা শান্ত করতে শেখে।
সুযোগ–সুবিধা না দেওয়া: কিছু শিশুকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। শিশুদের বিশেষাধিকার কেড়ে নেওয়া একটি কার্যকর শৃঙ্খলা কৌশল হতে পারে। শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটালে শিশুদের তার প্রিয় ইলেকট্রনিক খেলনা বা নির্দিষ্ট কিছু খেলনা ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। শিশুর বয়স যত কম হবে সে তার পছন্দের কোনো জিনিস থেকে বিচ্ছিন্নতা তত কম সময় সহ্য করতে পারবে।
ক্ষতিপূরণ: দুর্ব্যবহারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে শিশুকে বাড়তি কোনো কাজ করতে দেওয়া যেতে পারে। তাদের কোনো ছবি এঁকে দেখাতে বলা যেতে পারে।
শিশুদের ইতিবাচক আচরণকে স্বীকৃতি দেওয়া
শিশুদের ভালো আচরণে ইতিবাচক সাড়া দিলে তারা আরও উৎসাহী হয়। শিশু যখন ভালো আচরণ করে তখন তার প্রশংসা করতে হবে। এতে সে হাত তোলা বা আঘাত করা বন্ধ করতে উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যতেও ভালো ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
শিশুদের উপযুক্ত আচরণ শেখানো
শিশুদের ‘আঘাত করো না’–এর পরিবর্তে বলতে হবে ‘সুন্দর করে ধরো’ বা ‘তোমার কেমন লাগছে বলো’। গবেষণায় দেখা গেছে, নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচকভাবে কিছু করতে বললে তা বেশি কার্যকর হয়। এ ছাড়া এতে শিশু তাদের রাগ সামলানোর দক্ষতাও শেখে। শিশু রেগে গেলে বা বিরক্ত হলে তাকে বয়স উপযোগী বই পড়তে দিতে হবে, ছবি আঁকতে দিতে হবে, গভীর শ্বাস নিতে বলতে হবে।
সন্তানের সঙ্গে তার অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে হবে। সে কখন কষ্ট পাচ্ছে বা কখন হতাশ হচ্ছে এসব নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। এসব অনুভূতি সে কীভাবে উপযুক্ত উপায়ে প্রকাশ করতে পারে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তা শিখতে তাকে সাহায্য করতে হবে।
শারীরিক শাস্তি এড়িয়ে চলতে হবে
দুর্ব্যবহারের জন্য শাস্তি দিতে যদি বাবা–মায়েরা শিশুকে চড়–থাপ্পড়ের মতো শারীরিক আঘাত করে, তবে শিশুরা বিভ্রান্ত হয়। তারা চিন্তা করে কেন বাবা–মায়েরা আঘাত করতে পারবে কিন্তু তারা পারবে না। চড়–থাপ্পড়ের মাধ্যমে শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ তৈরি হওয়ার পরিবর্তে আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হয়।
বাবা–মা বা বড়রা কী বলছে, এর চেয়ে বেশি বরং তারা কী করছে, তা দেখে শিশুরা বেশির ভাগ আচার–আচরণ শেখে। তাই শিশুর মধ্যে যেসব আচরণ দেখতে চান তা নিজের মধ্যেও তৈরি করতে হবে। নিজের রাগ, ক্ষোভ, হতাশা সামাজিকভাবে উপযুক্ত উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করে দেখাতে হবে শিশুদের।
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া
মাত্র হাঁটতে শেখা শিশু বা এর চেয়ে বেশি বয়সের শিশুর মধ্যে যদি বিশেষ করে আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা যায়, তবে পেশাদার বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। সন্তানের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে নিজের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণের কারণ বোঝা যাবে এবং তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সমাধান বের করা যাবে।
অনেক সময় শিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের বেশ কয়েকটি অন্তর্নিহিত কারণ থাকে। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) বা অপোজিশনাল ডিফায়ান্ট ডিসঅর্ডারে (ওডিডি) আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অন্যদের আঘাত করার প্রবণতা বেশি থাকে। এ ছাড়া যে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ঘাটতি থাকে তারাও অন্যদের আঘাত করে থাকে। কারণ তাদের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করার বা নিজের আবেগ–অনুভূতি প্রকাশ করার দক্ষতা থাকে না।
সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুরা সারা ঘরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াবে, খিল খিল করে হাসবে, খেলবে—এমনটাই আশা করেন বাবা–মায়েরা। তবে এ বয়সের শিশু কারও গায়ে হাত তুললে বা আঘাত করলে অভিভাবকের কাছে তা হতাশাজনক, লজ্জাজনক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। সন্তানের এ ধরনের আচরণ অনেক বাবা–মায়ের মধ্যে হতাশা ও লজ্জার অনুভূতি তৈরি করে। তাঁরা ভেবে নেন সন্তানের এ ধরনের আগ্রাসী আচরণ বাবা–মা হিসেবে তাঁদের ব্যর্থতার নিদর্শন।
তবে সব শিশুই কোনো না কোনো সময়ে আঘাত করা শেখে। বাবা–মা এ ধরনের আচরণে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান তার ওপর নির্ভর করে সন্তানের এ আচরণ অভ্যাসে রূপ নেবে কিনা।
সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুদের গায়ে হাত তোলার কারণ
বেশ কয়েকটি কারণেই শিশুরা বাবা–মাকে আঘাত করে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—
*তারা অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য উপায়ে প্রকাশ করতে পারে না।
*অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো ভাষা দক্ষতা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাদের নেই।
*বেশির ভাগ সময়ই পরিণতির কথা না ভেবেই তারা চাহিদা পূরণ করতে চায়।
* তারা যা চায় তা পাওয়ার জন্য আঘাত করে। বাবা–মায়েরা কোনো কিছুর জন্য ‘না’ বললে যেসব শিশু হাত তোলে বা আঘাত করে, ওই সব শিশুরা ভাবে আগ্রাসনের মাধ্যমে হয়তো তারা তা আদায় করতে পারবে।
সন্তান আঘাত করলে কী করা উচিত
শিশু আঘাত করলে এর প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে সে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আচরণ করবে কিনা। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা
ঘরে নিজস্ব কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে। স্পষ্ট করে বলতে হবে যে ঘরে আঘাত করা, লাথি দেওয়া, কামড় দেওয়া বা শারীরিকভাবে আগ্রাসী কোনো আচরণ করা যাবে না।
যখনই সম্ভব হয় ইতিবাচকভাবে এই নিয়মগুলোকে তুলে ধরতে হবে। ‘আঘাত করো না’–এর পরিবর্তে বলতে হবে ‘সম্মানের সঙ্গে স্পর্শ করো’। শিশুদের সঙ্গে এ নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং নিয়মের লঙ্ঘন হলে পরিণতি কী হতে পারে তা বোঝাতে হবে। শিশু যখন আঘাত করবে তখন তাকে বোঝাতে হবে , ‘আঘাত করা যাবে না, আঘাত করলে ব্যথা পাওয়া যায়’।
সন্তানকে শেখানোর জন্য যে বার্তাটি দিতে চান সেটির ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, আঘাত করার অনুমতি নেই এবং এটা সহ্য করা হবে না।
নিয়ম প্রতিষ্ঠার জন্য পরিণতি ভোগ করতে দেওয়া
শিশু যদি নিয়ম জানার পরও বারবার আঘাত করে, তবে তাকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত রাখতে এর কিছু পরিণতি ভুগতে দিতে হবে।
টাইম–আউট: নিয়ম শেখানোর ক্ষেত্রে কিছু শিশুর জন্য টাইম–আউট বেশ কার্যকর উপায়। টাইম–আউট মানে হলো, খারাপ আচরণের জন্য শিশুকে পরিণতি ভোগ করতে দেওয়া। যেমন: তাকে আর গুরুত্ব না দেওয়া, তাকে কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া, তার সঙ্গে কথা না বলা ইত্যাদি। খারাপ আচরণের জন্য শিশুরা যখন আর অন্যদের মনযোগ পায় না তখন তারা ওই আচরণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে যায়। টাইম আউটের মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বা শান্ত করতে শেখে।
সুযোগ–সুবিধা না দেওয়া: কিছু শিশুকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। শিশুদের বিশেষাধিকার কেড়ে নেওয়া একটি কার্যকর শৃঙ্খলা কৌশল হতে পারে। শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটালে শিশুদের তার প্রিয় ইলেকট্রনিক খেলনা বা নির্দিষ্ট কিছু খেলনা ব্যবহার থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। শিশুর বয়স যত কম হবে সে তার পছন্দের কোনো জিনিস থেকে বিচ্ছিন্নতা তত কম সময় সহ্য করতে পারবে।
ক্ষতিপূরণ: দুর্ব্যবহারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে শিশুকে বাড়তি কোনো কাজ করতে দেওয়া যেতে পারে। তাদের কোনো ছবি এঁকে দেখাতে বলা যেতে পারে।
শিশুদের ইতিবাচক আচরণকে স্বীকৃতি দেওয়া
শিশুদের ভালো আচরণে ইতিবাচক সাড়া দিলে তারা আরও উৎসাহী হয়। শিশু যখন ভালো আচরণ করে তখন তার প্রশংসা করতে হবে। এতে সে হাত তোলা বা আঘাত করা বন্ধ করতে উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যতেও ভালো ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
শিশুদের উপযুক্ত আচরণ শেখানো
শিশুদের ‘আঘাত করো না’–এর পরিবর্তে বলতে হবে ‘সুন্দর করে ধরো’ বা ‘তোমার কেমন লাগছে বলো’। গবেষণায় দেখা গেছে, নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচকভাবে কিছু করতে বললে তা বেশি কার্যকর হয়। এ ছাড়া এতে শিশু তাদের রাগ সামলানোর দক্ষতাও শেখে। শিশু রেগে গেলে বা বিরক্ত হলে তাকে বয়স উপযোগী বই পড়তে দিতে হবে, ছবি আঁকতে দিতে হবে, গভীর শ্বাস নিতে বলতে হবে।
সন্তানের সঙ্গে তার অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে হবে। সে কখন কষ্ট পাচ্ছে বা কখন হতাশ হচ্ছে এসব নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। এসব অনুভূতি সে কীভাবে উপযুক্ত উপায়ে প্রকাশ করতে পারে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তা শিখতে তাকে সাহায্য করতে হবে।
শারীরিক শাস্তি এড়িয়ে চলতে হবে
দুর্ব্যবহারের জন্য শাস্তি দিতে যদি বাবা–মায়েরা শিশুকে চড়–থাপ্পড়ের মতো শারীরিক আঘাত করে, তবে শিশুরা বিভ্রান্ত হয়। তারা চিন্তা করে কেন বাবা–মায়েরা আঘাত করতে পারবে কিন্তু তারা পারবে না। চড়–থাপ্পড়ের মাধ্যমে শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ তৈরি হওয়ার পরিবর্তে আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হয়।
বাবা–মা বা বড়রা কী বলছে, এর চেয়ে বেশি বরং তারা কী করছে, তা দেখে শিশুরা বেশির ভাগ আচার–আচরণ শেখে। তাই শিশুর মধ্যে যেসব আচরণ দেখতে চান তা নিজের মধ্যেও তৈরি করতে হবে। নিজের রাগ, ক্ষোভ, হতাশা সামাজিকভাবে উপযুক্ত উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করে দেখাতে হবে শিশুদের।
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া
মাত্র হাঁটতে শেখা শিশু বা এর চেয়ে বেশি বয়সের শিশুর মধ্যে যদি বিশেষ করে আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা যায়, তবে পেশাদার বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। সন্তানের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে নিজের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণের কারণ বোঝা যাবে এবং তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সমাধান বের করা যাবে।
অনেক সময় শিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের বেশ কয়েকটি অন্তর্নিহিত কারণ থাকে। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) বা অপোজিশনাল ডিফায়ান্ট ডিসঅর্ডারে (ওডিডি) আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অন্যদের আঘাত করার প্রবণতা বেশি থাকে। এ ছাড়া যে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ঘাটতি থাকে তারাও অন্যদের আঘাত করে থাকে। কারণ তাদের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করার বা নিজের আবেগ–অনুভূতি প্রকাশ করার দক্ষতা থাকে না।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে